সন্তান হারানোর কষ্ট (ত্রয়দশ পর্ব)
আফসার সাহেব থানায় ফিরে সেদিন আর বাড়িতে যান না। তিনি তার অফিসারদেরকে ডেকে পরামর্শ করতে থাকেন কি করা যায়। এদের ভেতর কেউ কেউ তাকে পরামর্শ দেন ধৈর্য ধরার জন্য। আবার কেউ কেউ একটু উত্তেজিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করার পরামর্শ দেন। তারা বলে যেহেতু সরকার গুলি করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা প্রথমে কিছু টিয়ার শেল নিক্ষেপ করি। সেই সাথে জলকামান ব্যবহার করি। তাতেও যদি তারা না সরে তখন শর্টগান দিয়ে ফাঁকা গুলি করা যাবে।
তাতেও কাজ না হলে তখন আমরা সরাসরি গুলি করে নেতৃস্থানীয় কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে মেরে ফেলবো। তখন আশা করা যায় তারা ভয় পেয়ে পালিয়ে যাবে। তখন সেকেন্ড অফিসার জিজ্ঞেস করে যদি তারা পালিয়ে না গিয়ে আরো বিক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তখন কি করব? এই প্রশ্নে সবাই একে অপরের মুখের দিকে তাকাতে থাকে। কিন্তু কেউ কোনো উত্তর দিতে পারে না। এই প্রশ্নের উত্তরে আফসার সাহেব বলে সে পরিস্থিতি যখন হবে তখন দেখা যাবে। আফসার সাহেব তখন তার মতামতটা সবাইকে জানিয়ে দেন।
বলেন আমরা কালকে সকালে গিয়ে প্রথমে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শেষবারের মতো সরে যেতে বলবো। দুপুরের ভেতরে যদি তারা রাস্তা পরিষ্কার না করে তখন আমরা জল কামান এবং টিয়ারশেল ব্যবহার করবো। তারপর প্রয়োজনে তাদেরকে গুলি করে হলেও সেখান থেকে সরাতে হবে। কারণ ইতিমধ্যে এসপি সাহেব এবং ডিসি সাহেব দুজনই আমাকে চাপ দিচ্ছেন। এখন কঠোর না হয়ে আমার উপায় নেই। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আফসার সাহেব ভেবেছে তাদেরকে এভাবে ভয় দেখালে কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু তিনি তো জানেন না,এতে করে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হবে। কারণ তাদের একজনের উপর গুলি চালালে,সবাই ক্ষেপে যাবে। যাইহোক গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সন্তান হারানোর কষ্ট মা-বাবার ব্যতীত কেউ বুঝতে পারে না। যার হারায় সেই বুঝতে পারে। তবে সন্তান হচ্ছে মা বাবার চোখের মনি। যাইহোক সকল মা বাবা তার সন্তানকে এর চাইতেও বেশি ভালোবাসি।