জেনারেল রাইটিং:- পল্লী চিকিৎসক দুঃসময়ের বন্ধু।

সৃষ্টিকর্তার পরে যদি কাউকে জীবন রক্ষা কারি বলা হয় সে হলো ডাক্তার। প্রতিটা মানুষের জীবনে ছোট বড় অনেক রোগ রয়েছে। আর এইসব রোগ নিরাময়ের জন্য রয়েছে হাজার হাজার ডাক্তার। এসব ডাক্তারের মধ্যে কেউ রয়েছে ডাকাত নামে ডাক্তার আর কেউ রয়েছে, রোগ নিরাময় ডাক্তার। তবে বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে ডাকাত নামে ডাক্তার গুলোই বেশি। মানুষ বিশ্বাস করে তাদের কাছে যাই তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট দিয়ে হাজার হাজার টাকা কামিয়ে নিচ্ছে এইসব ডাক্তারা। চিকিৎসা দেওয়ার নামে তারা ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে মাসের পর মাস তাদেরকে আসা-যাওয়া করতে বাধ্য করছে। বড় বড় ডাক্তারেরা বিভিন্ন রিপোর্ট দিয়ে মানুষদের প্রতিনিয়ত রক্ত চুষে খাচ্ছে। কিন্তু পল্লী চিকিৎসক তারা নিরন্তন মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের যে কোন বিপদে তারাই প্রথম এগিয়ে আসে। বিশেষ করে পল্লী চিকিৎসক সবচেয়ে বেশি উপকার করে থাকে গরিব মানুষের। আজ আমি পল্লী চিকিৎসকের মহান উদারতা নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার কর। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে...।

বর্তমান সময়ে মানুষের ঠান্ডা জ্বর এগুলো বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া মানুষের আরো বড় কিছু যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে তারা প্রথমে চেষ্টা করে পাশের কোন ডাক্তার দেখানোর জন্য। আর পাশের ডাক্তার বলতে আমার সাধারণত পল্লী চিকিৎসকে বুঝে থাকি। হঠাৎ করে কোন মানুষের যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তারা খুব দ্রুত কোন পাশে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাই। তাই বলা যেতেই পারে পল্লী চিকিৎসক আমাদের সব থেকে উপকারী বন্ধু। আমরা নিজের আত্মীয়, আমাদের অনেক আপনজন। কিন্তু তারা আমাদের বিপদে কি পাশে থাকতে পারে? এ সম্পর্কে আপনাদের কি মনে হয়। নিশ্চয় আপনি আমার সাথে একমত হবেন। আত্মীয় যতটুকু উপকার করে তার থেকেও বেশি উপকার করে প্রতিবেশী। কারণ তারা যে কোন বিপদে দ্রুত পাশে এসে দাঁড়াতে পারে। ঠিক তেমনি বড় বড় ডাক্তারের থেকেও পলি চিকিৎসক আমাদের বেশি উপকার করে থাকেন। তারা যতটা চিকিৎসা দেয় তার থেকেও তারা পারিশ্রমিক কম নিয়ে থাকে। তাই বলা যেতে পারে তারা আমাদের সব থেকে বড় বিপদের বন্ধু।

পল্লী চিকিৎসকের উপকার হিসেবে আপনাদের একটা বাস্তব ঘটনা এখানে আমি তুলে ধরছি। হঠাৎ করে এক ব্যক্তি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময় তারা বুঝতে পারছিল না কি করবে। তখন তাদের মধ্যে একজন বলে তাকে তাড়াতাড়ি কুষ্টিয়াতে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ওই রুগীর অবস্থা যা ছিল হয়তো মনে হয় না সে কুষ্টিয়া পর্যন্ত পৌঁছাবে। তারপরও আল্লাহর ইচ্ছা যদি তিনি চান তাহলে পৌঁছাবেন। কিন্তু তারপরও একটা কথা থেকে যায় বাচামারা আল্লাহর হাতে অবস্থার একটা বিষয় দাঁড়িয়ে যায়। যদি খুব খারাপের দিকে যায় তাহলে অবশ্যই তাকে সাথে সাথে একটা ট্রিটমেন্ট দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ঠিক সেই সময় সেখানে ছিল একজন পল্লী চিকিৎসক তাকে দেখেন। যদিও সেটা খুবই ক্রিটিক্যালি বিষয় ছিল তারপরও তিনি রোগীর গায়ে হাত দেন এবং তাকে দেখেন। যেহেতু আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে দেবেন তার মাধ্যম দিয়ে তাই ওই ডাক্তার খুব তাড়াতাড়ি একটা সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সেই সময় কিছু পরামর্শ দেন এবং কিছু ওষুধ খাওয়ার সাথে সাথে খাওয়ায় দেন। আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কি ইচ্ছা তিনি দশ মিনিটের মধ্যে কিছুটা সুস্থতা লাভ করেন। এরপর আস্তে আস্তে তিনি ভালোর দিকে যেতে থাকেন। এই পল্লী চিকিৎসক তার পেছনে খরচ করেছিল মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যদি ওই রোগীকে ঐদিন কুষ্টিয়া নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে বড় ডাক্তাররা দেখত তাহলে ভিজিট নিতো ৭০০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দিয়ে হয়তোবা হাজার হাজার টাকা তার খরচ করাতে।

ওই রোগীকে যদি পল্লী চিকিৎসক এভাবে নিজের ইচ্ছাকৃত ভাবে উনার না দেখতেন, এবং তাড়াতাড়ি ওই সময় যদি চিকিৎসা না দিতেন তাহলে বিষয়টা বিপরীতমুখী হতে পারতো। তাকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত যেতে যেতে হয়তো বা মারাও যেতে পারতো। তার যে সম্ভাবনাটা ছিল তাতে সেটাই ঘটার দরকার ছিল। কিন্তু এই যে দুঃসময়ের বন্ধু পল্লী চিকিৎসক তারা যে কোন সময় যেকোনো মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আল্লার ইচ্ছায় এই ডাক্তারের মাধ্যম দিয়ে ১০০ টাকার খরচ করে ওই ব্যক্তি সুস্থতা লাভ করে। এজন্য বলতেই হয় পল্লী চিকিৎসক আমাদের সব সময় পাশে থাকেন এবং যেকোন দুঃসময় তারা আমাদের বন্ধু। আমাদের গ্রামগঞ্জে এরকম পল্লী চিকিৎসক অনেক রয়েছে যারা অসহায় মানুষদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে হাজার হাজার টাকা খরচ করবে সেখানে অল্প কিছু টাকার মধ্যে দিয়ে তারা ভালো থাকার চেষ্টা করছে এইসব পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে। আর এই সমস্ত কারণে পল্লী চিকিৎসক আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু যেকোনো সময় আমরা তাদেরকে পাশে পায়।

আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।