ষড়ঋতুর শ্রাবণ মাস। |
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। যাইহোক সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ... |
পলিমার ক্লাই দিয়ে ডাই-পোস্ট। |
আমি আজকে আপনাদের মাঝে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পলিমার ক্লাই দিয়ে ডাই পোস্ট । পলিমার ক্লাই দিয়ে ডাই-পোস্ট এটাই আমার প্রথম পোস্ট। এই পলিমার ক্লাই প্রথম উৎপন্ন হয় গুজরাটে। ওরা এই পলিমার ক্লাই দিয়ে লিপ্পন আর্ট তৈরি করতো। তাই আমি আজকে আমার তৈরিকৃত ডাই পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ক্রমিক নম্বর | উপাদান |
১ | পলিমার ক্লাই। |
২ | কাঠি। |
৩ | চামচ। |
প্রথমে ঘিয়ে কালার পলিমার ক্লাই নিয়ে সেটি গোল করে রুটির মতো বেলে নিয়েছি।
এবার বেলে নেওয়া পলিমার ক্লাইটিকে কাঁটা চামচ দিয়ে চারকোণা করে কেটে নিয়েছি। যাতে এটি দেখতে বইয়ের মতো লাগে।
এবার বই এর কভার বানানোর জন্য লাল পলিমার ক্লাইটিকে গোল করে রুটির মত বেলে নিয়েছি।
এবার এর ওপরে আগের তৈরি করা বইয়ের অংশটি রেখে
কভারের মাপ নিয়ে কেটে নিয়েছি। কেটে নেওয়ার পরেই তৈরি হয়ে গেল লাল মলাটের একটি বই।
লাল মলাটের বইটি যেভাবে তৈরি করেছি ঠিক সেইভাবেই নিল মলাটের আরেকটি বই তৈরি করে নিয়েছি।
এবার দুইটি বই এমন ভাবে সাজিয়ে রেখেছি যেন দেখে মনে হয় বইগুলো এলোমেলো ভাবে তাঁকে সাজানো আছে।
এবার একটি বিড়াল বানানোর জন্য সাদা পলিমার ক্লাই গোল করে বিড়ালের বডির মাপের মতো আকার দিয়ে নিয়েছি।
এবার গোলাপি পলিমার ক্লাই দিয়ে বিড়ালের কান তৈরি করেছি এবং সেটি বিড়ালের মাথার সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছি।
এবার বিয়ারের চোখ ও নাক তৈরি করে নিয়েছি।
এখানে বিড়ালের গোঁফ তৈরি করে নিয়েছি। গোঁফ তৈরির পর বিড়ালটিকে বইয়ের তাকের উপর বসিয়ে দিয়েছি।
সাদা পলিমার ক্লাই দিয়ে বিড়ালের পা তৈরি করে নিয়েছি। এটি এমন ভাবে লাগিয়েছি যেন দেখে মনে হয় এটি বইয়ের তাঁকে বসে আছে।
এই ধাপে বিড়ালের আমি একটি লেজ তৈরি করে নিয়েছি।
এই ধাপে বইয়ের তাঁকে একটি বিড়ালের ডাই পোস্ট তৈরি সম্পন্ন করেছি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
ডিভাইস | poco M2 |
লোকেশন | মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফি | ডাই পোস্ট |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/ABashar45/status/1687429686316695552?t=UWl6In4p32Y4cxNxJ1nZKQ&s=19
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা জিনিস তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। এর আগে আমি এই ধরনের কোন জিনিস তৈরি করতে দেখিনি তাই আমি এটা দেখে প্রথমেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পলিমার ক্লাই দিয়ে ডাই পোস্ট তৈরী। আসলে আপনার তৈরি ডাই পোস্ট দেখতে আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আসলে দেখে বোঝা যাচ্ছে বিড়ালটি তৈরি করতে আপনি অনেক সময় ব্যয় করেছিলেন। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে তুমি ঠিকই বলেছো ভাগ্নে এ ধরনের পোস্ট গুলো তৈরি করতে অনেক সময় লাগে।
আপনি তো দেখছি অসাধারণ ডাই পোস্ট তৈরি করলে পলিমার ক্লাই দিয়ে দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি ইউনিক ডাই পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। এটা যেহেতু পলিমার ক্লাই দিয়ে তৈরি করেছেন আপনার প্রথম ডাই পোস্ট হিসেবে দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
এই ক্লেগুলো দিয়ে বাচ্চারা খেলতে খুবই পছন্দ করে। আমার বাচ্চাদেরতো এগুলো পেলে আর কিছু লাগেই না। আপনি আজকে ক্লে দিয়ে খুব সুন্দর একটি বিড়াল তৈরি করেছেন। এগুলো দিয়ে কোন কিছু তৈরি করতে গেলে অনেক সময় লাগে। আপনার বিড়ালটি অনেক সময় নিয়ে তৈরি করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। যার কারণে এত সুন্দর হয়েছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার ডাই পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনি ক্লে দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে একটি বিড়াল করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। দারুন হয়েছে। আমার ছেলে এই ক্লে দিয়ে খেলা করতে খুব পছন্দ করে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি ডাই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ইস আপু যদি আগে থেকে জানতাম তাহলে এই ক্লাইটা আপনার ছেলের জন্য পাঠিয়ে দিতাম।
পলিমার ক্লাই দিয়ে খুবই সুন্দর একটি বিড়াল আপনি তৈরি করেছেন। ক্লাই দিয়ে কখনো আমি কোনো কাজ করিনি তবে খুবই ইচ্ছা আছে এ ধরনের কাজগুলো করার। ক্লাই দিয়ে কাজ করতে অনেকটাই সময় লাগে এবং খুবই নিখুত ভাবে করতে যেটা আপনি করেছেন। ক্লাই দিয়ে তৈরি বিড়ালটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুন্দর একটি কাজ শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু এসব জিনিস গুলো তৈরি করতে সময় লাগে। আর কষ্ট না করলে তো কোন কিছু ভালো করা সম্ভব নয় ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইজান যা দেখছি দিন দিন তুমি অনেক পারদর্শী হয়ে উঠছো বিভিন্ন বিষয়ে। মাঝেমধ্যে গান বলো, এদিকে কবিতা লিখ, অনেক সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউ কর। এখন দেখছি অসাধারণভাবে পুতুলের দৃশ্য তৈরি করে দেখিয়েছো, আসা করি আরো পারদর্শী হবে তুমি।
ইনশাআল্লাহ আপনার কথা যেন সত্যি হয় ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া গুজরাটে উৎপন্ন হওয়া পলিমার ক্লাই আমিও মনে হয় প্রথম দেখলাম। তবে আর যায় বলেন আপনার বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারলাম না। এত সুন্দর কিউট বিড়াল তৈরী করেছেন যেটা দেখতে সত্যকারের বিড়ালের মতেই লাগছে। ধন্যবাদ।
জি ভাই গুজরাটে তৈরি হতো এই পলিমার ক্লাই আর তারা নিপ্পণ আর্ট তৈরি করতেন।