সুস্বাদু ঢেঁড়শ ভাজা রেসিপি।।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ
হ্যালো আমার প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত সদস্য বন্ধুরা । আপনারা সবাই কেমন আছেন । আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন । আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ । আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট করতে যাচ্ছি। আমার পোস্টের বিষয় হলো সুস্বাদু ঢেঁড়শ ভাজি রেসিপি । আমি আজকে আপনাদের কে খুব সহজ ভাবে কিভাবে ঢেঁড়শ ভাজা রান্না করতে হয় তা শেয়ার করব ।
আমাদের মৌসুমি সবজি গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সবজি হলো ঢেঁড়শ। ভিটামিন যুক্ত এই ঢেঁড়শ খুবই সুস্বাদু একটি সবজি । এই ঢেঁড়শকে কয়েক ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। আমার খুব পছন্দের সবজি হলো ঢেঁড়শ। বর্তমানে বাজারে প্র্রচুর পারিমানে ঢেঁড়শ পাওয়া যাচ্ছে। এই ঢেঁড়শ এমন একটি সবজি যা সময় মত গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। যদি একটু লেইট হয়ে যায় তাহলে আর এই সবজিটি খেয়ে মজা পাওয়া যাবে না। গত কাল আমার হাসবেন্ড খুব সুন্দর কচি কচি কিছু ঢেঁড়শ এনেছিলেন। ঢেঁড়শ গুলো দেখে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। তাই চিন্তা করলাম এগুলো ভাজি করে রেসিপি শেয়ার করবো। এর আগে এক বার ঢেঁড়শ এনেছিল,তবে সেইদিন কিচু ঢেঁড়শের চামরা শক্ত হয়ে গেছিলো। তাই কিছু ঢেঁড়শ বাদ গিয়েছিল।
ঢেঁড়শের উপকারীতা
ঢেঁড়শ ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। এই সবজিটি ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। অ্যাজমার লক্ষণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে এবং অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ঢেঁড়স বেশ উপকারী।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- ঢেঁড়শ ৫০০ গ্রাম
- রসুন কুচি পরিমান মত
- পেয়াঁজ কুচি পরিমান মত
- কাচাঁ লঙ্কা সাতটি
- শুকনা লঙ্কা তিনটি
- নোন পরিমান মত
- হলুদ পরিমান মত
- সয়াবিন তেল পরিমনা মত
এখন রান্নার প্রক্রিয়া শুরু করতেছি
প্রথমে ঢেঁড়শ গুলোকে ভাল ভাবে ধোয়ে কুচি কুচি করে কেটে একটি পাত্রে রাখলাম। ঢেঁড়শ সবসময় কাটার আগে ধোতে হয়। তা নাহলে কেটে আর ধোয়া যাবে না।
তারপর চুলার মধ্যে একটি কড়াই বসিয়ে,তাতে পরিমান মত সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তারপর তিনটি শুকনা লঙ্কা তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম।
তারপর পেয়াঁজ রসুন গুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম। পেঁয়াজ রসুন গুলো হলুদ বর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত নাড়তে থাকবো।
পেয়াজঁ রসুন গুলো হলুদ বর্ণ কালার ধারন করার সাথে সাথে কেটে কুচি করে রাখা ঢেঁড়শ গুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম। তারপর ঢেঁড়শ গুলোর সাথে লবন আর হলুদ দিয়ে দিলাম।
তারপর চুলাটা একটু বাড়িয়ে নাড়া দিতে থাকবো। ধীরে ধীরে নীল কালার ঢেঁড়শ হলুদ বর্ণ আকার ধারন করতে থাকবে।
মোটামুটি ভাবে ঢেঁড়শ গুলো যখন অর্ধেক হয়ে যাবে তখন কাচাঁ লঙ্কা গুলো দিয়ে দিবো। তারপর কিছুক্ষন কুক করেই ঢেঁড়শ রান্না শেষ করে দিবো। কারন ততক্ষনে আমার সুস্বাদে ঢেঁড়শ ভাজা রেসিপি তৈরী হয়ে গেছে।
পরিবেশন
