লাইফ স্টাইল:- বিয়ের শেষ মুহূর্ত।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো বিয়ে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া মুহূর্তে শেষ করে বাসায় ফেরার মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
কাজকর্ম শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সবাই বাড়ির জন্য প্রস্তুত। আমরা খাওয়া দাওয়া করার পরপরই বাড়িতে চলে এসেছিলাম। আসলে যেখানে বিয়েটা হয়েছিল সেখান থেকে ছেলের বাড়ির দূরত্ব মাত্র তিন থেকে চার মিনিট পথ। আমরা বাড়ি চলে আসার পরে মিনিমাম আধা ঘন্টার মধ্যেই তাদের কার্যক্রম শেষ করে বরের গাড়ি নিয়ে তারা বাড়ির দিকে আসছিল। এর মধ্যে আমরা সবাই বাসর ঘরে কার্যক্রম গুলক সম্পন্ন করেছিলাম। আপনারা সবাই জানেন বাসর ঘরের কিছু সাজা গুজার কাজ রয়েছে। আয়েশার কাজ করলে কিছু পয়সাও পাওয়া যায় হাহাহা। যাইহোক বাসর ঘরের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে, আরো আনুষঙ্গিক কিছু কাজকর্ম থেকে থাকে সেই কাজগুলো সবাই মিলে আমরা সম্পূর্ণ করলাম। আমরা সবাই বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম নতুন বউয়ের আগমনের জন্য।
আমাদের কাজ শেষ হতে হতে গাড়ি চলে আসলো এবং গাড়ি আসার পরে ড্রাইভারকে বলা হল ছেলে বউকে নামিয়ে দেন। ড্রাইভারদের এখানে একটা ছোট্ট ইনকাম রয়েছে সেটা হলো তারা এখানে কিছু বকশিশ নিয়ে থাকেন। মাইক্রো ভাড়া টা তাদের একটা মূল টাকা আর এটা হচ্ছে স্বাভাবিক একটা বকছিস এখানে যার যতটুকু ইচ্ছা সে সেভাবে দিয়ে থাকেন। সেখানে তারা তিনটা মাইক্রো গিয়েছিল সেই হিসেবে তারা ছয়শত টাকা নিয়েছিল বকশিশ হিসাবে। বকসিস দেয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে বাড়ির ভিতরে মানুষদের বলা হয়েছিল যে কিছু পানি শরবত এবং মিষ্টি আনার জন্য। তারা সেগুলো আনার জন্য প্রস্তুত করলো এর মধ্যে যে বর তার বোনের ছোট বাচ্চা ছিল সে বাচ্চাটাকে মাইক্রো মধ্যে আমরা ঢুকিয়ে দিলাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বাচ্চাটি নিয়ে বর বসে আছে। আপনারা সবাই বাচ্চাদের জন্য দোয়া করবেন বাচ্চাটি অসুস্থতা ভুগছে অনেকদিন যাবত।
এরপরে ছেলের মা মিষ্টি পানি এবং শরবত নিয়ে আসলো। এটা কিন্তু অনেক আনন্দের একটা সময় শাশুড়ি বেটার বউকে মিষ্টি খাওয়ায় দিবে নিজের ছেলেকে মিষ্টি খাওয়াবে। প্রতিটা পুরুষ মানুষের জীবনে এমন মুহূর্ত একবারের আসে। অবশ্য এখানে মিষ্টি যখন খাওয়ায়ে ছিল তখন আমি দেখছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম যে এতোটুকু করে মিষ্টি দিলে সেটা কি করে খায় মেলা অনেকগুলো মিষ্টি একবারেও দিবে খাবে একটা মজা আসবে। আসলে আমি একটু মিষ্টি খেতে বেশি পছন্দ করি তো তাই আমিও আমার কাছে মনে হয় যেন বেশি করে মিষ্টি খাবে। প্রথমে মেয়ের মুখে মিষ্টি দিল এবং পানি দিল। এরপর ছেলের মুখে মিষ্টি দিল এবং পানি দিল। মিষ্টি খাওয়ার সম্পন্ন হওয়ার পরে কিছুক্ষণ ছেলে এবং মেয়ে মাইক্রো মধ্যে বসে ছিল। আসলে সেখানে একজন আসার কথা ছিল তার দেরিতেই এই দেরিটা হয়ে গিয়েছিল। আসলে কিছু এলাকায় কিছু কার্য সম্পাদন করতে হয়। আর তার জন্য এখানে একটু দেরি হয়ে গেছিল। যাক এখানকার কাজ সম্পাদন হওয়ার পরে ছেলে এবং ছেলে বউকে বাসর ঘরে নিয়ে আনা হইল। তাদের দাম্পত্য জীবনে সূচনা ঘটলো। প্রত্যেকটা পুরুষ এবং মহিলার জন্য এই দিনটা কিন্তু সত্যিই খুবই তাৎপর্য বহন করে। আপনারা সবাই দাম্পত্যের জন্য দোয়া করবেন তারা যেন সারা জীবন সুখে থাকতে পারে এবং আল্লাহর পথে যেন থাকতে পারে।