স্পোর্টস:-পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের দ্বীতিয় ওডিআই ম্যাচ রিভিউ।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি খেলাধুলা বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে খেলার বিষয় নিয়ে পুনরায় হাজির হয়েছি। গত ২৪ শে আগস্ট পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচ শুরু হয়। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের এই ম্যাচটি উত্তেজনাপূর্ণের মধ্যে শেষ হয়েছে। যারা এই খেলাটি দেখেছেন নিশ্চয়ই তারা অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন । আজকে আমি পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যকার খেলাটি আপনাদের সামনে রিভিউ করবো। আশা করি এই ম্যাচের বিবরণ আপনাদের ভালো লাগবে।
পাকিস্তান তার নিজেদের দল গঠনে প্রথম ম্যাচে যে প্লেয়ার গুলো ছিল এই ম্যাচেও সেই প্লেয়ার গুলো নিয়ে খেলেছে। কোন পরিবর্তন আনেনি তারা তাদের এই একাদশে।
আফগানিস্তান ম্যাচের তাদের একাদশে কোন পরিবর্তন আনেনি। তাদের এই অপরিবর্তিত প্লেয়াররা দিয়েই দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তানে বিরুদ্ধে।
খেলার রিভিউ
আফগানিস্তান তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে গিয়ে জয় লাভ করে নিজেরাই প্রথম ব্যাট নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আগের মতই বরাবর যে দুই ব্যাটসম্যান ওপেনিং এ খেলেন তারা এসেছে প্রথমের দিকে। আফগানিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসটা কতটা ভালো করবে, এখন তা দেখা যাক।
আফগানিস্তানের শুরুটা খুবই ভালো হয়েছিল। পাকিস্তানের বোলিংরা যত চওড়া হোক না কেন কোন ভাবে তাদের প্রথম জুটি ভাঙতে পারছিল না। যখন খেলা ৩৯ ওভার চলছে তখনও আফগানিস্তানে প্রথম ওপেনিং জুটি তারা ভাঙতে পারে নাই। এই সময় তাদের রান ছিল ২১৩ রান। তারমানে বোঝাই যাচ্ছে আজ আফগানিস্তান একটা বড় স্কোর করতে যাচ্ছে ।
৪০ তম ওভারে মির উসমানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান ইব্রাহিম। তখন আফগানিস্তানের দলীয় সংগ্রহ ছিল ২২৭ রান। এটাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। এখনো ১০ ওভার খেলা বাকি আছে নিশ্চয় আশা করা যায় আফগানিস্তান তাদের রান ৩০০ ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে আরেক ওপেনার রহমাতুল্লাহ গুলবাজ সে তার ধারাবাহিকতা ভাবে খেলেই চলেছে। অনেক আগেই সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তার ইনিংস থেমেছে ১৫১ রানে। আর এটাই তারা হায়েস্ট রান। গুলবাজ যখন আউট হয় তখনও দলে দলীয় রানের সংখ্যা ২৫৭ এখনো আশা করা যায় আফগানিস্তান ভালো একটি রানের করতি যাচ্ছে।
এরপরে দুই ব্যাটসম্যান রশিদ এবং শহীদ মাঠে আসলে বেশীক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি। তাই তাদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে আরো দুইটা উইকেট এর পতন হয়। এদিকে রানের রেট অনেকটা কমে আসে। তারপরও আশা করা গিয়েছিল রান ৩০০ ছাড়াবে।
শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান ৫০ ওভারে ৩০০ রান করতে সক্ষম হয় পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে। আফগানিস্তানের বোলিং অনেক স্ট্রং যার জন্য আশা করা যায় এই ৩০০ রান পাকিস্তানের জন্য মাথা ব্যাথার কারন হবে।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ফখর জামান এবং ইমামুল হক। পাকিস্তানের ওপেনিং এই দুই বেটার বর্তমানে যথেষ্ট ফর্মে রয়েছেন। আফগানিস্তানে বোলিং অ্যাটাকিং এর প্রথমে আসেন মুজিবুর রহমান। আফগানিস্তান সব সময় চাই স্পিন দিয়ে বিপরীত দলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
পাকিস্তান তাদের দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে জামান কে হারালেও পরবর্তীতে ইমামুল হক এবং বাবর আজমের যথেষ্ট একটা বড় লম্বা জুটিতে পাকিস্তান অনেকটা ভালো একটা পজিশনে চলে যায়।