বন্ধুরা আজকে আমার ঢেঁড়শ রেসিপিটা কেমন হলো অবশ্যই কমেন্ট করে মতা মত দিতে ভুলবেন না। আপনাদের সাথে প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিষ নিয়ে দেখা হবে। সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করতেছি। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
ক্যামেরা | রেডমি নোট-৮ |
স্থান | নিজ বাসা |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ভাই আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ঢেঁড়শ রান্নার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যদিও আমি ঢেঁড়স ভাজি খাই না তবে দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই স্বাদ হয়েছিল।সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জী খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ।
ঢেঁড়শ ভাজি আমার খুব পছন্দ। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপিটি দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। এত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি আপু দেখতে যেমন সুস্বাদু মনে হচ্ছে খেতেও ভালোই লেগেছিলো । আপনার জন্য ও অনেক অনেক শুভকামনা রইল ধন্যবাদ আপু ।
এটা আপনি ঠিক বলেছেন ঢেঁড়শ এরকম একটি সবজি যে এটা একটু শক্ত হয়ে গেলে আর খাওয়া যায় না। আর শক্ত টা আমি কাটার সময় বাদ দিয়ে ফেলি। আর নরমটা সুন্দর ভাবে ভাজি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে আপনি ঢেঁড়সের ভিতরে বেশি করে রসুন দিয়ে এভাবে ভাজি করেছেন আমি তো কখনো এভাবে করে খাইনি। আমার কাছে ঢেঁড়স খেতে ভালোই লাগে।
ঢেঁড়শ ভাজি আমার খেতে বেশ ভালোই লাগে ৷ আপনি তো দেখছি দারুণ ভাবে ঢেঁড়শ ভাজি রান্না করেছেন ৷ আপনার তৈরি রেসিপি দেখতে অনেক সুন্দর এবং মজাদার হয়েছে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
জি ভাইয়া ঢেঁড়স ভাজি সবার কাছে অনেক ভালো লাগে । ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ।
ঢেঁড়স ভাজি আমার খুব ফেভারিট মাঝে মাঝে প্রস্তুত করে খাওয়া হয়।।
বিশেষ করে ভাজির সাথে পাতলা ডাউল এবং ডিম ভাজি থাকলে খেতে সবথেকে বেশি মজা হয়।
রেসিপি প্রস্তুতি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।।।
জি ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন । ঢেঁড়স ভাজির সাথে ডাউল আর ডিম হলে আরো ভালো লাগে ।ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আমার পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় একটি সবজি হচ্ছে ঢেঁড়শ। বাচ্চারা ঢেঁড়শ ভাজা পেলে অনেক বেশি খুশি হয় তাই প্রায় সময় ঢেঁড়শ ভাজার সাথে ডাল করা বেশ ভাল পছন্দ করে। আপনার ঢেঁড়শ ভাজার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেছে। অনেক ধন্যবাদ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন করার জন্য।
জি আপু বাচ্চারা ঢেঁড়স ভাজি বেশি পছন্দ করে । আমাদের বাসায়ও বাচ্চারা পছন্দ করে । ধন্যবাদ আপু ।
এই ধরনের রেসিপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যার কারণে এটা খেতে খুবই ভালো লাগে। ঢেঁড়স ভাজি করার দারুন একটা ছবি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু।
জি ভাইয়া ঢেঁরস ভাজিতে প্রচুর ভিটামিন থাকে । আর এই খাবারটাও তৈরি করতে অল্প সময়ই লাগে ।ধন্যবাদ ভাইয়া ।
বাহ ভাইয়া আপনার রেসিপি সাথে আমার আজকের রেসিপি মিল রয়েছে। আমিও আজকে বাসায় ঢেঁড়স ভাজি রান্না করেছি। এভাবে ঢেঁড়স ভাজি করে গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ঢেঁড়স ভাজি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো । যে আমার সাথে আপনার রেসিপির মিল রয়েছে ।ধন্যবাদ আপু ।