লাইফ স্টাইল:- স্বপ্ন পূরণের অভিযান।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো একটি গান। সবাইকে আন্তরিক ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
একুশে অক্টোবর আমার ফুফাতো ভাইয়ের একটা স্কুলের বিশাল অনুষ্ঠান ছিল। আমার ফুফাতো ভাই পেশায় তিনি একজন পাসপোর্ট অফিসার। তিনার স্ত্রী থানা নির্বাহী অফিসার। আপনারা গ্রীন রেইন ল্যাবরেটরি স্কুল যেখানে স্বপ্ন শিক্ষা ও মানসিক বিকাশের শীর্ষ কর্মশালা একটা আয়োজনের বিশাল অনুষ্ঠানে আমি নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। এই স্কুলে একটা স্বপ্ন পূরণ করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে আমার ফুফাতো ভাই। তার স্বপ্ন গ্রামের মানুষ মেধাবী হয়ে বড় বড় জায়গায় ভালো ভালো পজিশনে চাকরি করবে। শুধু তাই নয় এখানে প্রতিবন্ধীদের জন্য বেশ ভালো সুযোগ সুবিধা তৈরি করেছে। সবার জন্য শিক্ষা এটা নিশ্চিত করার তার মূল লক্ষ্য। এখানে কিছু শিক্ষক নিয়োগ দেয়া রয়েছে যাদের বেতন তিনি নিজেই দেন। সব মিলিয়ে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন সবাইকে নিয়েই। সেই অনুষ্ঠানে দূর দূর থেকে যথেষ্ট ভালো ভালো শিক্ষিত মানুষের আগমন ঘটেছিল। তার মধ্যে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের একজন অফিসারও ছিলেন। এছাড়াও ইসলামী ইউনিভার্সিটি টিচার কর কমিশনার অফিসার আরো বিভিন্ন গুণবান ব্যক্তি এখানে ছিলেন।
যথারীতি ভাবে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গান নাচ কবিতা আবৃত্তি সাধারণ জ্ঞান সাধারণ শিক্ষা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই অনুষ্ঠান সূচনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে দাওয়াতি লোকের ছিল প্রায় বারোশো এর উপরে। এই অনুষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের দ্বারাই তাদের সন্তানদেরকে এই স্কুলে পাঠানো এবং তাদেরকে সম্পূর্ণ শিক্ষা নিশ্চিত করা। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষার স্থান। এই অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত করা হয়েছিল এবং আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। এই অনুষ্ঠানে অভিভাবক বাবা-মা সবাই উপস্থিত ছিল। এখানে মেধাবী ছাত্রদেরকে দেয়া হয়েছিল সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। তাদের যতটুকু জ্ঞান ছিল সেই জ্ঞানের আলোকে তারা তাদের জ্ঞানকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছিল। এখানে বেশ ভালো কিছু ছাত্র নিয়ে আনা হয়েছিল তাদের জীবনী বলে তাদের জীবন সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিল জাতীয় ছোট ছোট সন্তানরা তাদের জীবনযাত্রা তাদের পড়াশোনা তারা কিভাবে জীবনকে এতদূর নিয়ে এসেছে এই সম্পর্কে তারা জানে এবং তাদের মধ্যে যেন সেই উদ্বুদ্ধ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ তাদের মনের এই জাগরণটা সৃষ্টি করতে চেয়েছে এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। আমি সচরাচর এত সুন্দর অনুষ্ঠান দেখি নাই। আসলে আগেই বলেছিলাম আমার ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই তার এত আয়োজন। মানুষটা বড়ই যদি তা নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য সব কিছু করতে তিনি প্রস্তুত
