লাইফ স্টাইল:-বিয়ের শুরুতে কিছু কার্যক্রম ও আনন্দময় মুহূর্ত।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। সবাইকে আন্তরিক ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
জন্ম-মৃত্যু বিশেষভাবে আল্লাহর ইচ্ছায় হয়ে থাকে। এর মধ্যে বিয়ে মানুষের জীবনের একটা বড় অধ্যায়। ভাগ্য মানুষের লেখা থাকে জন্মের আগ থেকেই। যার ভাগ্যে যা লেখা আছে তা ঘটবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। বিয়ে-শাদী মানুষ কাকে কোথায় কার সাথে লিখে আছে সেটা শুধু আল্লাহই জানে। আমি শুনেছি বিয়ের সব কিছু আয়োজন শেষ। এমন একটা বিয়ে যেখানে আর শুধু কাজী এসে বিয়ে পড়াবে এমন অবস্থাতেও বিয়ে ভেঙে গেছে। এই যে প্রথমে বলেছি যেখানে আপনার ভাগ্যের বিয়ে লেখা থাকবে সেখানে সংঘটিত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এর আগে আমি আপনাদেরকে বলেছি আমার এই ভাইয়টার যার সাথে বিয়ে হচ্ছে চলেছে তার সাথে অনেক দিনের সম্পর্ক ছিল। যতই সম্পর্ক থাকুক না কেন যদি তাদের কপালে না লেখা থাকতো তাহলে তাদের বিয়ে কখনই হতো না। বর্তমানে দুইজন এখন প্রতিষ্ঠিত এবং দুজনেরই এখন এডাল্ট। পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ের আয়োজনটা করা হয়েছিল। সবশেষে আল্লাহর ইচ্ছা তাদের বিয়ের সংঘটিত হয়।
বর্তমানে যদিও আমাদের দেশে ছেলে-মেয়েরা নিজেদের পছন্দের অনুযায়ী বিয়ে করে থাকেন। এর মধ্যে লাভ মেরেজ বেশি হচ্ছে কিছু কিছু অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ও আছে। একটা বিষয় আমাদের লক্ষ্য বা আমাদের ভাবনা চিন্তা করা উচিত যে আপনি যদি পিতা-মাতার মতে বিয়ে করেন অবশ্যই আপনার সেখানে রহমত থাকবে। কারণ সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দোয়া সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে। পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয়ার বিয়ে-শাদী করলে সে কখনো সুখী হতে পারবে না। আল্লাহ বলেছে যে সন্তান তার পিতামাতে কষ্ট দিল সে যেন আমাকে কষ্ট দিলে। আর পিতা মাতার অবাধ্য সন্তান সবসময় আল্লাহর লানত পেতে থাকে। যাক যখন ভাই বিয়ের জন্য শ্বশুরবাড়িতে রওনা হলো এবং সেখানে পৌঁছানোর পরে তখন তাকে ফুল দিয়ে বরণ করার জন্য অনেকেই বসে ছিল। প্রতিটা জায়গায় দেখা যায় বিয়েতে বরকে সাদরে আমন্ত্রণ করার জন্য ফুল নিয়ে তাকে আমন্ত্রণ জানায়। মেয়ের বাড়িতে যে পরিবেশটা ছিল এই পরিবেশটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। এখানকার মানুষ সবাই খুব আত্মীয় পরায়ন। তাদের আসার ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। যথারীতি মাইক্রো করে এসেছিল ভাইটি এবং তাকে মাইক্রো থেকে নামে আনা হয়। আপনারা সবাই দেখতে পাচ্ছেন বরকে আনার জন্য কয়েকজন মাইক্রোশনে ভিড় জমেছে। রীতি অনুসারে মাইক্রো ড্রাইভারকে কিছু টাকা বকশিশ দিতে হয় এবং তাকে বকশি দিয়ে নামাতে হবে।
প্রতিটা মেয়ের বাবা চায় তার জামাইকে কোন না কোন কিছু উপহার দেবে দেয়ার জন্য। আর এটা হল বিয়ের একটা প্রথা। ছেলে যখন মেয়েকে বিয়ে করতে আসে তখন তার হাতে ঘড়ি দিয়ে থাকেন। আমিও লক্ষ্য করে দেখলাম এক ভাইয়ের হাতে ঘড়ি ছিল এরপরে তিনি মাইক্রো মধ্যে গিয়ে ভাইয়ের হাতে পরিয়ে দিলেন। বিয়ের ব্যাপারে এগুলো হলো একটা মজার বিষয়। বরের প্রতি মেয়ের বাড়ির লোকদের যে আন্তরিকতা সেটা তারা এখানে খুব সুন্দর ভাবে দেখেছে। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভেবেছিলাম সব বিয়েতে মানুষ সবাই আন্তরিকতা দেখাতে পারে না কিন্তু তাদের আন্তরিকতা ছিল অনেক। মানুষের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া টা বড় বিষয় না বড় বিষয় হল তাদের সদ্য ব্যবহার। ভালো ব্যবহার মানুষকে মুগ্ধ করে এবং ভালো ব্যবহার মানুষের পরিচয়। ভাইয়ের হাতে ঘড়ি পরানো দেখেই বুঝতে পারলাম ঘড়িটা বেশ দাম। ঘড়িটা রং ছিল কালো তার হাতে বেশ সুন্দর লাগছিল। ঘরে হাতে পড়ানোর পরে ভেবেছিলাম মনে হয় আর কোন কাজ নেই এখন তাকে নামিয়ে নেবে। আবারো কিছুক্ষণ দেখলাম তারা দাঁড়িয়ে ছিল এর মধ্যে একজন বলেই ফেলল এই তোমরা বর কে নামিয়ে নিয়ে এসো। ঠিক সেই সময় এই ভাইটি বলল আর একটু কাজ আছে আপনারা একটু অপেক্ষা করেন। এরপর সবাই আগের মত একটু অপেক্ষা করতে লাগলো। কিছুক্ষণ অপেক্ষা থাকার পরে পুনরায় দেখলাম একজন কি যেন হাতে করে নিয়ে আসলো। আমি অবশ্য একটু আন্দাজ করছিলাম হয়তোবা স্বর্ণ জাতীয় কোন জিনিস তাকে দিবে। আবার মনে হলো পুরুষ মানুষের স্বর্ণ ব্যবহার করা তো উচিত না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অনেক কিছুই ভাবনা চিন্তা করছিলাম।
