রেসিপি পোস্ট :- কাটোয়া ডাটা শাকের মজাদার রেসিপি।
কাটোয়া ডাটা শাকের মজাদার রেসিপি। |
---|
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
কাটোয়া শাক | এক কেজি। |
পেয়াজ | দুই টা। |
রসুন | এক টা। |
কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো। |
হলুদ | পরিমান মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
প্রথমে আমি কাটোয়া শাকের ডাটা গুলো ছোট ছোট করে কেটে একটি পানির পাত্রের মধ্যে রেখে দিয়েছি। পানির মধ্যে রাখার কারণ গায়ে যদি কোন ময়লা থাকে সেগুলো নরম হয়ে উঠে যাবে।
এরপরে আমি এই ধাপে ডাটা গুলোকে সুন্দর করে ধুয়ে নিয়েছি। এবং হাতে কিছুক্ষণ ধরে রেখেছি, যাতে পানি গুলো নিংড়িয়ে পরিষ্কার হয়ে যায়।
এরপর এগুলো আমি একটি পাত্রের মধ্যে তুলে রেখে দিয়েছি।
এই ধাপে আমি একটি পরিষ্কার কড়া নিয়েছি। কড়ার মধ্যে পরিমাণ মতো পানি ঢেলে দিয়েছে। এরপরে কিছুক্ষণ পানিটা গরম করে নিয়েছি।
এরপরে যে ডাটা গুলো কেটে রেখেছিলাম ওই ডাটা গুলো এই গরম পানির মধ্যে সব গুলো ঢেলে দিয়েছি।
এরপরে এর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ, রসুন এবং পেঁয়াজ বাটা, হলুদ,কাঁচা মরিচ যতটুকু দরকার তা প্রয়োজন মতো দিয়ে নিয়েছে।
এরপরে এই ডাটা সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়াম তাপে জ্বালিয়ে নিয়েছি। আর এই তরকারির আপনার ইচ্ছামত ঝোল রাখতে পারেন।
কাটোয়া ডটার শাকের রান্নাটি পরিপূর্ণ হয়ে গেলে একটি পরিষ্কার-পাত্র ঢেলে দিয়েছে।
ব্যাস, এভাবে তৈরি হয়ে গেল কাটোয়া ডাটা শাকের মজাদার রেসিপি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফি | রেসিপি। |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ডাটা শাকের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। ডাটা শাক আমার খুবই পছন্দের। তবে আজকে এই শাকের নতুন একটি নাম জানতে পারলাম। আমাদের এদিকে ডাঙ্গা শাক বলা হয়। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু একজন বলছিল শুধু শাক বলে থাকে, আর আমাদের এদিকের মানুষেরা বলে কাটোয়া শাক, আর আপনি বলছেন ডাঙ্গা শাক। আসলে স্থান ভেদে কোন জিনিসে নামের পরিবর্তন হয়। কিন্তু জিনিস একই। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
https://twitter.com/ABashar45/status/1696436211290874100?t=N2-OqsqzoPrIKOc3bh2dow&s=19
কাটোয়া ডাটা শাক আমার খুব পছন্দের। গরম ভাতের সাথে ডাটা খেতে খুবই চমৎকার লাগে। এই ডাটা দিয়ে ভাত খেতে গেলে আমি ভাতের থেকে ডাটা বেশি খেয়ে ফেলি। আপনি রান্নার প্রত্যেকটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাড়িতে যথেষ্ট পরিমাণ কাটোয়া ডাটা হয়েছে। বাড়িতে এসে খেয়ে যা। এত পছন্দর জিনিসগুলো দিন ফুরায়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাই সময় পেলে তো অবশ্যই যাইতাম। দেখিবসামনের মাসে যেতে পারি কি না।
কাটোয়া শাক এর আগে আমি নাম শুনিনি। তবে আমার কাছে ডাটা শাকের মতোই লাগছে। যাই হোক এই শাক এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনার রেসিপি খুবই মজা হয়েছে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে আপু অঞ্চল ভেদে হয়তোবা নাম আলাদা হতেই পারে। তবে এই ডাটা গুলো এভাবে রান্না করে খায়। কেউবা এর মধ্যে মসুরি ডাল দিয়েও রান্না করে থাকে। তবে খেতে অনেক সুস্বাদ।
কটোয়া ডাটা শাক দিয়ে মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাই এই ডাটা গুলো খেতে খুবই চমৎকার। তবে এটি হলো আমার বাড়ির নিজের ডাটা। অনেক মিষ্টি, ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই শাকটাকে সম্ভবত আমাদের এদিকে অন্য কোন নামে ডাকে। তবে আপনার রেসিপিটা বেশ লোভনীয়তা হয়েছে তা কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।
এই শাক কে আমরা ডাটা শাক বলি ।আপনি আবার সঙ্গে কাটোয়া যোগ দিয়েছেন মনে হচ্ছে যেন অপরিচিত শাক। যাইহোক হয়তো আপনাদের ওদিকে এটা বলে।এই ডাটা গুলো যে এভাবে রান্না করা যায় জানা ছিল না। শুধু ডাটা এভাবে কখনো রান্না করা হয়নি । তবে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করেছি বেশ ভালো লাগে খেতে। নতুন একটি রেসিপি দেখলাম।ধন্যবাদ।
আপু স্থানভেদে কোন জিনিসের নাম দুই রকম হতে পারে। তবে আমাদের এলাকার মানুষেরা এই শাককে এই নামেই ডেকে থাকে। নাম দুই রকম হলেও এর স্বাদ কিন্তু অনেক বেশি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য করার জন্য।
কাটোয়া ডাটা শাকের মজাদার রেসিপিটি আমার কাছে নতুন লাগলো।কারন ডাটার শাক খাওয়া হয়েছে।কিন্তু শুধু ডাটা দিয়ে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি।ইলিশ মাছ,চিংড়ি মাছ এমনকি আরও কিছু মাছের তরকারি হিসেবে ডাটা খেয়েছি।একদিন এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবো।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই,এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাই এই ডাটাগুলো এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়। আপনি একদিন রান্না করে খাবেন অনেক সুস্বাদু একটা তরকারি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কাটোয়া ডাটা শাকের মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগে। কারন গ্রামে যখন ছিলাম তখন বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম। খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আজকে আপনার রেসিপি পোস্ট দেখে মনে পড়ে গেলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
সত্যি ভাই এই শাক গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। এর মধ্যে যদি আপনি মুসুরির ডাল দিয়ে রান্না করেন তাহলে স্বাদ আরো একটু বেশি বেড়ে যায়। শুনে ভালো লাগলো আপনি ওই কাটোয়া শাক খেয়েছেন।