আমানীপুর পার্ক ভ্রমণ:- চতুর্থ ও অন্তিম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো,বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায়, আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় অনেক ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সামনে আমানীপুর পার্কের চতুর্থ ও অন্তিম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আপনাদের মাঝে বিগত কয়েক দিনে এর আগের পর্বগুলো শেয়ার করেছিলাম। এই ফটোগ্রাফি গুলো এখনো পর্যন্ত মোবাইলে জমা ছিল। তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে এর অন্তিম পর্বটি শেয়ার করে ফেলি। আমানিপুর পার্কটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর। তা আপনারা ইতিমধ্যে আগের পর্বগুলোতে দেখতে পেয়েছেন। পার্কটি এতটাই সুন্দর যে ছোট একটি পরিসরে অনেক মনোরম পরিবেশে সুন্দর ভাবে করা হয়েছে এই পার্ক। চলুন তাহলে অন্তিম পর্ব আপনাদের মাঝে এখনই শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আপনারা সবাই এখানে দেখতে পারছেন যে, পাহাড়ি এলাকার উচু নিচু ঢালো রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। তাছাড়া ছোট ছোট অনেক দালানকোঠা ও রয়েছে। যেগুলো দেখতে অবিকল আমাদের পারিপার্শ্বিক সামাজিক দৃশ্যকে হার মানাচ্ছে। এই পার্কটিতে যাওয়ার পরে বুঝতে পারলাম যে, পরিবেশ সুন্দর রেখে জান চলাচলের রাস্তা তৈরি করা যায়। যানবাহনের ও সমস্যা হচ্ছে না এবং পরিবেশেরও কোন সমস্যা হচ্ছে না। এই পার্টিতে যাওয়ার পরে আমরা অনেক মেসেজ পাই। যে মেসেজগুলো আমাদের অনেক শিক্ষা দেয়।
এখনে দেখতে পারছেন যে,নদীর উপরে বিশাল বড় রেল চলাচলের রেল লাইন ও রেল ব্রিজ। পাশে আবার একটি কালভার্ট রয়েছে। যদিও নদীর পানি শুকিয়ে গিয়েছে। আমরা যখন সেই পার্টিতে গিয়েছিলাম তখন পানির ফোয়ারা ওরে চলাচল বন্ধ ছিল। চালু করলে হয়তো নদীতে পানির ফোয়ার ফলে পানি চলে আসতো। এখানে রয়েছে পাকা রাস্তা ও কাঁচা রাস্তা। এই রাস্তা গুলো দিয়ে রেলগাড়ি যাচ্ছে। অপরদিকে ট্রাক যাচ্ছে। ফটোগ্রাফির তুলনাশ বাস্তবে দৃশ্যগুলো অনেক সুন্দর ছিল যেখান থেকে আসতে মনে চাইছিল না। শুধু দেখতে মন চাইছিল।
আমরা যখন রেলগাড়িতে কোথাও বেড়াতে যাই। তখন এইরকম অনেক বেশি অবলোকন করতে পারি। এই দৃশ্যটি দেখে অনেক ভালো লাগেছে। এই বাড়িতে অনেক পুরাতন মনে হচ্ছে। আর এই বাড়ির বারান্দায় মহিলা বসে গল্প করছে। যেমনি করে আম বাংলার মহিলারা বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে গিয়ে বারান্দায় বসে হায়ার দুঃখের কথা শেয়ার করেন। এই দৃশ্যটি দেখে তাই মনে হচ্ছে।
এখানের রয়েছে ট্রেন চলাচলের জন্য গুহার ভেতর দিয়ে একটি সরু রাস্তা। যে রাস্তা দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। তাছাড়াও এই পার্কে অনেকটা অংশ একই গ্রাফিতে তোলা হয়েছে। আমি অনেকটা চেষ্টা করেছি সবগুলো ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে ধীরে ধীরে। তবে দুঃখের বিষয় হল কিছুদিন আগে আমার মোবাইলে প্রবলেম হওয়ার কারণে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ডিলিট হয়ে গিয়েছে। নয়তো আপনাদের মাঝে আরো কয়েকটি পর্ব শেয়ার করতে পারতাম। যাই হোক কেমন লাগলো আমার আমানিপুর পার্ক ভ্রমণ পর্বটি আপনারা আপনাদের নিজস্ব মতামতের মাধ্যমে বানাবেন।
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই। সবার সাথে আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। এই কামনা করে আজ এখান থেকে বিদায় নিতেছি সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.