অবশেষে বাবার বাড়িতে আসতে পারলাম
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব অনেকদিন পরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা নিয়ে । বেশ কিছুদিন ধরে আসবো আসবো কিন্তু আসাই হচ্ছিল না । এর ভিতরে ছেলের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল যার কারণে আসাটা আরও দেরি হয়ে গিয়েছিল । পুজার ছুটিতে ভেবেছিলাম আসবো ছোট বোন এসে ঘুরে গিয়েছিল বারবার আসার জন্য বলছিল কিন্তু দু চার পাঁচ দিনের জন্য বাবার বাড়িতে এসে আমার কেন যেন ভালই লাগে না । এজন্য তখন আর আসেনি । ভেবেছিলাম একবারে শীতের সময় পরীক্ষা শেষে তারপরে যাব । এরপর আমার আসা দেখে আমার বোন আবার আমাদের সাথে আসার জন্য ঠিক করল । কারণ সবাই মিলে একসাথে তেমন একটা বেড়ানো হয় না এই বাবার বাড়িতে আসলে কয়েক বোন একসাথে হই ।
বোন আসার কথা বলে তারপর সবার বাচ্চার পরীক্ষা শেষ হলে ঠিক করলাম যে আমরা এর ভিতরে ফরিদপুর আসবো । তারপর আবার ফরিদপুর থেকে বোন আসলো ওকে নিয়ে কয়েকটা দিন সময় কাটালাম । তারপর আমরা পাঁচ তারিখে দিন ঠিক করলাম । আমরা ভেবেছিলাম সকাল সকাল রওনা দেব তারপরও রওনা দিতে দিতে প্রায় সাড়ে বারোটা বেজে গিয়েছিল । কোথাও যাওয়ার কথা শুনলে সারা রাত টেনশনে ঘুমই হয় না । তারপরও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রেডি হতে শুরু করলাম । এরপর ছোট বোন আসলো আমার বাসার সেখান থেকে আমরা একটা উবার নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে চলে গেলাম ।
ছেলের বাবা আমাদেরকে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দিতে গেল । সেখানে গিয়ে আমরা একটা এসি গাড়ির টিকিট পেয়ে গেলাম । আর অন্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা করলে অনেক দেরি হয়ে যাবে এজন্য আমরা সামনে যে কয়টা সিট ছিল সেগুলো নিয়ে বাসে উঠে গেলাম । আমাদেরকে ছেলের বাবা গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে সে তার মত বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল । আমাদের গাড়িও ছেড়ে দিল । ঢাকার ভিতরে ভালই বেশ খানিকটা জ্যাম ছিল এরপর গাড়ি আস্তে আস্তে ঢাকা পার হয়ে যাওয়ার পরে আর তেমন কোন জ্যাম ছিল না । খুব সুন্দরভাবে আমরা চলে আসতে পেরেছি । ঢাকার তুলনায় ফরিদপুরে হালকা হালকা শীত পড়েছে সেটা গাড়িতে বসে আশেপাশের দিক তাকিয়ে বুঝতে পেরেছি ।
চলন্ত গাড়িতে আমি কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছি । এমনিতে গাড়িতে বসলে আমি চোখে খুলতে পারি না রাস্তায় ঘুমাতে ঘুমাতে আসি । আমারপাশে দুই বাচ্চার চিল্লাচিল্লিতে ঘুম তেমন একটা হয়নি । তারপরও দুই একটা ছবি তুলেছি । সুন্দরভাবে ফরিদপুরে চলে আসলাম । তারপর বাস থেকে নেমে একটা অটো নিয়ে আল্লাহর রহমতে সুন্দরভাবে বাসায় পৌছে গেছি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
অবশেষে মায়ের বাসায় চলে গেলেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আমি এখনো যেতে পারিনি।যাই হোক আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে মনে হচ্ছিল আমিও আপনাদের সাথে যাচ্ছি।😂সুন্দর ভাবে পৌঁছে গেলেন জেনে খুশী হলাম।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন ধরে আসা করছিলাম শেষ পর্যন্ত আসতে পেরেছি এটাই বড় কথা । অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে ।
