নিজ গন্তব্যে ফিরে এলাম

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।




আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে জার্নি করে এসেছি শরীরটা তেমন একটা ভালো লাগছে না ।তারপরও মোটামুটি কিছু একটা লিখার জন্য আপনাদের সাথে উপস্থিত হয়েছি । বেশ কিছুদিন আগে বাবার বাড়ি গিয়েছিলাম ঘুরে ফিরে সময়টা যে কোথা দিয়ে চলে গেল টেরই পেলাম না । যখন যাওয়ার কথা আসে তখন একমাস আগে থেকে মনের ভিতরে একটা আনন্দ কাজ করে এই বুঝি যাব কি করবো না করবো সব কিছু ঘুরপাক খেতে থাকে । আর ওখানে যাওয়ার পরে সময় গুলো একেবারে দ্রুতগতিতে শেষ হয়ে আসে ।দেখতে দেখতে আমার আঠারোটা দিন কোথা দিয়ে চলে গেল ভাবতেই পারলাম না । মনে হলো যে এইতো সেদিন আসলাম । আম্মাকে একা রেখে আসতে অনেক কষ্ট লাগছিল তারপর কি করার আসতে তো হবে । মাকে বারবার বলছিলাম চলো আমাদের সাথে কিন্তু সে কিছুতেই রাজি হলো না ।

20231223_235520.jpg


আমি আর তানিয়া অনেকদিন আগে গিয়েছিলাম তানিয়া তো আগেই চলে এসেছে । আমি আরো কয়েকটা দিন থেকে আজকে ঢাকায় ফিরলাম । সকাল থেকেই ঘুম থেকে ওঠার আগে মনটা কেমন যেন ভালো লাগছে না । যাওয়ার কথা মনে পড়লে খুব খারাপ লাগলো । তারপরও সকালবেলা উঠে নাস্তা করে আস্তে আস্তে রেডি হতে থাকলাম । এরপর আম্মা কিছু ভাপা পিঠা বানানোর জন্য রেডি করছিল । ভাপা পিঠা আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে । বিশেষ করে মায়ের হাতের ভাপা পিঠার কোন তুলনা হয়না । রাতে সবকিছু দুজন মিলে রেডি করে রেখেছিলাম সকালে উঠে আম্মা ঝটপট পিঠাগুলো গরম গরম তৈরি করে দিল ।

20231223_235457.jpg


ভাই গেল অটো নিয়ে আসতে ও কিছুক্ষণের মধ্যে অটো নিয়ে চলে আসলো । আমরা মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম । আমাদের গাড়ি ছিল পৌনে ২ টায় আমরা বের হতে হতে প্রায় দেড়টা বেজে গিয়েছিল । অটোতে করে যেতে অল্প সময় লাগে । এর ভিতর রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে কিছু মিষ্টি কিনে নিলাম । ছেলের বাবা আবার রসগোল্লা খেতে খুব পছন্দ করে ।বিশেষ করে আমাদের ফরিদপুরের মিষ্টি গুলো খুবই টেস্টি । এজন্য সেখান থেকে মিষ্টি কিনে তারপর আবার আমরা রওনা দিলাম । এরপর বাস স্ট্যান্ডে চলে আসলাম সময়ের আগেই । আমরা পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে না করতে বাস চলে আসলো । যথা সময় বাস ছাড়লো আমাদের কোন লেট হয়নি ।

20231223_235303.jpg

20231223_235229.jpg


এর ভিতরে আসতে আসতে বাস চলতে থাকলো আর গাড়িতে উঠলে এমনিতেই আমার ঝিমুনি ধরে বমি বমি ভাব লাগে ঘুম চলে আসে যার কারণে আমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকি । মাঝে মাঝে ফাঁকফোকর দিয়ে দু একটা ছবি তুলে নিয়েছি । এখন আরও একটি সমস্যা হয়েছে আমি সারা জীবনই জার্নিপথে জানালার পাশে বসে আসি কিন্তু এখন ছেলে কিছুতেই আমাকে জানালার পাশে বসতে দেয় না সেই বসবে । তারপরও সাইড দিয়ে কিছু কিছু ছবি তুলেছি ।

20231223_235629.jpg

20231223_235608.jpg


রাস্তা দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ে যে সেগুলোর ছবি না তুলে পারা যায় না । মাঠ ভর্তি দেখলাম হলুদ সরষে ফুলে বলে গিয়েছে দূর থেকে ছবিগুলো তুলে নিয়েছি । কাছে গিয়ে কিছু ছবি তুলতে ইচ্ছা করছিল কিন্তু সব ইচ্ছে তো আর পূরণ করা যায় না । দেখতে দেখতে আমরা পদ্মা ব্রিজের উপরে উঠে গেলাম । পদ্মা সেতুতে ছবি তুলতে পারিনি কারণ চারিদিকে অনেক পরিমানে কুয়াশা ছিল আর আমার শরীরটা ভালো লাগছিল না যার কারণে ছবি আর উঠায়নি । এরপর সেতু পার হয়ে আস্তে আস্তে বাস ঢাকার ভিতরে ঢুকে গেল । আমরাও আস্তে আস্তে প্রায় আমাদের গন্তব্যের কাছাকাছি চলে আসলাম । আজকের জার্নি টা খুব ভালো হয়েছে । রাস্তায় কোন জ্যাম হয়নি একেবারে পাকা দুই ঘন্টায় আমরা ঢাকায় এসে পৌঁছে গিয়েছি । ছেলের বাবা এসে দাঁড়িয়ে আছে । এরপর আমরা বাস থেকে নামলাম আবার একটি সিএনজি নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । সেখানে আমরা আধা ঘন্টার ভিতরে পৌছে গেলাম বাসায় । জার্নিটা মোটামুটি ভালোই ছিল অল্প সময়ের ভিতরে ঢাকা চলে আসতে পেরেছি ।