এখানে আপনারা যে ব্যাক্তিকে দেখতে পারছেন ইনি হলো এখানকার সহকারী টিচার। উনার সাথে আমি কথা বলেছিলাম উনি বলেছিল আমাদের যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে ততটুকু দিয়ে আমরা এখানকার ছেলেপেলেদের বড় করার চেষ্টা করব মানুষের মতো মানুষ করার জন্য তাদের সম্পর্ক ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেছিলেন আমাদের সব সময় আমার তাদের স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে আমরা সবকিছু করে যাব। যেহেতু এই স্কুলটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান সে তো ব্যক্তির দ্বারায় তারা পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। যদিও তাদের পারিশ্রমিক অল্প তারপরও তারা তাদের সাধ্যমত যতোটুকু পারেন তাদের শ্রম এখানে দিচ্ছেন। আজ সন্ধ্যার পেছনে রয়েছে ছোট ছোট কোমল সন্তানদের স্বপ্ন পূরণের জন্য। একটা দেশ এবং একটা জাতিকে তখনই এগিয়ে যাবে যখন ছোট ছোট বাচ্চাদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে পারবে। শিক্ষা যদি সুনিশ্চিত করা যায় তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে। আর এই ধারাতে আমি আমার ভাইকে ধন্যবাদ জানাবো কারণ তিনি যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন একটা সময় তিনি যে সফল হবেন এবং সেখানে যে অনেক কিছু সম্ভব হবে তা এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি প্রকাশ করেছেন। ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন এই অনুষ্ঠানে। যারা সব থেকে ভালো পারফরমেন্স করেছে তাদের জন্য রয়েছিল সুন্দর সুন্দর কিছু গিফট। অর্থাৎ তাদেরকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সব রকম ব্যবস্থা এখানে করা হয়েছিল।
যেহেতু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসেছিল সে তের জন্য ভাইয়ের কিছু খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। এখানে যে অতিথি গুলো এসেছিল এবং যেসব মানুষগুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সবার জন্য তিনি বিরানীর ব্যবস্থা করেছিলেন। সত্যি বলতে এই বিরিয়ানিটি আমি যখন খাইয়ে খেয়েছিলাম তখন খুব ভালো লেগেছিল এত সুস্বাদু ভাবে তৈরি করেছিল বলে বোঝাতে পারবো না। একটা মানুষের স্বপ্ন পূরণের অভিযানের জন্য কতটুকু তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন এর তা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। এখানে তিনি হাজার হাজার টাকা খরচ করছেন নিজের পকেট থেকে। আর এত কিছু খরচ করার পেছনে একটাই মূল উদ্দেশ্য হলো তার স্বপ্ন পূরণের অভিযানকে বাস্তবায়ন করা। সৎ উদ্দেশ্য সফল হয় আমি বিশ্বাস করি অবশ্যই একদিন তার এই উদ্দেশ্য সরল হবে এবং সে স্বপ্ন পূরণ অভিযানে অবশ্যই জয়যুক্ত হবেন। মানুষের ইচ্ছা শক্তি দ্বারা অনেক কিছু সম্ভব। আপনারা সবাই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন তার স্বপ্ন পূরণের অভিযান বাস্তবায়ন খুব শীঘ্রই করতে পারেন।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/fielded.acquisition.careers |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
দোয়া করি আপনার ফুফাত ভাইয়ের স্বপ্নগুলো যেন পূরণ হয়। আসলে যথাযথ শিক্ষার জন্য আমাদের জাতি এখনও অন্ধকারে রয়েছে। একমাত্র সঠিক শিক্ষায় পারে আলোর পথ দেখাতে। যেটা একজন শিক্ষকই পারে
ঠিক বলেছেন ভাই আপনার কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত।
https://twitter.com/ABashar45/status/1716435956092600374?t=kX-VirLFxhU9A_iYOUZrTQ&s=19
আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের স্কুলটাকে এলাকার মধ্যে একটু আলাদাভাবে প্রদর্শন করতে। এজন্যই মূলত স্বপ্নময় শিক্ষা এবং মানসিক বিকাশের সব এই কর্মশালাটা প্রত্যেক বছরই আয়োজন করে থাকে। যেহেতু অনেক দূর থেকে মানুষেরা এখানে আসে তাই সকলের জন্যই হালকা পাতলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
আমি আশা করি এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে একদিন অনেক দূর এগিয়ে যাবে।