নাটক রিভিউ:- সাদাকালো মন, পর্ব -১২।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০ - ১২ - ২০২৩)
আসলামু আলাইকুম,আমার স্ট্রিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করতে ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম" সাদা কালো মন , পর্ব- ১২" নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। |
---|
নাটকের নাম | সাদা কালো মন, পর্ব -১২। |
---|---|
পরিচালক ও রচনা | আলী ইমরান। । |
অভিনয় | জাহিদ হাসান, তুষার খান, চ্যালেঞ্জার,নাদিয়, রহমত আলী,আহসানুল হক মিনু, নাজমুল হুদা বাচ্চু ,নুপুর ও আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ২৯ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ০৭ অক্টোবর ২০১৭ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ । |
---|
দেখতে দেখতে আমি এই নাটকের বারো তম পর্ব শেয়ার করতে চলেছি। সেই পর্যন্ত নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে যত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই নাটকটি দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে। যাদের বাড়ি নদীর কিনারায় তারা হয়তো রাত্রের এই বিষয়টি ভালোই বুঝতে পারছেন। নদীতে যারা মাছ ধরে তারা দিনে বা রাতে উভয় টাইমেই তারা মাছ ধরে থাকে। মাছ ধরার পরে বা আগে তারা সবাই একত্রিত বসে এবং বিভিন্ন কথাবার্তা তারা একে অপরে বলতে থাকে। পাঁচটা মানুষ একজায়গায় থাকলে যেমন কথাবার্তা হয় তেমন তার মধ্যে কেউ না কেউ আবার কোন উজান ভাটির গানও গিয়ে থাকেন। নাটকের এই পর্বের ঠিক তেমনি কিছু একটা কথাবার্তা এবং একটা গান গেয়েছিল একজন। রাত্রে এই সময়টা আসলেই ভিন্নভাবে এরা উপভোগ করে থাকে।
নাটকের এই পর্বে সবচেয়ে মজার ঘটনা ঘটেছে এই জায়গাতে। আপনাদেরকে অনেক আগেই বলেছি প্রত্যেকটা গ্রামে একজন করে এই ধরনের মানুষ থাকে যারা প্রতিটা বিষয়ে নাক গলিয়ে থাকে। এখানে যে মুরুব্বী দেখতে পাচ্ছেন তিনি ঠিক ওই প্রকৃতির মানুষ। আর পাশে যে লোকটাকে দেখতে পারছেন নিশ্চয়ই আপনারা এর আগেই এর পরিচয় পেয়েছেন। উনি পুকুর থেকে বদলে করে পানি নিয়ে যাচ্ছেন প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য। হঠাৎ করে মুরুব্বি মহিলা তার সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল। তাকে জিজ্ঞাসা করছে তুমি কোথায় যাচ্ছ? সে তার সামনে তো সত্য কথাটা বলতে পারছে না কি করে পারবে তার লজ্জা লাগছে। কিন্তু সে বারবার বলতেছে আমি একটু প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যাচ্ছি। কিন্তু ওই মুরুব্বী কোন মতে তার কথা শুনতে নারাজ। বিভিন্ন ধরনের কথা বলে তার দেরি করে দিছে এদিকে সে কোনভাবেই নিজেকে ধরে রাখতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত বেচারা অতিষ্ঠ হয়ে মুরুব্বীকে তাড়িয়ে দিতে বাধ্য হয়। নাটকের এই জায়গাটা আমার কাছে এত পরিমাণ হাসিয়ে রেখেছে যা বলে বোঝাতে পারবো না।
নারীদের বহু রূপ থাকে। তারা কোন সময় কোন রূপে ধারণ করে এটা বোঝা অনেক বড় কঠিন ব্যাপার। যার প্রমাণ নাটকের এই অংশে মিলেছে। নাদিয়ার সৎমা তার বাবাকে বলে আপনার মেয়ে আজকাল এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনি কি এসবের কোন খোঁজখবর নিয়ে থাকেন। যদিও নাদিয়ার বাবা এই বিষয়টি কখনো তেমন খারাপ ভাবে নেন না। জাহিদ হাসান এবং নাদিয়া একত্রে বেড়াই বলে এই কথাটি তার সৎ মা বলেছিল। তাদের কথাবার্তা বলতে বলতে তারা চলে আসে হঠাৎ করেই নাদিয়ার সৎ মা তার কথাগুলো সবই উল্টো গাইতে থাকে। তার কথাগুলো শুনে পড়ে নাদিয়ার বাবা একটু অবাক হয়ে যাই। অবাক হবার ই তো কথা যাদের নিয়ে এতক্ষণ কথা গিয়েছিল ঠিক কিছুক্ষণ পরে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে খাওয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ করছে। তাদেরকে ঘরে যাওয়ার কথা বলে নাদের বাবা মনে মনে বলতে থাকে মেয়ের মানুষের মন বোঝা বড় দায়।
নদীর ধারে বিকেল বেলা সবাই একত্রে বসে আছে। বসে থাকলেও তাদের হাতে কাজ চলছে। যেহেতু নদীতে মাছ ধরতে হবে জালগুলো কোন কোন জায়গায় বেশ খানিক ছিড়ে গেছে। সেগুলোকে সারে তোলার জন্য সবাই হাতে হাতে কাজ করছে। শুধু মুখ বুঝে কাজ করলে তো কাজ এগিয়ে যায় না। সবাই এক এক জায়গায় থাকলে অনেক কিছু নিয়ে কথাবার্তা হয়ে থাকে। তাদেরও ঠিক তেমনি কথাবার্তা চলছে। হঠাৎ করেই এর মাঝে একজন বলে ওঠে একটা গান ধরতো রাজন,একটা গান শোনা যাক। এই কথা বলতে রাজন গান শুরু করে দেয়। গানটিও বেশ পরিচিত ও আমি কেমন করে নেব তোমার খবর নাম ঠিকানা নেই তো জানা।
