এলাকার উন্নয়ন করতে গিয়ে জীবন অবসান (প্রথম পর্ব)
সারাদিন শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে শফিক বাড়িতে ফেরে। সারাদিন সে নিজের ব্যবসা নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ততায় দিন কাটিয়েছে।তার শরীর আর এখন চলতে চাচ্ছে না। বাড়িতে ফেরার আগে সে মনে মনে চিন্তা করেছিলো বাড়িতে ফিরেই একটা গোসল দিয়ে আগে শুয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিতে হবে। কিন্তু বাড়িতে ঢুকতেই দেখতে পায় এলাকার বেশ কিছু মুরুব্বী তার কাছে এসেছে। শফিক এলাকার মুরুব্বীদের খুবই শ্রদ্ধা করে। যার ফলে তার যত খারাপই লাগুক সে সবাইকে বসতে বললো। সবাইকে বসতে বলে শফিক ভিতরে গিয়ে কোন রকমে একটু মুখে পানি ছিটিয়ে বসার ঘরে এসে বসে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সেখানে এসে সে মুরুব্বিদের কাছে জানতে চাই কি ব্যাপার কোন সমস্যা হয়েছে কিনা চাচা? তখন তার প্রতিবেশী ফরিদ মিয়া বলে মাদক ব্যবসায়ীদের যন্ত্রণায় এলাকাতে বাস করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে বাবা। তাছাড়া এই মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য এলাকায় মাদক সেবীর সংখ্যাও আশঙ্কা জনক হারে বেড়ে গিয়েছে। আর মাদকসেবীরা বাড়ার পর থেকেই এলাকায় নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ড হচ্ছে। কথাগুলো শুনে শফিকের খুবই খারাপ লাগে। বিষয়গুলো যে সে জানেনা তাও নয়। তারপরও সে নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করে। শফিকের মনে পড়ে একটা সময় তাদের গ্রামটা অনেক ভালো ছিলো।
শফিক যখন দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায় তখন তাদের গ্রামটা ছিল আসলেই অন্যরকম। সবার ভেতরে একটা ভালো সম্পর্ক ছিলো। এলাকায় এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা শোনা যেতো না। শফিক তখন এলাকার মুরুব্বীদের কে বলে কি আর করবো বলুন চাচা? এলাকার ছেলে পেলেগুলো এত খারাপ হয়ে গিয়েছে যে এদের সাথে কথা বলতেও খারাপ লাগে। তার পরেও ফরিদ মিয়া শফিককে অনুরোধ করে তুমি একটু ওদেরকে ডেকে বোঝাও যাতে এলাকার ভেতর এই ধরনের কাজকর্ম না করে। শফিক তখন বলে ঠিক আছে চাচা। আপনি যখন বলছেন তখন আমি একবার চেষ্টা করে দেখবো। তবে মনে হয় না কাজ হবে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
মাদক ব্যবসায়ীদের প্রভাব দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে অপকর্ম। সব এলাকাতেই একই অবস্থা। শরীফ সাহেব হয়তো উনাদেরকে বোঝাতে পারবেন কিংবা উনারা বুঝেও না বোঝার ভান করবেন।