যাক অনেকদিন অপেক্ষা করার পর আপনি আপনার বাবার বাড়িতে আসতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন সকালে যদি কোথায় যাওয়ার কথা থাকে তাহলে রাতে যেন ঘুম আসতে চায় না। যাক আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর ভাবেই ফরিদপুর আপনার বাবার বাসাতে পৌঁছাতে পেরেছেন যেনে ভালো লাগলো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার বাবার বাড়িতে পৌঁছানোর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন যাওয়ার টেনশনে সারারাত ঘুমই হয় না । তারপরও সবকিছু মিলিয়ে চলে এসেছি এটাই সবচেয়ে বড় কথা ।
আপু অনেক আগে আপনার পোস্ট পড়েছিলাম আপনার বোনের সাথে বাবার বাড়িতে যেতে পারেনি বলে খুব মন খারাপ ছিল। কিন্তু অবশেষে চলেই গেলেন। যাক সুস্থ ভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন এটাই শুকরিয়া। এখন পরিবারের সাথে সুন্দর সময় কাটান আর শীতের পিঠা পায়েস খেতে খেতে আনন্দ করেন। আমিও কিছু দিন পর খাবো চিন্তা করেছি। হ্যাঁ আপু শহরের থেকে গ্ৰামের দিকে একটু বেশিই ঠান্ডা পড়েছে। আপনার সবাই সাবধানে থাকবেন আর পরিবার নিয়ে সুস্থ ভাবে নিজের গন্তব্যে ফিরে আসতে পারেন এই দোয়া কামনা করি।
হ্যাঁ আপু অনেকদিন ধরে আসার ইচ্ছা করছিলাম অবশেষে চলে এসেছি । আর ঢাকার থেকে অন্যান্য জায়গায় ঠাণ্ডা একটু বেশি পরে ।
যেহেতু কয়েক মাস পরপর যাওয়া হয় বাবার বাড়িতে, তাই অল্প কয়েকদিনের জন্য গেলে আসলেই ভালো লাগার কথা না। সেজন্য তানিয়া আপুর সাথে এর আগের বার যাননি সেটা বলেছিলেন। যাইহোক অবশেষে তাহলে লম্বা ছুটিতে বাবার বাড়িতে চলে গেলেন। আপনার বুদ্ধিটা দারুণ লেগেছে, শীতকালের এই সময়টা বেশ উপভোগ করতে পারবেন। আবার স্কুল ও বন্ধ, সবমিলিয়ে দুর্দান্ত সময় কাটাতে পারবেন। ঠিকঠাক মতো ফরিদপুর পৌঁছে গিয়েছেন,জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা একা একা এই সময়টা উপভোগ করবো সেই লোভে তানিয়া আবারও আমাদের সাথে এসেছে । এখানে আসলে আমার অল্প কয়দিন পর যেতে মন চায় না ।
তানিয়া আপুর তো মজাই মজা। কিছুদিন আগেও থেকে এসেছে, আবারও গিয়েছে আপনাদের সাথে। তবে সুমা আপু এবং রুপক ভাই তো এখন ঢাকাতে তাই না? সুমা আপু এখন ফরিদপুর থাকলে আরও বেশি মজা করতে পারতেন। যদিও উনারা মনে হয় ঢাকা থেকে ফরিদপুর চলে যাবে ২/১ দিনের মধ্যেই। তখন ৩ বোন মিলে অনেক মজা করতে পারবেন।
সোমা তো ঢাকা গিয়ে আমার বাসায় কয়েকদিন ছিল । ওদের সাথে ঘোরাফেরা করে তবেই আমি ফরিদপুরে এসেছি । ওরা এখন ফরিদপুরে চলে এসেছে এখন আমরা সবাই একসাথে । যদিও সোমা এখন ওর বাসায়ই আছে ।
বাবার বাড়িতে যাওয়ার অনুভুতি ভালো লাগা অন্য রকম হয়।ভাইয়া আপনাদের কে বাসস্ট্যান্ডে পৌছে দিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।রাস্তায় খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছে।খুব ভালোভাবে বাবার বাড়িতে পৌঁছে গেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ছেলের বাবা সব সময় আমাকে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে যায় । আমরা আগে তো একসাথে আসতাম এখন রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়াতে সে আমাদেরকে বাসে উঠিয়ে দেয় যদিও বোন সাথে ছিল ।