অসচেতনতার বলি (প্রথম পর্ব)
গোসল করে আসতেই সাগর দেখে মা তার জন্য খাবার বেড়ে অপেক্ষা করছে। প্রচন্ড ক্ষুধা নিয়ে সাগর সাথে সাথে খেতে বসে যায়। খাওয়া দাওয়া শেষ করে সাগর আবার যখন বাইরে যাওয়ার কথা চিন্তা করছে। তখন তার মা তাকে বলে এই ভর দুপুরে আর বাইরে বের হবি না। বিকাল হলে তখন খেলতে যাবি। কিন্তু সাগর মনে মনে চিন্তা করতে থাকে যেভাবে হোক তাকে বাড়ি থেকে বের হতেই হবে। কারণ তারা কয়েক বন্ধু মিলে পাশের গ্রামের একটি গাছ থেকে আম চুরি করার পরিকল্পনা করেছে। সেই গাছের আমগুলো এখনো পাকেনি। কিন্তু পাকা না হলেও গাছের আমগুলো কাঁচা অবস্থায় বেশ মিষ্টি। সেগুলোকে নাকি কাঁচা মিঠা আম বলে।
আম গাছের মালিক বেশ কড়া মানুষ। যার ফলে সহজে কেউ তার গাছে আম পাড়তে যায় না। কিন্তু সাগরের এক বন্ধু খোঁজখবর নিয়ে দেখেছে দুপুর বেলায় গাছের মালিক ঘুমিয়ে থাকে। সেই সময়ই আম পারার জন্য সবচাইতে আদর্শ সময়। অবশ্য রাতেও আম পারা যেতো। কিন্তু রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়া সমস্যা। সেই কারণে তারা দুপুরবেলায় আমপাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
যদি গল্পটা আরেকটু বড় করা যেত তাহলে বেশি ভালো লাগতো। যাইহোক আমপাড়ার পরবর্তী কাহিনী জানার অপেক্ষায় রইলাম।
খুবই সুন্দর একটি ধারাবাহিক গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। দুপুরের উত্তপ্ত রোদে শরীরের চামড়া সাদা থেকে লাল হয়ে যায় খুব সুন্দর একটি কথা বলেছেন।
তবে আম চুরির বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি তাই পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি ধারাবাহিক গল্প আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
গল্পটি পড়তে পড়তেই কখন যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম গল্পের মাঝে। আসলে ছোট বাচ্চারাতো এরকম দুরন্তই হয়। বিভিন্ন গাছের ফলফলালী পেড়ে খাওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। কিন্তু সাগর এই ফল খেতে গিয়ে মনে হয় কোন বিপদে পড়েছিল। গল্পের নাম শুনে তো তাই মনে হচ্ছে। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।