নাটক রিভিউ:- সাদাকালো মন,পর্ব ৯।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @tuhin002 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৬- ১১ - ২০২৩)
আসলামু আলাইকুম,আমার স্ট্রিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করতে ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম" সাদা কালো মন , পর্ব- ৯" নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। |
---|
নাটকের নাম | সাদা কালো মন, পর্ব -০৯। |
---|---|
পরিচালক ও রচনা | আলী ইমরান। । |
অভিনয় | জাহিদ হাসান, তুষার খান, চ্যালেঞ্জার,নাদিয়, রহমত আলী,আহসানুল হক মিনু, নাজমুল হুদা বাচ্চু ,নুপুর ও আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট ০৮ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ০৭ অক্টোবর ২০১৭ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ । |
---|
নাটকের শুরুতে দেখা যায় তিন পীরের মাজারের যিনি দেখাশোনা করেন অর্থাৎ ইজ্জত আলী তাকে ডেকে পাঠানোর জন্য চেয়ারম্যান একজন লোককে পাঠিয়েছেন। তিনি তার সাথে কথা বলেন এবং বলেন আপনাকে চেয়ারম্যান তলপ করেছে। তখন তিনি বলেন কি জন্য উনি আমাকে ডেকেছেন তখন তিনি বলেন কুকর্ম করেছেন তাই ডেকেছেন। তখন তিনি বলেন আমি আবার কি করলাম যে আমাকে কুকর্ম করার জন্য ডেকেছে আমি তো কোন কিছুই করি নাই। তখন তিনি বলেন আচ্ছা ঠিক আছে যেহেতু আমাকে ডাকা হয়েছে আমি যাব। এই বলে তিনি রাত্রে ঘুমিয়ে যান এবং ঘুমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্বপ্ন দেখতে থাকেন।
একটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়াটা যতটা কঠিন তার থেকে বেশি কঠিন ওই ইউনিয়নের মানুষের মন জয় করাটা। প্রতিটা মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে আর এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে হলে যেকোনো একজন ও খুশি হয়ে থাকে। আর এর জন্যই চেয়ারম্যান একজন লোককে একা একা ডেকে তার সমস্ত ঘটনা তার কাছ থেকে শুনলো। আর এই ঘটনা শুনে সে একটু অবাক হয়ে গেল। চেয়ারম্যান তখন বলল আমরা একজন নিষ্পাপ মানুষকে দোষারোপ করে তার প্রতি আমরা বিচার করতে গিয়েছিলাম যদি এই বিচারে তাকে মেরে ফেলা হতো তাহলে আমরা সবাই দোষী হয়ে যেতাম। সত্যি ওই বুড়িমা যে কথাগুলো আমাদেরকে বলেছে এই কথাগুলো তো সবই মিথ্যা এবং তার দেখার ভুল ছিল। একজন মানুষের কথা শুনে কোন বিচার করা উচিত না।
চেয়ারম্যানরা এবং সবার গ্রামের মানুষ গুলো অনেক সময় জড়ো হয়ে অনেক ধরনের গল্প গুজব করত। এখানে একজন মানুষের গল্প হচ্ছে যে মানুষটি নাকি অনেক খেতে পারতো আর সে এত পরিমাণ খেতে পারতো তার খাওয়া দেখে সে সময়ে ব্রিটিশরা তাকে ২০০ বিঘা জমি উপহার দিয়েছিল। তবে যে ব্যক্তিকে ২০০ বিঘা জমি উপহার দিয়েছিল ওই ব্যক্তি ছিল অত্যন্ত ধার্মিক এবং সৎ। তার উপহারের জমিগুলো সব গরিব মানুষ এবং মসজিদ-মাদ্রাসার দান করে দিয়েছিল। সবাই মিলে এই ব্যক্তির গল্প করছিল আর সেই থেকে একটা রেওয়াজ গ্রামে চলছিল খাবারের প্রতিযোগিতা। প্রতিবছর এই গ্রামে খাবারে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে আর এর জন্য কালকে মাইকিং করার জন্য চেয়ারম্যান আদেশ দেয় ।
আপনারা যে লোক ব্যক্তিকে দেখতে পারছেন হেনে অনেকদিন যাবত ঢাকায় থাকেন এবং ঢাকা সিনেমাতে তিনি কাজ করেন। হঠাৎ করে পোস্ট অফিসের পিয়নের সাথে দেখা হয়। পিয়ন তাকে দেখে তো অবাক হয়ে যায় বলে আরে তুমি কবে বাড়িতে আসছো। ঢাকাতে তুমি সিনেমা করো তুমি তো দেখছি নায়ক হয়ে গেছো আসলে তোমার ছবিগুলো বের হলে আমাদেরকে দেখাবে তুমি। তখন সে নিজের ঢাক নিজে পিটাতে থাকে সে বলে আমি দেখতে শাহরুখ খানের মতো আমি সিনেমা শাহরুখ খানের মতো সিনেমা করছি। এই বলে সারা পথ সে সাইকেলে চড়ে এই ব্যক্তির সাথে গল্প করতে আসে।