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1727666444983570434?t=rA2lm1CJfDFGMbA2f34Dfw&s=19
দাম্পত্য জীবন সুখের হোক সেই কামনা করি। সত্যি মিষ্টি খাওয়ানোর মূহুর্ত সারাজীবন মনে রাখার মতো। আসলে নতুন বধুকে যখন ঘরে তোলা হয় তখন ঠিক মিষ্টি মুখ করে তোলা হয়,যাতে বউটা মিষ্টির মতন হয় ।যাইহোক অসুস্থ বাচ্চাটার জন্য দোয়া রইল আল্লাহ তাআলা তাকে সুস্থ করে তুলবে তারাতাড়ি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। যা
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আপনি বিয়ের অনেক গুলো পর্ব শেয়ার করেছেন বেশ ভালই লেগেছিল প্রতিটি পর্ব। শেষ মুহূর্তটি অসাধারণ ছিল। আসলে ড্রাইভাররা পুরো মাস জুড়ে চেয়ে থাকেন বিয়ের ভাড়া গুলো পাওয়ার জন্য। বিয়ের ভাড়া তাদের একটা বাড়তি ইনকাম। তাদের কিছু টাকা দিলে খুশি হয়। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটালেন। আপনি তো মনে হয় খাওয়া দাওয়া করার পর আর দাঁড়ালেন না। সোজা চলে আসলেন হা হা হা।
বিয়ে মানেই খুশি আর এই বিয়ের দিনে যে কোন মানুষের চাওয়াটাই পূরণ করাটাই হলো অনেক ভালো একটা ব্যাপার।
তাদের দুজনের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক এটা আমিও চিন্তা করি। আসলে আপনি যেভাবে বিয়ে বাড়ির বর্ণনা দিলেন বা তাদের কার্যকলাপ গুলো বললেন, সেগুলো খুব ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের গ্রামের বাড়িতে হত। তবে এখন সেই ব্যাপারগুলো আর নেই বললেই চলে। শহর এলাকায় বিয়ে এখন অন্যরকম ভাবে পালিত হয়। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে ভাই।
আসলে আপু আমাদের পুরনো সংস্কৃতি গুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আগে সময় গুলো ছিল খুবই চমৎকার। কিন্তু বর্তমান সময় তার পুরোটাই ব্যতিক্রম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিয়ে বাড়ির আনন্দঘন পরিবেশের অনুভুতি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন বেশ ভালো লাগছে দেখে।বিয়ে মানেই প্রতি পদে পদে বকসিস। বকসিস দিতে দিতে তো বরের বিয়ে করার সখ মিটে যায়🤪।অবশ্য এগুলোই বিয়ের আনন্দ। এই দিনটি তো সব সময় হয় না একদিনেই হয়।নতুন বউকে বরণ করে নামানোর মূহুর্ত খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর করে পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য।
বিয়ে মানে আনন্দ আর এর জন্য বিয়েতে যত খরচই হোক না কেন বর কিছু মনে করে না। কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো খরচ করলেও আনন্দ লাগে আমার মনে হয় বিয়ে তার মধ্যে অন্যতম 😄।