লাইফ স্টাইল :- বিয়েতে আনন্দঘন মুহূর্ত, পর্ব ২।

বিয়ের একটা মুহূর্তের যখন বরের জন্য সব রকম শরবত তৈরি করা হয়ে যায়। ঠিক তখনই টেবিলের উপরে সেগুলো সুন্দর করে সাজানো হয় এবং তার সামনে একটা বাচ্চাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছিল তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে। যাতে কোন কিছুতে ফেলে না দেয় সেদিকের খেয়াল রাখার জন্য এই ছোট বাচ্চাটাই যথেষ্ট ছিল এখানে। বিভিন্ন প্রকার শরবত পাশে ছিল পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ছিল প্লেটে। গ্রাম অঞ্চলের বিয়ের এটা একটা কিন্তু খুবই দারুণ মুহূর্ত। কারণ প্রত্যেকটা মানুষ চায় বিয়েতে আনন্দ করতে। এখানে আনন্দটা আরো বেশি হয়ে থাকে যখন টাকা নেয়া বা দেওয়ার সময়। কন্যাপক্ষ অবশ্য বর পক্ষের কাছে কিছু টাকা আবেদন করে কিন্তু সেই কাজটা এখানে হয়ে ওঠেনি কারণ আগে থেকে সম্পন্ন করা ছিল যাতে কোন গ্যাঞ্জাম ফ্যাসাদ না হয়। আমরা লক্ষ্য করে দেখে বর্তমান সময়ে বিয়েগুলো ঠিক এমনই হয় আগে থেকে টাকা পয়সা সব কিছু মেটানো হয়ে যায়। যাতে করে বিয়ের সময় কোন সমস্যা না হয়। এটা কিন্তু বেশ ভালো একটা বিষয়।

বিয়েতে একটা সৌন্দর্য তৈরি করতে হলে একটা ডেকোরেশন এর দরকার রয়েছে। খাওয়া দাওয়ার পরে সেখানে হাত ধোয়ার জন্য একটা ডেকোরেশন বা হাত ধোয়ার পাত্র নিয়ে আনা হয়েছে। আপনার এখানে যেটা দেখতে পাচ্ছেন সবাই বুঝতে পেরেছেন খাওয়া-দাওয়া শেষে এখানে হাত দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে। প্রথমে আমরা এটি এখানে স্থাপত্য স্থাপন করে তারপরে উপরে যে ঢপ রয়েছে তাতে পানি ঢেলে রাখে এবং এটা পরিপূর্ণভাবে পরিষ্কার করে রাখে যাতে দেখতে ভালো লাগে। মানুষের আসার ব্যবহার এবং এগুলো দেখেই কিন্তু তার বংশ পরিচয় হয়ে থাকে। যেকোনো কাজে যদি সৌন্দর্য থাকে তাহলে মানুষের রুচিশীল আছে আর উচিত ছিল তা মানুষের একটা বড় পরিচয়।

এখানে আপনারা টেবিলের উপরে যে প্যাকেট গুলো দেখতে পারছেন আসলে এটা মিষ্টির কোন প্যাকেট নয় এটা হচ্ছে নাস্তার প্যাকেট। প্রত্যেকটা বরের সাথে যেসব মানুষগুলো এসেছিল তাদের একটি করে পেকেট দেয়া হয়েছিল। আসার পরে তাদের সামনে সামান্য শুকনো কিছু জাতীয় খাবার দেয়া হয় সেটাই। এই খাবারের মধ্যে দেয়া হয়েছিল চানাচুর বিস্কিট আপেল কমলা লেবু আঙ্গুর সিঙ্গারা পেঁয়াজি সমুচা। খাবারের আইটেমটা একটু বেশি হয়ে গেছিল। আসলে না আসতে এত কিছু খাইলে পরে আর খাওয়ার মত সে ধরনের সময় থাকে না যদিও শীতের সময় দিনটা অনেক ছোট। তারা এখানে আসছিল অনেকটা দেরি করে সব মিলে একটা বিভ্রান্ত পরিস্থিতি পড়ছিলাম। যাক তাদের আসার পরে সেগুলো তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বেশ কিছু লোক ছিল। পরিবেশন টা দেশ আমরা যথেষ্ট ভালো করার চেষ্টা করেছি।

এটি হল বিয়ের প্যান্ডেল অর্থাৎ বাইরের অংশ যদিও ছবিটা ভালোভাবে তুলতে পারেনি কারণ পাশে একটি পুকুর ছিল ছবিটা তুলতে গেলে পুকুরের ভিতরে পড়ে যাবে এমন একটা অবস্থা হয়েছিল। তারপরও চেষ্টা করেছি সামনের অংশটুকু তোলার জন্য। আসলে ডালিম ডেকোরেশন আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন লেখা উনি কিন্তু খুবই চমৎকারভাবে এই ধরনের ডেকোরেশন গুলো করে থাকেন যা অনেক সুনাম অর্জন করেছে। আমাদের গ্রামে যে কোন কাজের জন্য এই ডালিম ডেকোরেশনকেই ডাকা হয়ে থাকে। তাদের কাজগুলো অনেক পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন এবং অনেক সুন্দর তারা সব সময় যেকোনো অবস্থাতে তাদেরকে পাশে পাওয়া যায়।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।