★ছেলের স্কুলে বোরিং সময় পার★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছেলের স্কুলে বোরিং সময় পার করার কিছু মুহূর্ত ।প্রতিদিনই ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয় । এতদিন ছেলে ক্লাসে একেবারেই বসতে চাইতো না ইদানিং একটু বসে । আমি দূরে গার্ডিয়ান দের সাথে বসে থাকি । এখানে বসে গার্ডিয়ানদের সাথে বিভিন্ন ধরনের আলাপ শুনতে হয় । যেটা আসলেই বিরক্তিকর । কিছু কিছু গার্ডিয়ান আছে সারাক্ষণ শুধু শ্বশুরবাড়ির বদনাম ও হাজবেন্ডের বদনাম করে থাকে যেটা আসলেই খুবই বিরক্তিকর । সারাটা সময় এ ধরনের বদনাম সত্যি ভালো লাগে না । যার সাথেই থাকি দিনশেষে তারই যদি বদনাম করি এটা কেমন হলো। তারপরে আবার কিছু কিছু আছে মানুষের পোশাক চলাফেরা এসব নিয়ে গছিপ করতে থাকে । এসব মহিলার থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই মঙ্গল । আমরা কয়েকজন আছি শুধু নীরব দর্শক হয়ে শুনতে থাকি ।
আমি এক ভাবীর সাথে রেগুলার বসি ওনার সাথে আমার সম্পর্ক টা ভালো । কারণ ওনার সাথে আমার পরিচয়টা হয়েছে ওনার মেয়েও ক্লাসে কিছুতেই বসতে চায় না খুব কান্নাকাটি করে । অনেক বোঝানোর পরে ইদানিং একটু বসেছে ।আমরা দুজন সেই ক্লাসের সামনে বসে থাকতাম বিধায় আমাদের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক হয়েছে । এই ভাবীটা সবসময় দোয়া কালাম ও তসবিহ নিয়ে পড়তে থাকে ।তার একটা বড় একটা তসবিহ আছে যেটা এক হাজার পর্যন্ত একবারে গোনা যায় । সেটি সে স্কুলে নিয়ে আসে অথবা ইয়াসিন সূরা সে বসে বসে পড়তে থাকে যেটা আসলেই ভালো লাগে । পরে একপর্যায়ে গল্পের মাঝে জানতে পারলাম যে এই ভাবিটা নাকি আগে হিন্দু ছিল । এখন মুসলমান হয়েছে কিন্তু তার ভক্তি দেখলে কিছুতেই বোঝার উপায় নাই যে সে আগে হিন্দু ছিল । সে তার হাজবেন্ডের সাথে ভালোবেসে বিয়ে করেছে । তার হাজবেন্ডের একটাই দাবি ছিল যে আমার সাথে বিয়ে হলে তোমাকে মুসলমান হতে হবে ।সে এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিল এবং এক কথায় তার হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিল । পরিবারের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে ।
বিয়ের প্রথম প্রথম কিছুদিন তার হাজবেন্ডের কোন কাজ কাম ছিল না দেখে খুব টানাটানির ভিতর তাদের দিনকাল চলছিল । পরে আস্তে আস্তে তাদের দিনকাল ফিরলো । আস্তে আস্তে তারা এখন অনেক বড় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ভালোই চলছিল তাদের দিনকাল । আস্তে আস্তে তাদের তিনটা ছেলেমেয়ে হল । হঠাৎ করে কিছুদিন আগে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল । তার হাজবেন্ড হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেল । এখন তার বড় গাড়ির শোরুম ও ব্যবসা এই ভাবি একাই দেখাশোনা করছে । তার হাজবেন্ড থাকতেই সে এই ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল বিধায় তারা এখন কোন অসুবিধা হচ্ছে না । তিন ছেলে মেয়েকে বড় করছে যেটা আসলে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । ভাবী এখন তার ভালোবাসার মানুষকে বুকে ধারণ করে ছেলেমেয়ে তিনটাকে মানুষ করছে । ভালোবেসে যার জন্য ঘর ছাড়লো এই মাঝপথে তাকে ছেড়ে চলে গেল । আসলে এটাই আমাদের নিয়ম সবাইকে একদিন না একদিন যেতে হবে । যাইহোক এভাবে গল্প করে এবং হাসি ঠাট্টা করে স্কুলে বোরিং টাইম গুলো আমরা পার করছি ভালো মন্দ মিলিয়ে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
জীবন বড়ই আদ্ভুত, ভবিষ্যতে কার সময় কীভাবে যাবে কেউ বলতে পারে না।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া কার কখন কি হয় সেটা বলা যায় না ।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ।
