অহংকারীর পতন অনিবার্য (পঞ্চম পর্ব)
কিন্তু ব্যবসায় লস হলেও মালিকের হম্বিতম্বি তাতে কমেনি। বরং আগের থেকে আরও বেড়েছে। এদিকে আহাদ সাহেব তার নিজের অফিসের কাজকর্ম নিয়ে অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তার নিষ্ঠা এবং পরিশ্রম দেখে নতুন অফিসে তার দ্রুত প্রমোশন হোলো। আহাদ সাহেব তখন মনে মনে চিন্তা করতে লাগলেন আগের অফিস থেকে চাকরি ছেড়ে তার ভালোই হয়েছে। তার জীবনে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখানে আসার পরে শুধু যে প্রমোশন পেয়েছে তা নয়। তার বেতন বেড়েছে সেই সাথে অফিস থেকে তাকে চলাফেরার জন্য গাড়িও দিয়েছে।
সেই গাড়িতে করে তিনি একদিন বাড়ি যাওয়ার পথে হঠাৎ করে খেয়াল করে দেখেন। তার আগের অফিসের মালিক শাহেদ বাস থেকে নেমে এটা কোথায় যেন যাচ্ছে। এটা দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। তিনি চিন্তা করতে থাকেন এই লোক তো কিছুদিন আগেও নিজের গাড়িতে চলাফেরা করতো। তার হঠাৎ করে এমন কি হোলো যে তিনি লোকাল বাসে চলাফেরা করছেন? পরবর্তীতে আহাদ তার পুরাতন অফিসের কলিগের নাম্বার খুঁজে বের করে। তাদেরকে ফোন দিলেন ঘটনা জানার জন্য। তারপর তিনি যা শুনতে পেলেন সেটা শুনে তার বেশ খারাপ লাগলো।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আহাদ সাহেব যোগ্য বলেই নতুন অফিসে গিয়ে এতো সুযোগ সুবিধা পেয়েছে। আসলে যোগ্য লোকদের কাজের অভাব হয় না। তবে যোগ্যতার পাশাপাশি সৎ মানুষ হওয়াটাও জরুরী। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।