ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- বেঁচে থাকলেই মানুষ বদলায়।

পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্ন থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত বহু মানুষের আগমন। একদিকে যেমন মানুষ পৃথিবীর বুকে এসেছে অন্যদিকে মানুষ পৃথিবী থেকে চলেও গেছে। মানুষের এই যাওয়া আশার মধ্য থেকে কিছু মানুষ কিছু জিনিস রেখে যায়। আবার কিছু মানুষ মরার পর পরে হারিয়ে যায় অর্থাৎ শেষ হয়ে যায়। যারা মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকে তারাও মানুষ। আবার যারা মৃত্যুর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায় তারাও মানুষ। এই দুই মৃত্যুর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ একই পথে হাঁটে না। পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ একইভাবে জীবন যাপন করে না। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনযাপনের ধারাটা ব্যতিক্রম। একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যুর মাঝখানে যেকোনো সময় সে বদলে যায়। তাই কথাই বলে বেঁচে থাকলে মানুষ বদলায় কারণে অকারণেই বদলায়। আজকে আমি মানুষের জীবনে কারণে অকারণে বদলানোর কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো আশা করি ভালো লাগবে।

পৃথিবীতে বহু মানুষ বহু পেশায় নিয়োজিত। যে যেভাবে পারে সে সেভাবে নিজের পকেট পোড়ার চেষ্টা করে। কোনটা হালাল কোনটা হারাম কেউ বিচার করে চলে না। সবারে একটাই ধান্দা থাকে কিভাবে ইনকাম করতে হবে কিভাবে পকেট ভর্তি করতে হবে। আর এই বিষয়টা সে যেভাবেই হোক না কেন পড়ার চেষ্টা করে। আমার পরিচিত একজন ব্যক্তির কথা আপনাদের মাঝে আজকে তুলে ধরবে কিভাবে মানুষ বদলে যায়। আমি যে ব্যক্তির কথা বলছি তারা ভাই ছিল চারটা বোন ছিল দুইটা। তাদের ভাবের নিজস্ব তেমন জমি-জামা ছিল না। তারা সবাই অন্যের বাড়িতে কাজ করতো আজ হবে তাদের জীবন চলতে থাকতো। সত্যি কথা বলতে তারা তিন বেলার মধ্যে এক বেলা বাড়িতে খেতে পারতে পারতো না দুই বেলা যে বাড়িতে কাজ করত সেই বাড়িতে খেয়ে তাদের জীবন ধারণ করত। এর মধ্য থেকে মাঝেমধ্যে তারা স্কুলে যেত যেত না। তাদের চার ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই পুরোপুরি মাঠে কাজ করতে লাগলো এবং দুই ভাই লেখাপড়া শিখতে লাগলো এভাবে চলতে থাকল তাদের জীবন।

অন্যের জমিতে কামলা খাটা এবং দুই ভাই অন্যের বাড়িতে কাজ করার পাশাপাশি লেখাপড়া করতে লাগলো। যে দুই ভাই অন্যের বাড়িতে কাজ করতো তাদের মধ্যে একটা জেদ কাজ করতে যেকোনো ভাবেই তারা কিছু না কিছু একটা করবেই। তাদের এ জীবন চলতে লাগলো খুবই কষ্টের তবে তারা লেখাপড়া কখনো বন্ধ রাখত না। এভাবে চলতে চলতে তারা একটা সময় মাধ্যমিক গণ্ডি পার করে। এরপরে বড় ভাইটা ভূমি অফিসে পিওনের কাজ করে। নিজের বুদ্ধির জোরে সেখান থেকে বেশ ভালোমতো ইনকাম করতে থাকে সে। আস্তে আস্তে তাদের কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। এরপরে ছোট ভাইটা ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে তারপরে একটা রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে অনেক বিষয়ে চান্স পাই এবং একটি সাবজেক্টের উপরে ভর্তি হয়। এরপরে সে সেখানে অনার্স মাস্টার্স পাশ করে। পরবর্তীতে সে ভালো একটা চাকরি পায়। এভাবেই তাদের জীবনের বিশাল পরিবর্তন ঘটে। ছোট ভাইটা নিজের মত সেটেল হয়ে যায়।

বেঁচে থাকলে মানুষের জীবন বদলে যায় তার বাস্তব উদাহরণ এরা দুই ভাই। ছোট ভাইটা এখন বড় পোস্টে চাকরি করে বড় ভাইটা আস্তে আস্তে করে মানুষের দিয়ে সে নিজে একটা সরকারি কলেজের পিয়ন। সব মিলে যে মানুষগুলো একটা সময় খেতে পারত না এখন তারা অনেক ভালো রয়েছে। চেষ্টা মানুষকে জীবনকে অমল পরিবর্তন করতে পারে। কার ভাইকে কতটুকু জিনিস কতটুকু সুখ কতটুকু রিজিক রেখে দিয়েছেন সেটা সৃষ্টি করতে জানেন। এটা বোন ছিল এর মধ্যে একটা বোনের বর থাক বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায় এবং ছোট বোনটা পাশাপাশি লেখাপড়া করে। পরবর্তীতে সে এসএসসি পাস করার পরে পুলিশের মধ্যে চাকরি পাই। এরপরে বড় ভাইটি যেখানে কাজ করতে মেজো ভাইকে সেই কাজের মধ্যে পরবর্তীতে ঢুকিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে তাদের পরিবারের সবাই এখন ভালো উপার্জনের একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে। মানুষের কর্ম যদি ভালো থাকে অবশ্যই একদিন না একদিন ভালো কিছু সে করবেই। তাদের পরিবার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ।

পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষের জীবন বদলায়। কারো জীবন কর্মের মধ্য দিয়ে বদলায় কারো জীবন অলৌকিকভাবে বদলায় অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত ভাবে। এই বদলানোর মধ্যে অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। কেউ ভালো থেকে খারাপ হয় কেউ খারাপ থেকে ভালো হয়। মন্দ নেই মানুষের জীবন। পৃথিবীর সব কিছু একটা বড় উদাহরণ। প্রত্যেকটা জায়গা থেকে শুধু মানুষকে শিক্ষা নেওয়া উচিত হোক সে ভালো বা খারাপ জায়গা থেকে।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।