★হঠাৎ পাওয়া বিয়ের দাওয়াত★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার একটি মুহূর্ত। এই শীতের সময় আসলে মানুষের বিয়ের ধুম পড়ে যায় । তখন একটা দুইটা বিয়ের দাওয়াত পাওয়াই যায় । তখন দেখা যায় যে এমন কিছু জায়গা থেকে হুট করে বিয়ের একটা দাওয়াত পেয়ে বসা হয় যেটা কখনো মাথাতেই থাকে না। এরকমই একটা বিয়ের দাওয়াত পেয়েছি বেশ কিছুদিন আগে আমরা কিছুদিন আগে রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম সেখানে বসেই এই দাওয়াতটা পেয়েছিলাম, যেটার কথা আমরা কখনো কল্পনাই করিনি। তার আগে বেশ কিছুদিন আগে আমি নতুন একটা শাড়ি কিনেছি, আর যখন শাড়িটা কিনে আনলাম তখন বলছিলাম এখন একটা বিয়ের দাওয়াত হলে ভালো হতো শাড়িটা পরার একটা সুযোগ হত তখন আমার হাজব্যান্ড আমাকে বলল যে অপেক্ষা কর শীত এসেছে এখন কোথাও না কোথাও থেকে বিয়ের দাওয়াত আমরা পাবোই। ঠিক যেমনটি ভেবেছিলাম তেমনি আমার হাজবেন্ডের খালাতো ভাই অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে এসেছে তারই বিয়ের অনুষ্ঠান। ছেলে অস্ট্রেলিয়াতে সেটেল হতে হতে কিছুটা বয়স হয়ে গিয়েছিল এসেই বিয়ের পিড়িতে বসেছে।
যথারীতি আমরা ঢাকাতে ফিরে আসি তারপর বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রিপারেশন নেই। আমরা বরযাত্রী এবং বৌভাত দুটোতেই যাওয়ার জন্যই দাওয়াত পেয়েছি। আগের দিন বরযাত্রী তে গেলাম ওখানে গিয়ে আমি কাউকে চিনি না তারপরও বিয়ের দাওয়াতে বরযাতিতে যেতে হবে সেটাই আমার কাছে ভালো লেগেছে। ঢাকার ভিতরে বেশি দূরে নয় পুরান ঢাকাতে যেতে হয়েছিল। সেখানে গিয়ে ভালোই কিছু পরিচিত মানুষজনের সাথে দেখা হল সবাই মিলে গল্প গুজব আড্ডা হল এবং খাওয়া-দাওয়ার সবকিছুই হল। অনেকদিন পরে এরকম একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে ভালো লেগেছিল ।তার পরের দিন আবার ছিল বৌভাতের অনুষ্ঠান সেটা ছিল ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে। সেখানে যথারীতি চলে গেলাম। বরযাত্রীতে যাওয়া ছিল দুপুর বেলায় আর পরের দিনের অনুষ্ঠান ছিল রাতের বেলায়। আমাদের ঢাকাতে নরমালি বিয়ের অনুষ্ঠান রাতের বেলায় হয়ে থাকে।রেস্টুরেন্ট আমাদের বাসা থেকে খুব একটা দূরে নয় আমরা রিক্সা করে যেতে পেরেছি। তারপর ওখানে গিয়ে দেখি আমরা সবার আগে গেস্ট হয়ে চলে গিয়েছি । আমার হাজব্যান্ড আবার একেবারে যখন টাইমটা বলা হয় ঠিক সেই টাইমটা যেতে বেশি পছন্দ করে আমারও এটাই ভালো লাগে। কারণ যখন যেতে বলেছে আমারা ঠিক সেই টাইমে যাব কেউ আশুক আর না আসুক। তারপরে আমরা সেখানে কিছু সময় অপেক্ষা করতে লাগলাম।
