কেরাম বোর্ডে সেমিফাইনাল খেলার লড়াই।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কেরাম বোর্ডের ফাইনাল খেলার লড়াই। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
কেরাম বোর্ড খেলাটি সবার কাছেই কম বেশি জনপ্রিয় একটি খেলা। গ্রাম অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর অঞ্চলের সব জায়গায় এই খেলা দেখা যায়। যারা এই খেলাটি পারে তাদের কাছে বেশ আনন্দদায়ক। আমাদের গ্রামে পানের দোকানে আমরা প্রত্যেক দিন এই খেলাটি করে থাকি। হঠাৎ করে ভাবলাম আমরা ক্যারাম বোর্ডের প্রতিযোগিতা ছাড়ি। আমাদের এখানে যারা মোটামুটি ভালো খেলে এবং যারা তাদের তো একটু কম খেলে এই নিয়ে আমরা দুটি ক্যাটাগরি ভাগ করি। এটিএম এবং বিটিম। দুইটি দলে বিভক্ত করে তাদের মধ্যে লটারির মধ্য দিয়ে প্লেয়ার ভাগাভাগি করে নেই। সেই খেলাটি চলছিল আমাদের বেশ কয়েকদিন ধরেই। আজকে সেই খেলা সেমিফাইনাল খেলা চলছে। এই খেলায় একদিকে প্রতিযোগিতা করছে সবুজ টিম আরেকদিকে লাল টিম। সবুজ টিমের প্রতিনিধি করছে মাসুদ এবং লাল টিমের প্রতিনিধি করছে দাউদ। খেলার শুরুতেই মাসুদ প্রথম হিট পাই। আপনারা দেখতে পারছেন কেরাম সাজানো হয়েছে এবং হেড নেয়ার জন্য প্রস্তুত নিয়েছে মাসুদ। মাসুদের সম্পর্কে কিছু কথা বলে আপনাদের এই ছেলেটা খুবই ভালো খেলে। প্রতিটা মার খুবই নিখুঁত। তার চমৎকার খেলা দেখার জন্য অনেক মানুষ এখানে ভিড় জমিয়েছে।
এখানে আপনারা যে প্লেয়ারটাকে দেখতে পারছেন এর নাম ছবির। দুইটা ক্যাটাগরির মধ্যে বি- ক্যাটাগরি প্লেয়ার। যদিও এ দিতো শাড়ির পেলে তবুও সে অনেক ভালো খেলে থাকে। তার খেলার মধ্যে একটা ভালো গুণ রয়েছে সেটা হল সে কখনো শর্ট গুটি মিস করে না। তবে আমরা যে ক্যারামবোর্ডে খেলছি এই ক্যারাম বোর্ডটি মারাত্মক গুটি উঠে যায়। আপনি একটু আস্তে মারলে বা জোরে মারলে যদি ডাইরেক্ট হয়ে যায় তাহলে গুটিয়ে উঠে যায়। তাই এখানে খেলতে হলে খুবই সাবধানতার সাথে খেলতে হয়। তবে একলার একটি খারাপ দিক রয়েছে সেটা হল ব্যাচের গুটি সে খুব একটা ভালো খেলতে পারে না। আপনারা দেখতে পারছেন ব্যাচ মারতে গিয়ে সে বিভিন্ন ধরনের নকশা করছে। আসলে এটা কত বলার কারণ হলো শেষ পারেনা বলে তার নিজের কাছে একটু নার্ভাস অনুভব করছে। কেরাম বোর্ডে প্রত্যেকটা গুটি খেলার মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি আছে। কেন বলে আশেপাশের মানুষজনগুলো নীরব নিস্তব্ধে খেলা দেখে যাচ্ছে।
এবার আপনারা যে ব্যক্তিকে দেখতে পারছেন এর নাম দাউদ এই হল এই টিমের ক্যাপ্টেন। এই ছেলেটা বি- ক্যাটাগরী হলেও এর বেশ ভালো খেলে থাকেন। যদিও এরা সবাই গ্রামের মানুষ সারাদিন কাজকর্ম ব্যস্ত থাকার পরে রাতে একটু আনন্দ নেয়ার জন্য এই খেলা গুলো পড়ে থাকে। তবে খেলা যখন ফাইনাল খেলার লড়াই তখন সবাই যাবে যে একটু ভালো করে খেলতে। হিটলারের একটা খারাপ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যদি একটু খারাপ খেলে তাহলে আর ভালো খেলতে পারে না। যাকে বলে ক্যারাম বোর্ড খেলায় কাপাকাপি স্বভাব রয়েছে। মাঝেমধ্যে গুটি ঢুকতে পারে না। এই সময় গ্রাম্য ভাষায় একটা কথা বলে যে ফিতে পড়ে গেছে। অর্থাৎ শেয়ার গুটি ফেলতে পারছে না বলে এই কথাটি বলে থাকে। আমরা সবাই পাশে দাঁড়িয়ে চুপ করে তাদের খেলা দেখতে থাকি।
