ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- মানুষকে ভালবাসলে ভালোবাসা পাওয়া যায়।

পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষেরও বসবাস। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা সেই জন্মলগ্ন থেকেই রয়েছে। এই ভালোবাসা আর শেষ হবার নয়। ভালোবাসা মানুষের মধ্যে এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়। এই কথাটা কতটুকু সত্য মনে করেন। আসলে মানুষের সাথে চলাচল ওঠাবসা সংস্পর্শে না আসলে মানুষের মধ্যে একজনের সাথে অন্যজনের ভালোবাসা তৈরি হয় না। মানুষ সম্ভবত আবেদনময়। একসাথে মিলেমিশে থাকা সামাজিকভাবে বসবাস করার এগুলো মানুষ বেশি পছন্দ করে। সমাজে বহু লোকের বসবাস। এত লোকের মধ্যে কিছু মানুষ থেকে যাদেরকে মানুষ বেশি ভালোবাসে পছন্দ করে। নিশ্চয় এর পেছনে কোন কারণ রয়েছে। আসলে সমাজে যেসব মানুষ বসবাস করে সবাই একরকম হয় না। সবাই সবার ভালোবাসা অর্জন করতে পারেনা। আবার সবাই সবার ভালবাসাও পাওয়ার যোগ্য হয় না। কিছু মানুষ থাকে যারা হত-দরিদ্র সমাজের বুকে ভালো কাজ করা ইত্যাদিতে নিয়োজিত থাকে এসব মানুষগুলো সবসময় মানুষের ভালোবাসার যোগ্য ব্যক্তি হয়ে ওঠে।

ভালবাসলে ভালবাসা পাওয়া যায় এই কথাটি কতটুকু সত্য বলে আপনি মনে করেন? আসলে প্রাণী ফুলের মধ্যে যারা সবটুকু হিংস্র তাদেরকে ভালোবাসা দিলেও তারা আপনার অনুগত পালন করে। মাঝেমধ্যে দেখি হিংস্র বাঘ সিংহ এদেরকে মানুষ পালন করছে। এসব হিংস্র প্রাণীদের সামনে আপনি একা কখনো পড়ে দেখবেন আপনাকে খেয়ে ফেলবে। অথচ সেই মানুষ তাদেরকে বাসায় পালন করছে। ভালোবাসা দে সব কিছু সম্ভব। বাড়ির সবচেয়ে খারাপ বা দুষ্ট ছেলেটিকে যদি আপনি ভালোবাসা দেন তার সাথে যদি ভালো আচরণ করেন দেখবেন সেও একদিন ভালো হয়ে যাবে। যদিও মাঝেমধ্যে কিছু ভালোবাসা মানুষের সাথে ব্যতিক্রম ধর্মী কিছু আচরণ করে থাকে। তারপরও মানুষ যদি মানুষের সাথে ভালো আচরণ করে ভালো ব্যবহার করে ওই মানুষ তারা ভালবাসতে বাধ্য। আসলেই ভালোবাসাগুলো তৈরি হয় তার আসার ব্যবহারে। দেখবেন সমাজের বুকে দশটা ছেলে যদি একসাথে চলাফেরা করে তার মধ্যে একটা ছেলের স্বভাব চরিত্র ভালো থেকে এবং তাকে সবাই ভালো বলে। এবং সে ছোটকাল থেকে ভালোবাসার যোগ্যই হয়ে গড়ে ওঠে।

যদিও বর্তমান সমাজের মানুষকে ভালবাসলে বা প্রশ্রয় দিলে তারা মাথায় চড়ে বসে। আসলে যুগের পরিবর্তনের জন্য এইগুলো ঘটে চলছে। অনেক সময় ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে মানুষ মানুষের ক্ষতি করে চলেছে। বিশ্বাস করে যদি আপনি কাউকে কোন কিছু বলেন এই বিশ্বাসের সরলতার সুযোগ নিয়ে আপনাকে ক্ষতি করে। এ ধরনের ঘটনাগুলো যদিও এখন অহরহ হয়ে যাচ্ছে ঘটে যাচ্ছে। তারপরও অনেক মানুষের জীবনে রয়েছে যারা অনেক খারাপ থাকা সত্ত্বেও ভালোবাসা পেয়ে তারা ভালো পথে ফিরে এসেছে। কোন মানুষ বা যেকোনো কিছু যখন উশৃঙ্খলভাবে জীবন যাপন করবে তখন তার পাশে দাঁড়াবেন তাকে ভালবাসবেন তাকে সৎ উপদেশ দেবেন দেখবেন একটা সময় সে ভালো হয়ে যাবে। ভালোবাসা দ্বারাই মানুষের ভালো পথে আনা সম্ভব। যদিও সমাজের বুকে এই বিষয়টি অনেকটা কমে গেছে। মানুষের মধ্যে মানুষের আন্তরিকতা কমে গেছে। কেউ কারো ভালো চায় না। সবাই চায় একে অপরের মাথার উপরে খারাপ কিছু চাপিয়ে দিয়ে নিজে বড় হতে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যাকে ভালবাসেন তাকে সবাই ভালবাসতে বাধ্য হয়।

আমরা যারা সমাজে বসবাস করি আমাদের মধ্যে ভিন্ন রকম মানুষ রয়েছে যাদের জীবনযাপন একটু উশৃংখল। আমরা যদি তাদের পাশে থাকি ভালবেসে তাদেরকে যদি আপন করি তাহলে দেখবেন তারা একদিন ভালোবেসে আপনার পাশে এসে বসবে। আপনার কথা শুনবে আপনার দেখানো পথ তার অনুসরণ করবে। তাদের এই ভালোবাসা দিয়ে তাদের জীবনকে পুরাটাই পাল্টে দেয়া যায়। তাই আমাদের উচিত সমাজে যারা উশৃংখল বা বিপথগামী মানুষ রয়েছে তাদের ভালোবেসে পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সুন্দর জীবন এবং সুপথে নিয়ানার চেষ্টা করা। আর এটাই মানুষের মহৎ উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।