এদিকে আমার ছেলে তো একেবারে বোর হয়ে যাচ্ছিল। এদিকে কোন খেলার জায়গা নেই সেই কারণে ও বোর হচ্ছিল।কিন্তু খোঁজার পর ওখানে একটা খেলার জায়গা আমরা পেলাম বাচ্চাদের জন্য, ওকে নিয়ে সেখানে যাওয়া হলো। আরো একজন এসেছিল সে তার মেয়েকে নিয়ে এসেছিল পরে ও আর আমার ছেলে দুজনে মিলে ওখানে অনেকটা সময় কাটিয়েছে। আমিও ছিলাম বেশ খানিকটা সময় আমাদের সময় কিছুটা ভালই কেটেছে। তারপর আমরা কিছু ছবিও তুলেছি। এরপর একে একে গেস্টরা সবাই চলে আসলো এবং তার কিছুক্ষণ পরে পার্লার থেকে সেজেগুজে বউ চলে আসলো। বউকে দেখে তো আমি একেবারে অবাক কারণ আগের দিন বউকে দেখেছি সে বউয়ের সাথে আজকের বউয়ের চেহারার কোন মিল নেই। ঢাকার ভেতরের পার্লার আর বাইরের পার্লারের ভিতরে রাত আর দিন ডিফারেন্স। তারা মেকআপ দিয়ে চেহারাটা একেবারেই পাল্টে ফেলে যা দেখে চেনার কোন উপায় থাকে না। তারপরও আস্তে আস্তে সবাই চলে আসার পরে খাওয়া-দাওয়া টা দিয়ে দিল। খাবারটা যথারীতি বিয়ে বাড়িতে যেই খাবারগুলো হয় ঠিক তাই ছিল। তবে আগের দিনের খাবারের তুলনায় আজকের খাবার গুলো অনেক বেশি টেস্টি ছিল এবং আমরা খুব মজা করে খাবারগুলো খেয়েছি। এদিকে আমার বাসায় একজন গেস্ট আসার কথা যার জন্য আমরা খাওয়া দাওয়া করে আর বেশি সময় দেরি করতে পারিনি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে এসেছিলাম।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
এটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু শীতকাল আসলেই যেন চারিদিকে বিয়ের ধুম পড়ে যায়। তাহলে আপনার শাড়ি পরার সুযোগ হয়ে গেল। আসলে এই ধরনের হঠাৎ করে যদি বিয়ের দাওয়াত পাওয়া যায় তাহলে খুবই ভালো লাগে। কেননা বিয়ে মানেই তো মজার মজার বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার সুযোগ।
ঠিকই বলেছেন শীতকাল আসলে যেন বিয়ের ধুম পড়ে যায় আর আমি শাড়ি পরার একটা সুযোগ পেয়েছি দেখে ভালোই লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
হঠাৎ পাওয়া বিয়ের দাওয়াত সত্যিই খুশির খবর। অনেক আগে শাড়ি কিনেছিলেন। মনে মনে বলছিলে একটা বিয়ের দাওয়াত হলে ভালো হতো। আপনার আশা কিন্তু আপু পুরন হয়েছে। বিয়ে বাড়ীতে চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। শীত কাল এই বেশি বিয়ে হয়। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
মনে মনে আশা করেছিলাম আর পেয়েও গেছি মনের আশা পূর্ণ হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু আপনার নতুন শাড়ি কাজে লেগেছে। হঠাৎ করে বিয়ের দাওয়াত খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আপনি দাওয়াতে গিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। কোথাও ছেলে মেয়েদের নিয়ে গেলে তারা একটু সময় বেশি থাকলেই অস্থির হয়ে পড়ে। তারা সেখানে খেলার জায়গা পেলে আর সমস্যা হয়না।যাক আপনার ছেলে যেহেতু একটু খেলার জায়গা পেয়েছে তাহলে হয়তো আর সমস্যা হয়নি। আপনার বিয়ের দাওয়াতে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তা ঠিকই বলেছেন আপু হঠাৎ করে পাওয়া দাওয়াত আসলেই অনেক ভালো লাগে আর আমারও নতুন শাড়ি পরার একটি জায়গা হল। ধন্যবাদ আপনাকে।
