কাঁচা মরিচের আচার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদেরকে মরিচের আচার তৈরি করে দেখাবো । আসলে মরিচ এর আচারটি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে আমার থেকে আমার হাজবেন্ডের এটা অনেক পছন্দ । আমার হাজব্যান্ড এর জন্য আমি এটা তৈরি করেছি । সেদিন ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে আসার পথে দেখলাম যে একটা ছেলে ভ্যান ভর্তি করে কাঁচামরিচ বিক্রি করছে । মরিচ গুলো দেখতে এতটা ভালো লাগছিল যে আমি তখন মরিচের সামনে দাঁড়িয়ে দাম জিজ্ঞাসা করলাম ওরা বলল যে ৬০ টাকা কেজি এবং মরিচ গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল । যার কারণে আমি ওর কাছ থেকে এক কেজি কিনে নিলাম । অনেক বড় বড় সাইজের মরিচ দেখে কেন জানিনা লোভ হচ্ছিল । আর সেই মরিচ গুলো দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে এগুলো দিয়ে আচার বানালে ভালো লাগবে আর মরিচগুলো একটু কম ঝাল ছিল । যার কারণে আচার বানানোর কারণে খেতে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে । মজাদার রেসিপি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করে দিলাম ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
রসুন―২ টি
সরিষা বাটা ―২ টেবিল চামচ
আদা বাটা ―১টেবিল চামচ
রসুন বাটা―১ টেবিল চামচ
সরিষার তেল ―২৫০ গ্রাম
চিনি ― স্বাদমতো
ভিনেগার― 3 টেবিল চামচ
তেতুল ― ইচ্ছেমতো
হলুদ―১/২চা চামচ
লবণ ―স্বাদমতো
পাঁচফোড়ন―১চা চামচ
কার্যপ্রণালী
প্রথমে আমি আধা কিলো মরিচ বোটা ছাড়িয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি । তারপর মরিচগুলো মাথার কাছ থেকে অল্প একটু কাঁচি দিয়ে কেটে নেব । এরপর দুটো রসুন খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি । এরপর সরিষা বেটে নিয়েছি তেতুল দেখুন সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি ।
এরপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তার ভিতরে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছি । পাঁচফোড়ন দিয়ে রসুনের কোয়া গুলো দিয়ে দিয়েছি । রসুনের কোয়া দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে তার ভেতরে মরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি । মাথার কাছ থেকে একটু কেটে দিলে এ মরিচ গুলো তেলের ভেতর দিলে আর ফুটবে না, তা না হলে ফুটে গায়ে লাগার সম্ভাবনা রয়েছে ।
এরপর মরিচগুলো তেলের সাথে একটু নাড়াচাড়া করে তার ভিতরে আদা রসুন বাটা ও একটু লবণ দিয়ে দিয়েছি । তারপর সরিষা বাটা দিয়ে দিয়েছি এরপর নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি ।
এরপর বেশ খানিকটা সময় নেড়েচেড়ে রান্না করে নিয়ে তার ভিতর তেতুলগুলো দিয়ে দিয়েছি এবং চিনি দিয়ে দিয়েছি । দিয়ে ভালো মতো নেড়ে চেড়ে আরো কিছু সময় রান্না করে নিয়েছি । তারপর তার ভিতরে ভিনেগার দিয়ে দিয়েছি । ভিনেগার দিলে আচারটা বাইরে বেশ কিছুদিন ভালোভাবে রাখা যায় ।
এরপর আরেকটু জ্বাল করে নিয়ে চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি ।তারপর আচারটা ভালোমতো ঠান্ডা করে নিয়েছি । এরপর একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি ছবি তোলার জন্য । তারপর একটা কাঁচের জারে ঢেলে আচারগুলো সংরক্ষণ করেছি । আচারটা খেতে যে কতটা পরিমাণ মজা হয়েছে তা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না । মরিচ মোটামুটি ঝাল একটু কম থাকায় আমিও খুব মজা করে খেতে পারছি ।তেঁতুল দেয়ার কারণে আরো বেশি মজা হয়েছে খেতে ।আপনারা চাইলে এভাবে একটু বানিয়ে দেখতে পারেন খেতে ভালই লাগবে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি আপনার হাসবেন্ডের জন্য কাঁচামরিচের আচার রেসিপি তৈরি করেছেন এবং সে এই কাঁচামরিচের আচার অনেক বেশি পছন্দ করে জেনে খুশি হলাম। যদিও এই প্রথমবার এরকম একটা আচার রেসিপি দেখলাম এর আগে কখনোই এমন আচার খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে এত ইউনিক একটা আচার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছেও খেতে ভালো লাগে প্রথমবার দেখেছেন এবং শিখে নিয়েছেন একবার তৈরি করে দেখবেন অনেক মজা ।
