স্বস্তি কবে মিলবে

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে স্বস্তি কবে মিলবে সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে বর্তমান সময়ে আমরা প্রতিদিন ভাবছি যে কবে একটু গরম কমবে। কিন্তু এই গরম কমার বদলে প্রতিদিন যাচ্ছে এই গরমের পরিমাণ আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মানুষরা একদম হাঁপিয়ে উঠছি প্রতিদিন। আর এই গরমের সময় মানুষ তার কর্মক্ষমতা অনেকটা হারিয়ে ফেলছে। কারণ এই অতিরিক্ত গরমের জন্য মানুষের যে পরিমাণ ঘাম হচ্ছে এবং এই অতিরিক্ত রোদের নিচে মানুষ বেশি কঠোর পরিশ্রম করতে কখনোই পারছে না। আসলে আমরা বর্তমানে দেখছি যে মানুষ দিনের বেলায় কাজ খুব কম করছে এবং যে কাজ করছে সে সব কাজ তারা রাতের বেলায় বেশিরভাগ করছে। আবার কিছুদিন আগে খবর শুনেছি যে এখনকার সময় হল ধান কাটার সময়। কিন্তু কৃষকেরা দিনের বেলাতে মাঠে গিয়ে ধান কাটতে পারছে না।


তাই কৃষকেরা রাতের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে ধান কাটছে। আসলে যারা গরম সহ্য করতে পারে তারাই এই অতিরিক্ত গরম আর সহ্য করতে পারছে না তাহলে আমাদের কি অবস্থা। আসলে এভাবে চলতে থাকলে একসময় আমাদের এই পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে। এছাড়াও আমরা শহর অঞ্চলে যেসব মানুষকে কাজ কর্মের জন্য বাইরে বেরোতে দেখছি সেইসব লোকেরা যে কিভাবে এই গরমের মধ্যে কাজ করছে একমাত্র তারাই জানে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত আবহাওয়া দপ্তর থেকে সবাইকে বলা হচ্ছে যে আপনারা রোদের সময় বাইরে বের হবেন না। কিন্তু এই গরীব শ্রেণীর লোকেদের যদি ঘরে বসে এই গরমের হাত থেকে বাঁচতে হয় তাহলে তারা কিন্তু তাদের পেটকে ক্ষুধার হাত থেকে রক্ষা কখনোই করতে পারবে না।


আসলে তারা যদি বাইরে কাজ করতে না বের হয় তাহলে তাদের পরিবারের সকল সদস্যরা না খেয়ে থাকবে। আর একদিক থেকে এই সব গরম হবার জন্য কিন্তু ধনী শ্রেণীর লোকেদের সবথেকে বেশি হাত রয়েছে। কারণ এই উঁচু শ্রেণীর লোকেরা তারা তাদের কলকারখানা এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরি করার জন্য তারা বিভিন্ন বন জঙ্গল কেটে ফাঁকা করে দিচ্ছে। আসলে এর ফলে পরিবেশ বেশি দূষিত হচ্ছে এবং পরিবেশের কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ একদিক থেকে বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও এই অতিরিক্ত গাছ কাটার ফলে দেশের তাপমাত্রা আরও দ্বিগুর হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে দুই একজন লোকের খারাপ কর্মকান্ডের জন্য সেই কর্মের ফল ভোগ করতে হচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণদের।


আসলে আমরা এখন বাইরে দু মিনিটের জন্যও যেতে পারি না। এবং প্রতিনিয়ত সংবাদ মাধ্যম গুলো এই অতিরিক্ত গরমের সতর্কতা আমাদের জানাচ্ছেন। আসলে বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাচ্ছি যে এই অতিরিক্ত গরমের ফলে রাস্তার পিস গলে যাচ্ছে। কিন্তু এই গরম থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল এখনো আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে। আসলে শুধুমাত্র কথায় না, আমাদের কাজে দেখাতে হবে। কারণ একসময় এই পৃথিবী এতটা কখনো উষ্ণ ছিল না। তখন পৃথিবীর চারপাশে ছিল গাছে ভর্তি। আর এজন্য আমাদের এই দেশকে বলা হতো নাতিশীতোষ্ণ দেশ।


কিন্তু এখন আমাদের এই দেশ নাতিশীতোষ্ণ দেশ নেই। আর এই গরম থেকে রক্ষার জন্য আমাদের এখন সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে যারা গরীব শ্রেণীর লোক তাদেরকে আমরা যদি কঠোর পরিশ্রম না করিয়ে সামান্য পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় তাহলে হয়তোবা এই কর্মের মাঝে কিছু গরীব লোক খেয়ে পড়ে দিন কাটাতে পারবে। এছাড়াও অনেক জায়গায় রয়েছে যেখানে রাস্তার পাশে জল বিতরণ করা হচ্ছে। আসলে এই গরমের মাঝে সবাই যদি রাস্তার কোন জায়গায় একটু ঠান্ডা জল পাই তাতে করে এদের সামান্য একটু স্বস্তি হয়। আর আমাদের সবার উচিত হাতে হাত মিলিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণ গাছ লাগানো।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Sort:  
 last month 

বর্তমান সময়ে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে আছে মানুষ। তুমুল বৃষ্টি হলেও গরমের প্রবণতা যেন কমছে না। এটির মূল কারণ কি তা খুঁজে বের করতে গেলে আমাদের সামনে দাঁড়ায় বৃক্ষ নিধন। আমরা গাছপালা, বন জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে ফেলছি। যার কারণে গরম ডে বাই ডে বাড়তেছে, কোনভাবে কমছে না। দিনের বেলা কৃষকেরা মাঠে কাজ করতে পারছে না, রাতের আঁধারে তারা লাইট জ্বালিয়ে কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। খুব চমৎকার বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68523.63
ETH 3260.51
USDT 1.00
SBD 2.66