নতুন কাপড় কেনার পরে সেটা পড়ার প্রতি আসলেই ইচ্ছা জাগে তাই আপনি বারবার ভাবছিলেন একটা বিয়ের দাওয়াত পেলে সেখানে কাপড় পড়ে যাওয়া যেত হা হা হা। আর বাচ্চারা যেখানেই যাক না কেন তার সমবয়সী কিছু খেলার সাথী পেলে তারা সবকিছু ভুলে যায়। কিন্তু আপনার বাচ্চা খেলার জায়গা পেয়েছে এবং সে অনেক খুশি হয়েছে। আর সাধারণত বিয়ে বাড়ির খাবার গুলো অনেক সুস্বাদু হয় আর আপনিও ঠিকঠাক খাবারগুলোর টেষ্ট নিতে পেরেছেন।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া মনে মনে যেটা ভেবেছিলাম সেটা পূরণ হয়েছে দেখে সত্যিই অনেক খুশি লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
সবাই বিয়ের দাওয়াত পাচ্ছে,খালি আমার কপালেই দাওয়াত জুটতেছেনা।এই হঠাৎ দাওয়াতের সুযোগে আপনার নতুন শাড়ি ব্যবহার করাটাও হল।সবাই মিলে অনেক ভাল সময় কাটিয়েছেন দাওয়াতে দেখে ভাল লাগল।ধন্যবাদ সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনি নিজেই একটি বিয়ে করে ফেলুন তারপর আমাদেরকে দাওয়াত দিন আমরা যেয়ে খেয়ে আসবো।
হঠাৎ করে কোন দাওয়াত পেলে নিজের কাছে কোন রকম ভালো লাগা কাজ করে আপনার ক্ষেত্রেও দেখছি সেটাই ঘটেছে। শাড়ি কেনার পরে আপনি মনে মনে যেটা ভেবেছিলেন অবশেষে সেটাই হল মনে হচ্ছে আপনার স্বপ্ন খুব শীঘ্রই পূরণ হয়ে গেল আপু হাহাহা। যাই হোক অস্ট্রেলিয়া থেকে আসার পরেই বিয়ের পিরিতে বসেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। আসলে বর্তমান সময়ে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের এত বেশি মেকআপ করা হয় যে বিয়ের আগে এবং পরের চেহারার কোন মিল থাকে না এই মেয়ের ক্ষেত্রে হয়তোবা সেটাই ঘটেছে হাহাহা। যাইহোক সকলের সঙ্গে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে।
ঠিকই বলেছেন পার্লারে এত বেশি মেকাপ দেয় যে চেহারার সাথে কোন মিলই পাওয়া যায় না সেটা আসলেই অনেক হাস্যকর লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
শীতের জন্যই অনেকেই অপেক্ষা করে বিয়ের জন্য। তাই শীত আসলে বিয়ের ধুম পড়ে যায়। আপনি রাঙামাটি থাকা অবস্থায় হঠাৎ বিয়ের দাওয়াত পেয়ে নিশ্চয়ই খুশিই হয়েছেন যেহেতু আপনি বিয়ের জন্য শাড়ি রেখে দিয়েছেন। আপনার ছেলেকে অনেক কিউট লাগছে এবং দেখে মনে হচ্ছে সে আনন্দ করেছে। ধন্যবাদ আপু।
বিয়ের দাওয়াত পাওয়ার পরে সত্যিই অনেক খুশি হয়েছিলাম শাড়ি পরার একটা সুযোগ হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
শীতকালে চারিদিকে বিয়ের দাওয়াতের ধুম পরে যায় একদম ঠিক বলেছেন। আপনি দাওয়াত পাওয়াতে শাড়ী পরারও একটা সুযোগ হয়ে গেল।হঠাৎ বিয়ের দাওয়াত পেলে খুব ভালোই লাগে। খুব ভাল লাগলো আপু। অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যি আপু যে কোন জায়গা থেকে দাওয়াত পেলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মতামতের জন্য।