এলাকার উন্নয়ন করতে গিয়ে জীবন অবসান (চতুর্থ পর্ব)
এই কথা বলে মুরুব্বীরা বিদায় নিতেই সেদিনের মতো তাদের মিটিং শেষ হয়ে যায়। শফিক গভীর চিন্তা মগ্ন হয়ে বাড়িতে ফিরে। বাড়িতে ফিরে ঘটনাটা তার মা বাবার সাথে শেয়ার করে। কিন্তু তারাও শফিককে পরামর্শ দেয় ইলেকশন না করার জন্য। তারা বলে তোকে আমরা এখন বিয়ে দেবো। তুই বিয়ে করে ঘর সংসার করবি। তোর এখন এই সমস্ত ঝামেলায় যাওয়ার দরকার নেই। শফিক তখন তাদেরকে বলে আমিও চাইনা ইলেকশন করতে। কিন্তু এলাকার মুরুব্বীরা যেভাবে ধরেছে তাতে শেষ পর্যন্ত কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছি না।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
যথারীতি দেখতে দেখতে দুটো দিন পার হয়ে যায়। চলে আসে মিটিং এর দিন। এলাকার সাধারণ মানুষ এই মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। সবাই এমন একজন মানুষকে চাইছে যে তাদেরকে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে পারবে। এই জন্য মিটিং এর সবাই একবাক্যে শফিককে সমর্থন জানায়। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয় যে শফিকের ইলেকশন করতে রাজি না হয়ে আর কোনো উপায় থাকে না। ইলেকশনের মাত্র ৬ মাস বাকি আছে। হঠাৎ করে ইলেকশনে দাঁড়ালে সে হতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে শফিক চিন্তা করতে থাকে। আবার ইলেকশন করতে অনেক টাকা খরচ হবে সে কথাটাও সে চিন্তা করে।
তবে এলাকার লোকজন তাকে কথা দিয়েছে তাকে ইলেকশনে কোন টাকা পয়সা খরচ করতে হবে না। তার হয়ে এলাকার সবাই চাঁদা দিয়ে ইলেকশন করে দেবে। শফিকের এমনিতেই এলাকাতে ভদ্র ছেলে হিসেবে সুনাম রয়েছে। সেই সাথে সে নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার দরুন এলাকায় তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। যার ফলে ইলেকশনে সে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে গেলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
প্রতিটি সমাজেই শফিকের মত অসংখ্য ভদ্র ছেলে রয়েছে। কিন্তু তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে জীবনের ঝুঁকি নেমে আসে। ঠিক তেমনি গল্পের মধ্যে শফিক মাদকের বিরুদ্ধে এবং এলাকাবাসীর মাদক বহনকারীদের অত্যাচারা অতিষ্ঠ। এলাকার সিদ্ধান্তের শফিকের নির্বাচন এটি একটি ভালো দিক। তবে এর ভবিষ্য জানার অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।