আমি ভাবনা চিন্তা করতে করতে তাকিয়ে রয়েছি এরই মধ্যে দেখতে পেলাম একটা বক্সের মধ্যে থেকে একটি আংটি বের করছে। যেহেতু বিয়ের আগে সে তো অবশ্যই স্বর্ণের আংটি আংটিটা দেখতে বেশ সুন্দর। যে ভাইটি ঘড়ি পরিয়ে দিয়েছিল ওই ভাইটি স্বর্ণের একটা আংটি তার হাতে পুড়িয়ে দিল। এই যে প্রথমে বলেছিলাম প্রতিটা শ্বশুর চায় তার জামাইকে সুন্দরভাবে সম্মানিত করে তাকে তার বাড়িরতে নিয়ে আনার জন্য। আসলে যে মেয়েটার সাথে বিয়ে হবে এভাবে একজন নার্স। বাবা মায়ের দ্বিতীয়তম সন্তান। সবার মুখ থেকে শুনতে পেলাম মেয়েটা অনেক ভালো এবং নম্র ভদ্র। নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক থাকলেও নিজেরা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করার ইচ্ছা পোষণ করছিল না যখন তারা স্টাফলিশ হলো তখনই তারা বিয়ের আবদ্ধ হলো। এখানে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে তারপরে তাকে চেয়ারে নিয়ে এসে বসালাম এবং তাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানালো এবং আমন্ত্রণের সহিত তাকে গ্রহণ করে নিল। আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/callously.skis.dizzyingly |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1720292775567200696?t=nqhQEPY1Dz1nKbVcaVgsNg&s=19
বিয়ে ব্যাপারটা উপর ওয়ালা প্রদত্ত, কার কখন কার সাথে কোথায় বিয়ে হবে সেটা কেউ জানে না। তবে ইদানিং কিছু অবাধ্য সন্তান পিতা মাতাকে কষ্ট দিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে এটা মোটেও ঠিক নয়, এতে উপর ওয়ালা নারাজ হয়ে থাকেন। যাইহোক বিয়ের অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
প্রতিটা সন্তানের উচিত বাবা মায়ের আদেশ মত চলা। তাদের দেখানো পথে চলা। তাদের চাওয়া পাওয়াটাকে পূর্ণ করা। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাই যে মানুষটার ছবি দিয়েছেন এনাকে তো আমি চিনি। আমাদের বাড়ির আশপাশেই হয়তো বা বাসা। ওনাকে মাঝেমধ্যে যেতে দেখি আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে বাজারে হোন্ডা বাইক আছে। বিয়ে প্রকৃতপক্ষে এটা সৃষ্টিকর্তার হাতে। যার সাথে যার বিয়ে হবে সৃষ্টিকর্তা লিখে রেখেছেন ৫০ হাজার বছর আগেই।আমরা যতই জোরজবস্তি করি না কেন সৃষ্টিকর্তা যার সাথে লিখেছেন তার সাথেই হবে। যাক তারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করেছে এবং ছেলে মেয়েরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করায় ভালো। এতে করে সবাই ভালো থাকে।।পরিবারও ভালো থাকে ও সবাই ভালো থাকে। পিতা মাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যতই কষ্ট হোক পিতা-মাতাকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। সবাই মিলে একসাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে হবে। জি ভাইয়া প্রতিটি শুশুর চায় তা জামাইকে সুন্দরভাবে সম্মানিত করে তার বাড়িতে নিয়ে আনার জন্য।। যাই হোক অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন বেশ ভালো লাগলো।
৫০ হাজার বছর আগে লেখা আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই ভাই তবে লেখা আছে এটা আমার জানা আছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনি খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন।
আসলেই বিয়েটা সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাতে হয়। আপনি ঠিক বলছেন শত সম্পর্ক থাকার সত্ত্বেও অনেক বিয়ে ভেঙ্গে যায়। আমরা এমন গল্প শুনেছি যে পালকি এসে পালকি ফেরত গেছে বউ না নিয়ে। তবে আগেকার মানুষ গুলো অনেক বেশি এক কথার ছিল। তারা যেটা বুঝতো সেটাই করতে চেষ্টা করত ভাল মন্দ না বোঝে। তবে এখনকার মানুষ অনেক টা বুঝার চেষ্টা করে বললেই চলে। আপনি দারুণ বর্ণনা করলেন অনেক ভালো লেগেছে। আসলে ব্যবহারটা কেমন সেটা প্রথম দিনেই প্রকাশ পায়। বরকে তো সুন্দরভাবে সম্মান করা হলো। ফুল দিয়ে বরণ করা হলো আন্টি পরানো হল। সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ একটি মুহূর্ত কাটালেন। আমাদের সাথে দারুন একটি অনুভূতি প্রকাশ করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি খুবই চমৎকার ভাবে মন্তব্য করেছেন। মন্তব্য করে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।