নাটকের ১২ তম পর্বের শেষের দিকের অংশ। ঘরের মধ্যে জাহিদ হাসান এবং নাদিয়া বসে রয়েছে। পাশে বসে বসে দেখছে জাহিদ হাসান কি করছে। জাহিদ হাসান গায়ের সেন্ট ব্যবহার করছে মুখে পাউডার ব্যবহার করছে। এটা দেখে নাদিয়া তাকে বলছে আপনি এখন কোথায় যাচ্ছেন এত কিছু সাজুগুজু করছেন। এতক্ষণ আপনি আমার সাথে বেরিয়ে আসলেন কো কোন কিছু তো মাখতে দেখলাম না। তখন জাহিদ হাসান বলছে একটু চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাব দরকার রয়েছে। তখন নাদিয়া বলতেছে এই তো বুঝতে পেরেছি আপনি চেয়ারম্যানের বাড়ি যাচ্ছেন তো এতকিছু মাখামাখি কেন? আসলে চেয়ারম্যানের বাড়ি যাচ্ছেন চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে না চেয়ারম্যানের মেয়ের সাথে দেখা করতে। এই কথা শুনে জাহিদ হাসান বলে আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আমি যাব না তোমার ওড়না দিয়ে আমার মুখের এসবগুলো সব মুছে দাও। এই জামা আমি আর পড়বো না থাক তুমি যখন রাগ করছো। এক কথায় যে পাম দিলে মেয়েদের পটানো যায় ঠিক তেমন একটা পাম এখানে ব্যবহার করেছে। যাহোক নাটকটি এখানে শেষ হয়ে যায় পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবারো আমি আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আজ এই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
সাদা কালো মন এই নাটকের দ্বাদশ পর্ব এটি। নাটকের এই অংশে তেমন শিক্ষনীয় বিষয় না থাকলেও বেশ কিছু মজার মজার ঘটনা রয়েছে যে ঘটনাগুলো দেখে আমার ভীষণ হাসি পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যখন শিষ্যের বাথরুম লেগেছে ঠিক তখন বুড়ি মহিলা তাকে দেরি করে দিচ্ছে এদিকে সেই কোনমতেই ধরে রাখতে পারছে না এই জায়গাটা আমার সবচেয়ে বেশি হাসি পেয়েছে। আরে এই নাটকের শেষের দিকে জাহিদাসের বিষয়টি আমার আরো বেশি মজা লেগেছে। সব মিলিয়ে ওই পর্বটা আমার কাছে দারুন মনে হয়েছে। সর্বোপরি এই পর্বে চমৎকার সব বিষয়গুলো এখানে তুলে ধরেছে। আজকে এই পর্যন্তই, ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,ধন্যবাদ সকলকে।
ব্যক্তিগত রেটিং । |
---|
নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট ১০ এর মধ্যে ৮.৯ দিবো।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1737293042430914748?t=f0jF8KinzVwtQBOrCyYhqA&s=19
বেশ পুরাতন নাটক তবুও আমার দেখা হয়নি।আসলে আমি পুরাতন নাটক দেখতে বেশি ভাল বাসি। আপনাকে ধন্যবাদ অনেক আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।শুভ কামনা রইলো।
পুরানো নাটকগুলো বেশিরভাগ এ গ্রাম বাংলার সমন্বয়ে নাটকগুলো তৈরি করা হয়েছে। যার জন্য পুরনো নাটকগুলো আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে তাই প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছি। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সাদাকালো মন নাটকটার ১২ তম পর্ব আজকে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে। এই নাটকের বেশিরভাগ পর্ব আমি যেহেতু পড়েছি, তাই নাটকের কাহিনীটা আমার জানা রয়েছে। এখানে তো দেখছি বেশ ভালোই একটা পাম ব্যবহার করেছে। এই বিষয়টা সত্যি অনেক বেশি সুন্দর ছিল। এই নাটকের পরবর্তী পর্ব আশা করছি আপনি খুব শীঘ্রই সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন।
আসলে এই নাটকটি পুরাটা গ্রামের নিয়ে। আমার শেয়ার করা নাটকটি আপনি যে পড়েছেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এরকম নাটক গুলো না দেখা হলেও, আপনাদের রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে নাটকগুলোর রিভিউ পড়তে কিন্তু খুব ভালোই লাগে। দেখতে দেখতে সাদা কালো মন নাটকের ১২ তম পর্ব ও শেষ হয়ে গিয়েছে। এই নাটকের ১২ তম পর্বটা কিন্তু অসম্ভব সুন্দর ছিল। যার কারনে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এই পর্বটা। আপনি নাটকটির এই পর্বে রেটিং পয়েন্ট ১০ এর মধ্যে ৮.৯ দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। নাটকটার ১৩ তম পর্ব আশা করছি শীঘ্রই সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন।
এ নাটকের কিছু অংশ আছে যে অংশগুলো দেখে আমি ভীষণ হেসেছি। আসলে নাটক দেখতে গিয়ে যদি মজা না পাওয়া যায় তাহলে সেই নাটক দেখার কোন মানে হয় না। এ পর্বের রেটিং আমি একটু বেশি দিয়েছি কারণ খুব ভালো লেগেছে। সামনের সপ্তাহে ১৩ তম পর্ব নিয়ে আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হবো।