এখানে প্রথমে নাদিয়ার এবং তার বান্ধবী কথা বলে। আগের যুগের একটা সময় মানুষ অভাবে তাড়নায় নিজের মেয়েদেরকে বয়স্ক মানুষের সাথে বিয়ে দিত। আসলে কিছু করা ছিল না কারণ সে সময়কার মানুষের এত ভাব ছিল যে তারা একটু ভালো ঘর পেলেই বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগতো। ঠিক এমনই হয়েছে নাদিয়ার বান্ধবীর সাথে। একজন বয়স্ক মানুষের সাথে তার বিয়ে দেয়ার কথা চলছিল কিন্তু তার কপাল ভালো ছিল বিয়েটা ভেঙে যায়। তাদের কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে জাহিদ হাসান চলে আসে। জাহিদ হাসানকে দেখে তো তার বান্ধবী ভয়ে এক সাইডে চলে যাই। জাহিদ হাসান আরবিতে কিছু কথা বলে এবং সে চলে যায়। তাকে দেখে তার বান্ধবী বলে একে এই ব্যক্তিকে তো এর আগে কখনো এই গ্রামে দেখি নাই। তখন নাদিয়া বলে তুই চিনতে পারছি না এ আমাদের সেই ভাই। তখন তার বান্ধবী বলে আরে ভাই তো দেখছি পড়াটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে তাকে তো দেখে আমি চিনতেই পারছি না।
যেহেতু গত রাত্রে চেয়ারম্যান আদেশ দিয়েছিল খাবার খাওয়ার প্রতিযোগিতার জন্য। আর সে আদেশ অনুযায়ী আজকে সারা গ্রামের মাইকিং চলছে খাবার প্রতিযোগিতার জন্য। এখানে দলে দলে অনেক মানুষ নাচ গানের মধ্য দিয়ে এই মাইকিং করছে। যেহেতু শহর থেকে সে আসছে আর এটা দেখে তো সে অবাক হয়ে যায় এবং সে মনে মনে ভাবে বেশ ভালো ব্যাপার শুধু আমি শহরে থেকে যা করেছি গ্রামে তাও করতে পারব এই বলে সে তা চশমা টা উপর উঁচু করে দেখতে থাকে। সাদাকালো মন নাটকের এখানে নবম পর্ব সমাপ্ত হয়। পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হব সে পর্যন্ত আমি শেষ করছি।
আজ এই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
সাদা কালো মন এই নাটকের নবম পর্ব এটি। সেই সময়কার মানুষ খুব ছিল সহজ সরল এরা চোখে যা দেখতো তাই বিশ্বাস করত। কোন সময় ভেবে দেখতো না চোখে দেখাটা ভুল হতে পারে। এই নাটকে বেশ কিছু শিক্ষনীয় জিনিস এখানে তুলে ধরেছে। পরের কথা শুনে অন্যের উপরে বিচার করা। কোন মানুষ যদি খেতে চায় তাহলে তাকে পেট ভরে খেতে দেওয়া। আর নিজেকে সব সময় বড় না ভাব। বরাবরই আমরা একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখি বাংলাদেশের প্রতিটা নাটকের মধ্যে খুবই শিক্ষনীয় জিনিস থাকে। এই নাটকের এই পর্যন্ত বেশ কিছু তথ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আজকে এ নাটকের অনেকগুলো তথ্যই রয়েছে যেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি এখান থেকে আমরা যথেষ্ট শিক্ষা নিতে পারবো। আজকে এই পর্যন্তই, ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,ধন্যবাদ সকলকে।
ব্যক্তিগত রেটিং । |
---|
নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট ১০ এর মধ্যে ৮.৭ দিবো।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1728654504495579255?t=vYXjlQuzE-hTsuJE8ukzqQ&s=19
এই নাটকটার প্রত্যেকটা পর্ব আপনি অনেক সুন্দর করে, শুরু থেকে এই পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে চোখের দেখা অনেক সময় ভুল হয়। আর এটা ঠিক, সে সময়কার মানুষ চোখের যা দেখতো তাদের সহজ সরল মন তা বিশ্বাস করে ফেলত। দেখতে দেখতে এই নাটকের নবম পর্ব ও শেষ হয়ে গিয়েছে এটা দেখে ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বে কি হয় এটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
মানুষের চোখে দেখা কখনো ভুল হয় আর এই ভুলের জন্য কখনো কখনো কোনো সংসার ভেঙে যায়। এমনি ঘটনা এই পর্বে ঘুরতে গিয়েছিল কিন্তু চেয়ারম্যানের বুদ্ধির খাতিরে সেটা ঘটে নাই। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন।রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ অনেকটা বেড়ে গেল।সময় করে দেখে নিব নাটকটি।নাটকের গল্পটি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক কথা ভাই, আগেকার মানুষগুলো সত্যিই অনেক বেশি সহজ সরল ছিল। তারা যা ই দেখতো তাই বিশ্বাস করে নিত, এই নিয়ে আর ভাবতে যেত না । বাংলাদেশের প্রতিটা নাটকের মধ্যে যে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় থাকে, এটা আমিও দেখেছি ভাই। আমি প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশি নাটক দেখি, খুব ভালো লাগে আমার। যদিও "সাদাকালো মন" এই নাটক টি আমার দেখা হয় নি। তবে রিভিউ টি পড়ে নাটকটি দেখার ইচ্ছা হলো।
আগের মানুষগুলো সহজ সরল ছিল বলেই তাদের মধ্যে এত সজন প্রীতি ছিল এবং ভালোবাসা ছিল। তারা মানুষকে অন্ধের মত বিশ্বাস করতে এবং তাদের মধ্যে কোন কোলাহল ছিল না। আর সহজ সরল অনেক সময় মানুষকে বিপদে ফেলে এই নাটকে তার সামান্য একটু প্রমাণও রয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের বাংলাদেশের নাটক গুলো আপনার ভালো লাগে এটা জেনে।