আপনারা এখানে যে ছেলেটাকে দেখতে পারছেন এর নাম সোহেল। আমাদের গ্রামের দশটা ভালো প্লেয়ারের মধ্যে এই একজন। কিন্তু এর জন্য দুর্ভাগ্য ছিল ওই দিন। শেষ কোনমতেই ভালোভাবে খেলতে পারছিল না। যার জন্য প্রতিপক্ষ তার উপরে চওড়া হয়ে ওঠে অর্থাৎ তারা খুবই ভালো খেলে। সে যথেষ্ট চেষ্টা করছিল ভালো খেলে নিজের দলটাকে জেতার জন্য। কিন্তু তার খেলা না হওয়ার কারণেই তারা পরাজিত হয় শেষ পর্যন্ত। আসলে প্রতিদিন কোন প্লেয়ারের ভালো খেলা হয়ে ওঠেনা। আর আমার মনে হয় এই দিনটা তার ছিল যার জন্য সে ভালো খেলা করতে পারল না। তার উপর ভরসা করেই কিন্তু তারা সেমিফাইনালে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত মাসুদের এর কাছে তারা পরাজয় হয়। আর এই পরাজয়ের ফলে তারা সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে। সহোজ জয়ের মধ্যে দিয়েই মাসুদ এবং সমীর সেমিফাইনালে উঠে যায়। ফাইনালে তাদের জন্য শুভকামনা রইলো। শেষ পর্যন্ত তারা ট্রফি জয়লাভ করতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফি | কেরাম বোর্ড |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1729706549105340609?t=fDpEZC7-gY5keVmadQX4Ow&s=19
একটা সময় আমাদের এলাকায়ও কেরাম খেলার টুর্নামেন্ট হত।যদিও এখন টুর্নামেন্ট তো দূরে থাক ক্যারাম খেলাই খেলে না। এখান সবাই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। যাইহোক অনেকদিন পর আপনার পোষ্ট এর মাধ্যমে কেরাম খেলার টুর্নামেন্টের বিষয়বস্তু দেখতে পেলাম। খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই যেহেতু বয়স হয়ে যাচ্ছে তাই ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার মত সে তেমন সময় বা ধৈর্য নেই। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করে থাকি একটু একটু করে কেরাম বোর্ড খেলার জন্য।
কেরাম বোর্ড খেলতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে যদিও আমি খুব একটা পারিনা। তবে খেলা দেখার মধ্যে ভালোলাগা তখনই আসে যখন খেলার মধ্যে লড়াই সৃষ্টি হয়ে যায়। আপনি বেশ সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক কিছু আছে নিজে না পারলেও নিজের কাছে ভালো লাগে। তবে খেলাটি অনেকটা সহজ একটু চেষ্টা করলেই পারা যায়।
ক্যারাম বোর্ড খেলার বিষয়টি গ্রামের দিকে বেশ জনপ্রিয়। খেলোয়াড় ভালো হলেই যে প্রতিদিনই সে ভালো খেলবে তেমনটা ঘটে না। তাই তো সেই দিন মাসুদের কাছে সোহেলকে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছিল। আপনাদের এই ক্যারাম খেলা সম্পর্কে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। এরকম ক্যারাম খেলার টুর্নামেন্ট গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়।
গ্রাম অঞ্চলের মানুষরা অনেকটা সুখী। এরা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে সন্ধ্যা হলে এরা খেলায় মেতে ওঠে। একটু আনন্দ বিনোদনের জন্য তারা ক্যারামবোর্ড টুর্নামেন্ট ছেড়ে দিয়েছে। দুর্দান্ত একটা টুর্নামেন্ট চলছে আমাদের এখানে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।