গল্প:- কাজের মেয়ে বিন্দীর গর্বিত সন্তান।

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো একটি গল্প , আর এই গল্পের নাম কাজের মেয়ে বিন্দীর গর্বিত সন্তান। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...


IMG_20230826_062046.png


আজকেউ দেরি করে আসবে। রোজ রোজ এই কাজে ফাঁকি দেওয়া আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আজ আসুক বিন্দি..! বিন্দীকে নিয়ে গিন্নীর এই হুংকারে সকালের ঘুমটা ভেঙে গেল। চোখ ডলতে ডলতে উঠে গিন্নীকে জিজ্ঞেস করতেই গিন্নী আর এক দফা চেঁচিয়ে উঠলো। এরই মাঝে বিন্দীও এসে পড়ল। কিরে বিন্দী এতো দেরি করলি কেন? তুই তো জানিস সকালে আমার স্কুল থাকে, তোর ভাবির অফিস থাকে। আচ্ছা ভাইয়া কাল থেকে আর দেরি হবে না। আচ্ছা যা কাজ গুলো করে দে ঝটপট।


এই বলে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে সোফায় বসতেই বউ রেগেমেগে তেড়ে এসে বললো, শোনো তোমার ওই মিষ্টি কথাতে বিন্দীর কিছুই হবে না, কাজ থেকে তাড়িয়ে দাও ওকে। বউকে বুঝিয়ে বললাম গরীব মানুষ এভাবে তাড়িয়ে দিও না। আর কিছু দিন দেখো। ওর ও তো কিছু কাজ থাকতে পারে। দেরি করে আসলেও তোমার সব কাজ সে করে দেয়। আমার কথা শুনে গিন্নী রাগে গজরাতে গজরাতে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল। গিন্নী চলে যেতেই দেখি বিন্দী দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে। কিরে কিছু বলবি? ভাইয়া যদি ২০০ টাকা আমায় দিতেন। তুই দেখি প্রায়ই টাকা চাস! কি করবি টাকা? কাল আমার ছেলের পরীক্ষা আছে ওকে ডিম কিনে খাওয়াবো। অনেক রাত জেগে পড়ে তো। শরীর টা ভেঙে গেছে। আচ্ছা এই নে টাকা। আর শোন দেরি করে আসবি না তোর ভাবি কিন্তুু তোকে ছাড়িয়ে দিবে।


তখন সে বলে, আমি তো ইচ্ছে করে দেরি করি না ভাইয়া। যেদিন ছেলেটার পরীক্ষা থাকে সেদিন ওর জন্য রান্না করে রেখে আসতে দেরি হয়ে যায়। ভাবি ছাড়িয়ে দিলে আর কি করার। আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোর ভাবিকে বুঝয়ি বলবো তুই এখন যা আমার টিফিন টা নিয়ে আয় আজ দেরি হয়ে গেল। এর কিছু দিন পরে বিন্দী কাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় এসে বলে ভাইয়া আমার কালকের জন্য ছুটি লাগবে। এই কথা শুনে গিন্নী বলে উঠলো, কাল তোকে ছুটি দিতে পারবো না। আমার শরীর টা ভালো নেই। তোমার শরীর তো ভালোই আছে। কিছু তো হয় নাই, তাইলে মেয়েটাকে ছুটি দিলে না কেন। তুমি বুঝবে না। এসব মেয়েরা সব সময় শুধু ছুটি নেওয়ার ধান্দা করে। তাই মিথ্যা বললাম।