আপনার ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার পথে ফ্যানের উপরে মরিচ বিক্রি করতে দেখলেন। তবে এই মরিচগুলো অনেক ভালো মানের এবং দেখে আপনার ভালো লেগেছে। যার কারণে এই মরিচগুলো কিনলেন। তবে ষাট টাকা কেজি নিল এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। আসলে মরিচের দাম অনেক বেশি ছিল কিছুদিন আগে, এখন হয়তো কমে যাচ্ছে। আর সেই মরিচ দিয়ে আপনি খুবই ইউনিক নতুন একটি তৈরি করলেন। এই রেসিপি তৈরি করা যায় এভাবে আমার জানাই ছিল না আপনার ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম।
মরিচ গুলো দেখতে অনেক বড় বড় এবং ভালই ফ্রেশ ছিল এজন্য নিয়ে নিয়েছি আচারগুলো তৈরি করার জন্য ।
ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে আসার পথে ৬০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছে এবং কাঁচা মরিচের আচার তৈরি করেছেন। আপু কাঁচা মরিচের এই আচার দেখে বেশ লোভণীয় লাগছে আপু। অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও কিন্তু খুবই স্বাদ হয়েছিল ।
কাঁচা মরিচের আচার নামটি মনে হচ্ছে প্রথম শুনলাম। তবে আমি এভাবে কখনো খাইনি। দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। খেতে ইচ্ছে করছে আপু। ইউনিক রেসিপি ছিলো। এধরনের ভিন্ন রকম আয়োজন গুলো দেখতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
প্রথম শুনলেন এবং প্রথমে একবার খেয়ে দেখেন ভাইয়া খেতে খুবই ভালো লাগে ।
কাঁচা মরিচের আচার রেসিপির নাম শুনেই তো আমার ঝাল লেগে গেল। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি আচার রেসিপি দেখলাম তারপরে আচার রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরেছেন অনেক শুভকামনা রইল আপু।
এগুলোর নাম শুনলে ঝাল লাগে তবে খাওয়ার সময় একটু একটু করে নিয়ে খেতে কিন্তু ভালোই লাগে ।
কাঁচা মরিচ দিয়ে এত সুন্দর আচার তৈরি করা যায় এটা আমার জানা ছিল না।যেকোনো আচার আমার খেতে ভালো লাগে। কাঁচামরিচের আচার এর আগে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার আচার গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু একদিন অবশ্যই তৈরি খেয়ে দেখবেন খেতে কিন্তু অনেক মজা ।
চমৎকার একটি আচার তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো আপনার তৈরিকৃত এই সুন্দর আচার। অবশ্যই তেঁতুলের আচার আমার খুবই প্রিয়। আর আপনি কিন্তু বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি করেছেন আজকের এ আচার। জানিনা কতটা টেস্ট হয়েছে তবে তেতুলের জন্য হয়তো অবশ্যই অনেক টেস্ট ছিল।
এটার ভেতর তেতুল দেওয়ার কারণে টেস্ট একটু বেশি হয়েছিল ।
প্রথমবারের মতো আপনার মাধ্যমে নতুন একটি আচারের রেসিপি সাথে পরিচিত হলাম।
আসলে এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি যে মরিচ দিয়ে ও মজাদার খাবার প্রস্তুত করা যায়।
আপনার রেসিপির ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা পড়ে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে 😋।
নিশ্চয়ই খাবারের সময় কাছে দু এক বোতল পানি রেখেছিলেন ভয়ে 😁😁
প্রথমবার নতুন একটি আচারের রেসিপি দেখলেন শিখে নিলেন এখন বানিয়ে খেয়ে ফেলবেন ভালো লাগবে ।
যে কোন আচারই আমার ভীষণ পছন্দের। কাঁচা মরিচের আচার হলে তো কোন কথায় নেই।আমিও বেশ কিছু মাস আগে কাঁচামরিচের আচার রেসিপি করে শেয়ার করেছিলাম বাংলা ব্লগ পরিবারে।আপনার কাঁচামরিচের আচার ভীষণ সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে।আচার তৈরি পদ্ধতি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি ফলো করে যে কেউ বানিয়ে নিতে পারবে। কাঁচা মরিচের আচার দিয়ে ভাত খেতে ভীষণ ভালো লাগে।বিশেষ করে গরমের দিনে দুপুরের খাবারের টেবিলে যদি এমন লোভনীয় আচার থাকে তবে জমে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি আচারের রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমার কাছে আচারটা খেতে খুব ভালো লাগে আমি তো মাঝে মাঝেই তৈরি করি । ধন্যবাদ আপু আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।