20231223_235554.jpg

20231223_235541.jpg

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 7 months ago 

দুলাভাই তো আমার মত মিষ্টি খেতে পছন্দ করে। রসগোল্লার সাথে লুচি খেতে বেশি মজা লাগে। একটু কুয়াশা বেশি ছিল বলে হয়তো পদ্মা সেতুতে ছবি তুলতে পারেননি। কেননা কুয়াশায় তো একদম অন্ধকার হয়ে থাকে সেখানে।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago (edited)

রসগোল্লা দিয়ে নিমকি খেতেও খুব ভালো লাগে । পদ্মা সেতুতে আসলেই অনেক কুয়াশা ছিল চারদিকে মনে হচ্ছিল একেবারে মেঘে ঢেকে যাচ্ছে ।

 7 months ago 

আসলে এমন অবস্থা আমারও অনুভব হয়েছিল যখন সুন্দরবনে যাচ্ছিলাম জানালার পাশে আমার বন্ধু বসে ছিল, তাকে অনেক বোঝানোর পরে সে জায়গাটা আমাকে দিয়েছিল কারণ আমার আশা ছিল জানালার পাশে বসবো এবং পথে চলতে বিভিন্ন দৃশ্য গুলো ক্যামেরাবন্দি করব ফটো আর ভিডিওর মাধ্যমে। যাই হোক জানালার গ্লাস দিয়ে তো সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখলাম। তাল গাছের ফটোগ্রাফি টা কিন্তু অনেক সুন্দর। এখন আমরা পথে ঘাটে যেখানে যায় না কেন একটাই উদ্দেশ্য সুন্দর দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করা।

 6 months ago 

জানালার পাশে বসলে চার দিকটা দেখা যায় এবং দেখতে ভালো লাগে । বিশেষ করে ভিতর দিকে বসলে আমার অস্বস্তি লাগে । কিন্তু বাচ্চা বলে কথা কিছু করার নাই ।

 7 months ago 

বাবার বাড়িতে গিয়ে অনেকদিন থেকে ছিলেন অনেকদিন থাকার পরে অবশেষে নিজ গন্তব্যে ফিরেছেন জেনে ভালো লাগলো। যদিও বাবার বাড়ি থেকে ফিরতে অনেকটাই কষ্ট হয়েছে কারণ সেখানে মা রয়েছে মাকে ছেড়ে আসাটা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টের একটা কাজ। এরপরেও ফিরতে তো হবেই এটাই নিয়ম, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই রেডি হয়ে বের হয়ে গিয়েছেন। বাবার বাড়িতে যাওয়ার আগে যতটা আনন্দ হয় ফিরতে ঠিক ততটাই কষ্ট হয়। তবে এটা জেনে সবথেকে বেশি ভালো লাগলো যে কোন রকম জ্যাম ছাড়াই আপনারা ভালোভাবে পৌঁছেছেন। মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

কোথাও যাওয়ার আগে যতটা আনন্দ লাগে ফেরার সময় ঠিক ততটাই কষ্ট লাগে ।

 7 months ago 

আপু আপনি এখানে ছিলেন বেশ ভালই লেগেছিল ।খুব বেশি যেতে না পারলেও মনে হয়েছিল যেন কাছেই আছেন। যে কোন সময় দেখা হবে। আবার সেই দূরে সবাই ।১৮ দিন ছিলেন বুঝতেই পারিনি। কিভাবে সময় চলে যায় আসলে বোঝাই যায় না।ধন্যবাদ।

 6 months ago 

আসলে কয়েকটা দিন ভালই সময় কাটাতে পেরেছি । দিনগুলো কিভাবে চলে গেল বুঝতেই পারলাম না ।

 7 months ago 

আপনার এক জায়গায় ঘোরা মাত্র শেষ হলো। এই ফাঁকে আমি ঢাকায় এসে রংপুর ঘোরাও প্রায় শেষ। আজ বাসায় ফিরব ইনশাআল্লাহ। আমিও যেদিন এসেছিলাম সেদিন পদ্মা সেতুর ওখানে খুব কুয়াশা ছিল। চারপাশ দেখা যাচ্ছিল না। তারপর আশেপাশের বেশ কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। সুস্থ মতো বাসায় পৌছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।

 6 months ago 

এখন পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে আসলে অনেক কুয়াশা পড়ে চার দিকটা তেমন দেখা যায় না ছবিও তেমন একটা তোলা হয় না ।

 7 months ago 

এটা ঠিক বলেছেন আপু বাবার বাসায় যেতে সময় গুনি বসে কবে যাব।কিন্তু যাওয়ার পর সময় যে কোথা দিয়ে চলে যায় তা আর বোঝাই যায় না।আপনি প্রায় অনেকদিন ই ছিলেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। চমৎকার ফটোগ্রাফি ও করলেন। ধন্যবাদ আপু অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

আসলেই আমাদের সময় গুলো যে কোন দিক দিয়ে পার হয়ে গেল টেরই পেলাম না । মনে হয় যে এইতো সেদিন আসলাম আবার চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেল ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 58068.07
ETH 3133.85
USDT 1.00
SBD 2.44