সকালে গিন্নি চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে গেল। গিন্নিকে জিজ্ঞেস করতেই গিন্নি বললো বিন্দি আজকে না বলেই কাজে ফাঁকি দিয়েছে। ইনিকে বুঝিয়ে বললাম বিন্দিত এমন মেয়ে নয় যে না বলে কাছে ফাঁকি দিবে হয়তো সে আজ অসুস্থ বা কোন কাজে আটকে গেছে। আমার কথা শুনে গিন্নি আরও রাগারাগি শুরু করলো। যাইহোক আমার যেহেতু আজ তাড়া ছিল তাই গিন্নির কথায় পাত্তা না দিয়ে কোন রকম নাস্তা করে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। স্কুলে আজ একটি অনুষ্ঠান ছিল। স্কুলে পৌঁছে দেখি অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। আমি গিয়ে আমার আসনে বসলাম। সবার বক্তব্য শেষে যে ছাত্রটি গণিত অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাকে পুরস্কার দেয়ার জন্য মঞ্চে ডাকা হলো । তাকে তার নিজের সম্পর্কে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করা হলো। সে তার নিজের সম্পর্কে অনেক কিছু বললো। বলার পর সে তার মাকে মঞ্চে ডাকার জন্য অনুরোধ করলো। কারণ তার এই সাফল্যের পেছনে সব থেকে বড় অবদান রয়েছে তার মায়ের। যখন পেছন থেকে তার মা মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন তার মাকে দেখে আমি থমকে গেলাম। কারণ আমাদের স্কুলের এই গর্বিত ছাত্রটির মা আমার বাড়ির কাজের মেয়ে। যে আজ কাজে না আসায় বাড়ির গিন্নি অনেক রাগারাগি করেছিল। নিজের অজান্তেই চোখের কোনে জল জমা হলো। মনে মনে ভাবলাম আমাদের মত কিছু মানুষ আছে যারা মনে করে এদের মত গরীবের ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারে না, এদের ছেলেমেয়েরা সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে না। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি পৌছালাম। বাড়িতে এসে গিন্নিকে সমস্ত কিছু খুলে বললাম আমার কথা শুনেই সে খুব অনুতপ্ত হলো।


পরের দিন সকালে বিন্দি ভয়ে ভয়ে বাড়িতে ঢুকছিল এবং চুপচাপ সব কাজ সেরে গিয়েছিল। বিন্দি বাইরে যাওয়ার সময় গিন্নি তাকে বসার ঘরে ডেকে ভালো ভালো কিছু খাবার ও পোশাক তার হাতে দিয়ে বলে এগুলো তোর ছেলেকে গিয়ে দিবি। আর আমাকে আমার ব্যবহারের জন্য ক্ষমা করে দিস। আমি না জেনেই তোর সাথে অনেক অন্যায় করেছি। আজ থেকে তোর ছেলের পড়াশোনা সমস্ত দায়িত্ব আমার। এই কথা শোনা মাত্র বিন্দীর চোখে জল চলে আসলো। বিন্দি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালো।


ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন মেহেরপুর

ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxFqYAEtmnwbJrshP4Tdaov4BmxkXJqLhx2USjht6Vy2soth7e34k1TKBQ2RZ2vXNJBF8X9uKH9aLNKFV...xU6W1ggWaLoBhkXz82k34bfNqfnFypapZe2oHzEHELJzLj6msr2RorLQSivfSXJaPiBZmUdQYzewFKsaGxDCyC6yRhEDYu8mNwzeEnkjmmjmpLrQEyQZKZnCTp.png

Sort:  
 last year 

সত্যি ভাইয়া আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কখনো মেনে নিতে পারে না যে গরীব মানুষ ও ভালো হতে পারে।আর কিছু কিছু মহিলারা কাজের মানুষকে মানুষ মনে করে না, তাদের ও যে ছেলেমেয়ের পিছে একটু কাজ থাকতে পারে।যাইহোক ভাইয়া এমন গর্বিত সন্তান ঘরে ঘরে থাকা দরকার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।

 last year 

অনেক সময় সমাজের এই ধরনের ধনী ব্যক্তিরা ভুলে যায় গরিব মানুষেরাও মানুষ। তাদেরও আমাদের মত সবকিছু প্রয়োজন আছে। নিজেদের মতো তাদেরও পারিবারিক কোনো কাজকর্ম থাকতেই পারে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ভালো লাগলো গল্পটি খুব ভাই। আসলেই বিন্দি তার ছেলের জন্য খুবই গর্বিত । আর হবেনা কেন। ছেলে যে বিজয়ী হয়েছে। আর ভালো লাগলো যে বাড়ির গিন্নি তার ভুল বুঝতে পেরেছে। বিন্দির ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে তারা মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে।