এরপরে বাবর আজম আউট হওয়ার পরে পাকিস্তান যেন দিশেহারা হয়ে পড়ে। খুব কম সময়ের মধ্যে তারা পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ফেলে। তখন রান সংখ্যা ছিল ২০৯। এই মুহূর্তে সত্তর বলে রানের দরকার ছিল ৯২। হাতে রয়েছে আর পাঁচটি উইকেট।
এরপর পরে আরো তিন উইকেটের পতন হয় তখন হাল ধরেন সাদাব খান। লো অর্ডারে ব্যাটসম্যান তখন আসেন নাসিম শাহ। এই মুহূর্তে ধরে নেওয়া গেছিল যে পাকিস্তান এই ম্যাচ হেরে যাবে। ওই মুহূর্তে রানের দরকার ছিল ১৪ বলে ২৯ রান।
লাস্ট ওভারে রানের দরকার ছিল ছয় বলে ১১ রান। নন স্ট্রাইকে থাকা সাদাব খান রান আউট হয়ে যায়। আর এই রান আউট হওয়ার পরে অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় আফগানিস্তানের জয়। কিন্তু গত টি-টোয়েন্টির মতো আবারো যে নাসিম শাহ আফগানিস্তানের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠবে এটা কেউ অনুমান করছিল না।
ঠিক যা হবার সেটাই হলো নাসিম পঞ্চম বলে এক বাউন্ডারি মেরে দলকে জিতিয়ে নিয়ে যায়। আনন্দের উচ্ছাসে ভাসে পাকিস্তানের। অন্য দিকে হতাশায় ভোগে আফগানিস্থান। তাদের এই ম্যাচটা একটু ভুলের জন্য হাতছাড়া হয়ে যায়। এদিকে নাসিম সাহ জয়ের আনন্দে উচ্ছাসে ভাসিয়ে দিচ্ছে।
ফাইনালি পাকিস্তান পুনরায় দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে আফগানিস্তানকে এক উইকেটে হারায়। ম্যাচটি ছিল একটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ।। সব সময় ছিল একটা টানটান উত্তেজনা। এই খেলাটি দেখে খুবই ভালো লাগছিল। ম্যাচে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করছিল এই খেলার মধ্যে। যারা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই খেলাটিকে খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | poco M2 |
স্ক্রিনশট সোর্স | Sports HD , Cric PAGOL, ITS COFFIN BRO. MS SPORTS. |
লোকেশন | মেহেরপুর |
যেহেতু ফেসবুক লাইভে দেখেছি। যখন যে চ্যানেলটিতে খেলা দেখিয়েছে তখন সেই চ্যানেলটাতে খেলা দেখার চেষ্টা করেছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1697821291632578848?t=1xISoysc8YmU87gvU51eVg&s=19
আজকে আপনি আমাদের মাঝে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের ম্যাচের রিভিউ তুলে ধরেছেন। আপনার রিভিউটি পরে খুবই ভালো লাগলো। ম্যাচটি আমি দেখেছি ম্যাচটি খুবই উত্তেজনক ম্যাচ ছিলো।
শেষের দিকে নাসিস শাহ কারিশমা দেখিয়ে দিয়েছে। আজ পাকিস্তান বনাম ভারতের খেলা আছে। প্রিয় টিমের জন্য শুভকামনা রইল যেন জয় লাভ করে। ধন্যবাদ ভাই।
আসলে নাসিম সাহ এমন কিছু করবে অনেকেই কিন্তু ভেবেছিল। যখন খেয়া হয় তখন আমারও মনের ভিতর এমনটাই বলছিল যে নাসিম ম্যাচটা জিতে নিয়ে যাবে।
খুবই চমৎকার ভাবে আপনি পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচের রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সত্যিই একটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ ছিল সেটা। প্রথমে ভেবেছিলাম পাকিস্তান হয়তো হেরে যাবে কিন্তু পরবর্তীতে এরকম ভাবে জিতে যাবে সেটা কখনো কল্পনাও করিনি। আসলে ক্রিকেট হয়তোবা এমনই কে কখন হেরে যাবে আর কে কখন জিতে যাবে এটা জানা মুশকিল। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে খেলার রেভিউ তুলে ধরার জন্য।
তবে খেলাটি দেখে বেশ মজা হয়েছিল সব সময় যেন একটা টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে খেলাটি শেষ হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান অনেক ভালো খেলা করেছিল। আর এই কারণে তারা বড় একটা জয় লাভও করেছে। আশা করি এই এশিয়া কাপে পাকিস্তান দল অনেক ভালো ক্রিকেট খেলা আমাদেরকে উপহার দেবে।
পাকিস্তানের বর্তমান যে ফর্মে রয়েছে এটা যদি তারা ধরে রাখতে পারে তাহলে এশিয়া কাপে তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। ধন্যবাদ মতামতের প্রকাশের জন্য।
আমি শুধু এই ম্যাচ এর রেজাল্ট জেনেছিলাম। তবে খেলা দেখতে পারিনি। আজ আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো পুরো খেলা আমি দেখেছিলাম। ভালো লাগলো আপনার ম্যাচ রিপোর্ট পড়ে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।