যে সমস্ত গার্ডিয়ানরা শ্বশুরবাড়ি এবং হাসবেন্ড এর বদনাম করে, তাদের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবেন আপু। কারণ অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। হিন্দু থেকে যে মহিলাটি মুসলমান হয়েছে, সেই মহিলার সাথে থাকতে চেষ্টা করবেন। সম্ভব হলে তসবিহ নিয়ে যাবেন। আসলেই সবাইকে একদিন না একদিন চলে যেতে হবে। কারণ আমরা পৃথিবীতে দুই দিনের মেহমান মাত্র। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কিছু কিছু মানুষ আছে তারা চুপচাপ বসে থাকতে পারেনা ,কারো না কারো বদনাম নিয়েই তারা ব্যস্ত থাকে । আবার এর ভিতরে ভালোও রয়েছে কিছু মানুষ ।
হ্যাঁ আপু খারাপ ভালো সব ধরনের মানুষ রয়েছে এই পৃথিবীতে। তবে ভালোর চেয়ে খারাপের সংখ্যা খুব বেশি। যাইহোক সুন্দর ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছেলের স্কুলে বোরিং সময় পার করছেন তার মধ্যে কিছু অভিভাবক নিজের শাশুড়িকে নিয়ে সমালোচনা করে আসলে এই শ্রেণীর লোক কম বেশি সব জায়গাতে আছে যাদের স্বভাব এটাই। তাছাড়া আপনার সাথে ভালো সম্পর্ক যে আপুটি হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছে জীবনের খারাপ সময় পার করে ভালো সময়ে স্বামীর সাথে থেকেছে সত্যি এরকম ঘটনা বিরল। ভালোবাসার পূর্ণতা একেই বলে স্বামী মারা যাওয়ার পর এখনো ভালবাসা আগলে রেখেছেন তিন ছেলেকে নিয়ে অনেক দোয়া করি তাদের জন্য।
ঠিকই বলেছেন মহিলাদের একটা গল্প করার বিষয় তো থাকতেই হবে ,এজন্য সব ধরনের গল্প তারা করে থাকে ।ভালোবাসার জন্য মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে ।
স্কুলের গার্ডিয়ানদের এই এক সমস্যা। গল্প করতে বসলেই লোকজনের বদনাম ছাড়া আর কিছুই করেনা। আপনি ভালো একজন মহিলার সান্নিধ্য পেয়েছেন। মহিলাটার গল্প শুনে আসলেই খারাপ লাগলো। যার জন্য পরিবার ধর্ম সব ত্যাগ করল তার সঙ্গে খুব বেশিদিন সময় পার করতে পারল না । যাইহোক আগে থেকে ব্যবসা দেখাশোনা করতে জন্যই খুব বেশি বিপদে পড়তে হয়নি তাকে। তা না হলে তো বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে যেত। আল্লাহ মহিলাটিকে বাচ্চা নিয়ে সুখে থাকার তৌফিক দান করুন।
আসলেই মহিলাটার জন্য সত্যি অনেক খারাপ লাগে । এখন বাচ্চা তিনটাকে নিয়েই তার জীবন চলছে ।
আসলে কিছু কিছু মহিলা আছে শুধু শ্বশুরবাড়ি এবং হাজবেন্ডের বদনামি করে। তবে আপনি ঠিক বলেছেন দিনশেষে যার সাথে থাকবো তার বদনামি করা একদম ঠিক না। তবে ছোট বাচ্চাগুলো স্কুলে নিয়ে যাওয়া এবং নিয়ে আসা একটু কষ্ট হলেও বাচ্চার জন্য ভালো। তবে আপনি স্কুলে যে ভাবির সাথে বসে কথা বলেন আসলে তার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। সারাক্ষণ সে দোয়া কলমা পড়ে। কিন্তু এক সময় ভিন্ন ধর্মের ছিল। আসলে ভালবেসে সেই নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ভালবাসার লোকের ধর্ম গ্রহণ করল। তবে সবাইকে একদিন ছেড়ে চলে যেতে হবে এই দুনিয়া থেকে। ভাবির হাসবেন্ডও আজ তাদেরকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেল না ফেরার দেশে। তবে আপু যেই লোকগুলো স্কুলে এসে বসে বসে আপন লোক গুলোর বদনাম করে এই লোকগুলোর সাথে কথা বলা ঠিক না। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে সবসময় ধর্ম কর্ম নিয়ে থাকে । হাজবেন্ড তাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছে এটা তো বিধাতার নিয়ম তারপরও তো মানুষকে বেঁচে থাকতে হয় ।
আপনার ছেলের স্কুলে বোরিং সময় পার ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। আসলে কিছু কিছু মহিলা আছে যারা অযথা শশুর শাশুড়ি এবং হাজবেন্ডের নামে উল্টাপাল্টা কথা বলে। তবে একটা জিনিস খুব ভালো লাগলো যে ভাবির সাথে আপনার পরিচয় হয়েছে সে অত্যন্ত ধার্মিক। যদিও তিনি ভালোবাসার জন্য নিজের ধর্ম ত্যাগ করে তার স্বামীর ধর্ম গ্রহণ করেছে। তবে পৃথিবীতে সবাই চিরস্থায়ী নয়। তবে আপু যেসব মহিলারা বসে ফ্যামিলির কথা বদনামি করতে পারে অন্য লোকের কাছে তাদের সাথে বসে কথা বলা ও ঠিক না।
কিছু কিছু মানুষজন আছে শ্বশুরবাড়ি ও তাদের লোকজনকে নিয়েই বদনাম করে আনন্দ পায় ।