 last year 

অনেক সময় মানুষ তার নিজের অহংকারের বসে অনেক ভুল করে থাকে। কিন্তু তখনই ভালো লাগে যখন তার ভুলটা বুঝতে পারে এবং নিজেকে আত্মশুদ্ধি করে নেয়। ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আসলে বেশিরভাগ মানুষ মনে করে গরিব মানুষেরা পড়ালেখা করতে পারবে না। কিন্তু দেখা যায় গরিব ছেলেমেয়েরাই স্কুলের গর্ব হয়। বিন্দি নিজের ছেলের জন্যই এত দেরি করত। আর ওই বাড়ির মালকিন বিন্দির সাথে কিন্তু অনেক খারাপ আচরণ করতো। সবশেষে তিনি অনুতপ্ত হয়েছিলেন এবং বিন্দির কাছে ক্ষমা চেয়ে ছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো।

 last year 

ভাই বড় লোকেরা মনে করে শুধু তার ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করবে গরিবের ছেলেরা নয়। কিন্তু এটা তাদের ভুল ধারণা। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য।

 last year 

খুবই সুন্দর একটি গল্প প্রকাশ করেছেন আপনি। সমাজের মানুষ কখনোই গরীব মানুষকে মানুষ মনে করে না৷ তারা ভালো হলেও তাদের খারাপ বলে৷ এরকম গর্বিত সন্তান সকলের ঘরে ঘরে থাকার দরকার রয়েছে।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

গরিব মায়েদের যদি এরকম একটা সন্তান থাকে তাহলে তাদের আর কিছুই লাগে না। বিন্দী কাজের মেয়ে হলেও সে কিন্তু তার ছেলেকে অনেক ভালোভাবে পড়ালেখা করিয়েছে। আর ছেলেটা এখন পুরো স্কুলের গর্ব। জেনেশুনে গরিবদের সাথে খারাপ আচরণ করা একেবারেই ভালো না। ওই মহিলাটি অনেক খারাপ আচরণ করেছিল বিন্দীর সাথে। পরবর্তীতে তার ছেলের পড়ালেখার খরচ ওই মহিলাটি নিয়েছিল এটা জেনে ভালো লাগলো।

 last year 

এটা হলো আমাদের বর্তমান সমাজের অবস্থা। কিন্তু ধনীদের এটা মনে রাখা উচিত গরীবেরাও মানুষ। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ভাইয়া আপনি খুবই সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে যারা বড়লোক তারা গরিবদের কে মূল্যায়ন করতে পারে না। তারা মনে করে গরিব তো গরিবই তারা কি মানুষ নাকি? তার এখনো জায়গায় যেতে পারে না। কিন্তু আমাদের সমাজে অনেক গরিব ঘরের সন্তানেরাই সাফল্যের দার প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে।

 last year 

বর্তমানে দেখা যায় ধনীদের ছেলেদের থেকেও গরিবের ছেলেরা এখন সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এখনো সমাজের এমন মানুষ আছে যারা মনে করে গরিবদের ছেলে মেয়ে লেখাপড়া শিখতে পারেনা, যাবতীয় সবকিছুতে পিছিয়ে। কিছু কিছু মানুষ কাজের মহিলাকে এত খারাপ চোখে দেখে যা বলার বাহিরে। যাইহোক পরবর্তীতে গিন্নি নিজের ভুল বুঝতে পেরে বিন্দির ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। গল্পটি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

 last year 

গরিব মহিলাদের সাথে খারাপ আচরণ করে বেশির ভাগ শহরের মানুষেরা। এরা গরীব মানুষদেরকে মানুষই মনে করে না। কিন্তু তারাও তো রক্তে গড়া মানুষ। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন কাজের মেয়ে সম্পর্কে। আসলে আমাদের সমাজে এখন বেশিরভাগ মানুষই মনে করে গরিব মানুষ লেখাপড়া করতে পারে না। আসলে কাছের মহিলার সাথে খারাপ আচরণ করায় বেশ কষ্ট লেগেছিল প্রথম দিকে একটু। পরবর্তীতে গিন্নি তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল এবং বিন্দির ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে জেনে বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি শিক্ষনীয় গল্প শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আসলে ভাগ্নে কাছের মহিলা না, কাজের মহিলা। হ্যাঁ আমাদের সমাজে অনেকই আছে যাদের সন্তানরা ভালো পড়াশোনায় কিন্তুু তারা আর্থিক অবস্থার জন্য তাদের সন্তানদেরকে মানুষ করতে পারে না। তারা অন্যের বাসায় কাজ করলে অবহেলিত হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58482.75
ETH 2615.94
USDT 1.00
SBD 2.42