রাস্তায় হাঁটাহাঁটি ও অল্পস্বল্প কেনাকাটা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটা ও এলোমেলো কিছু জিনিস কিনে নেওয়া । আমি বেশ কিছুদিন পর পর সন্ধ্যার পরে রাস্তায় একটু হাঁটতে বের হয় । হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার ধারে অনেক ধরনের হকাররা বসে যেটা দেখতে আমার কাছে ভালো লাগে । সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনতেও খুব ভালো লাগে । বিশেষ করে রাস্তার পাশ থেকে শাক-সবজি আমিতো প্রায়ই কিনে থাকি । আর এখন শীতের দিন আসছে এখন তো প্রচুর পরিমাণে সবজি এই রাস্তার পার থেকে আমরা কিনতে পারবো । শীতে সবজি অনেক বেশি পরিমাণে কেনা হয় এবং খেতেও খুব ভালো লাগে । সেদিন বের হয়েছি আমরা তিনজন মিলে হাঁটতে । কিছুদূর হাটতে দেখি ভ্যানে করে একটা লোক শাক নিয়ে বসেছে । এই লোকটা অনেক ভালো ভালো শাক বিক্রি করে এবং তার কাছ থেকে আমরা প্রায় সময় শাক কিনে থাকি । আমি দেখে শুনে তার কাছ থেকে কিছু কলমি শাক কিনে নিলাম ।
উনার কাছে সবচেয়ে দামি শাক হলো লাউ শাক । লাউ শাক আমি তেমন একটা পছন্দ করি না । তবে এই লাউ শাকটা বেশি পরিমাণে বিক্রি হয় দেখে এর দামটাও একটু বেশি ।
আবার দেখলাম যে শাপলা ও রয়েছে । শাপলা আমি কোনদিনও খাইনি । তবে শাপলাটাও মানুষজন মনে হয় খায় যার কারণে ওরা প্রচুর পরিমাণে ডাটিসহ শাপলা এনে রেখেছি ।
আবার কিছুদূর এগোতে দেখলাম যে একটা লোক আমসত্ত্ব বিক্রি করছে । রাস্তার ধারের আমসত্ত্ব আমি তেমন একটা খাই না তারপরও দেখে লোভ লাগলো কিছু আমশক্ত কিনে নিলাম ।তারপর এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম যে কিছু লোক ডাব বিক্রি করছে ও পাশে ঝাল মুড়ি ও সিগারেট নিয়ে বসে রয়েছে ।এখান থেকে যদিও আমি তেমন কিছু কিনিনি তবে একটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম ।
আবার আরেকটু সামনে এগোতে দেখি ভ্যান ভর্তি সবজি নিয়ে আরেকজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। তবে ঐদিন আমি কোন সবজি কিনি নাই । কারন সাথে ছেলে ছিল ও খুব বিরক্ত করছিল । সব দোকানে ঢুকতে চাচ্ছিল এজন্য তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে এসেছিলাম । তারপর সামনে কিছু খাবারের দোকান ছিল সেখান থেকে বার্গার কিনে নিলাম ।
ছেলেটা বার্গার খেতে খুব পছন্দ করে শুধু ছেলে নয় আমরাও বার্গার অনেক পছন্দ করি । এই বার্গারটা তেমন একটা ভালো না তবে আশেপাশের ভালো আর পেলাম না যার কারণে এটাই কিনে নিয়ে গেলাম । আরো অনেক দোকানপাট ছিল তবে আমরা সব দোকানে ঢুকিনি । সবগুলো ছবিও তুলি নাই। সামনের উপর পড়েছিল যেটা সেটাই তুলে নিয়েছি । আমাদের এই বিল্ডিং এর সামনে রাস্তাতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে সবাই বসে , এজন্য আমাদেরকে টুকিটাকি কিনতে হলে দূরে কোথাও যেতে হয় না এখানে নামলেই সবকিছু পাওয়া যায় ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
জি আপু আমি যখন ঢাকায় ছিলাম। তখন রাস্তায় হাঁটতে অনেক ভালো লাগতো। রাস্তার পাশে হকার বসে থাকতো। তাদের কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনতে এবং খেতে অনেক ভালো লাগতো। শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী কিন্তু এখন শীতকাল চলে আসছে। আস্তে আস্তে সবজি গুলো খেতে আরো বেশি ভালো লাগবে। শাপলা আমিও কোনদিন খাই নাই কিন্তু মানুষজন খাই। প্রচুর পরিমাণ শাপলা দেখতে পারছি।কত সবজি চারিদিকে। আসলে রাতে বাজার করতে অনেক ভালই লাগে। তারপরে খাওয়া দাওয়ার জন্য ছেলের জন্য বার্গার কিনলেন ভালো লাগলো । কিছু কিছু করার নেই। আশপাশে ভালো বার্গার না থাকার কারণে ওটাই নিতে হলো।সর্বোপরি মুহূর্তটি ভাল ছিল
শীতকাল আসলে মজার মজার সবজি খাওয়া যায় কিন্তু এবার যে সবজির দাম শীতকালে কমবে কিনা কে জানে ।
সন্ধ্যার পরে আপনার বাসার নিচে তো হকারের সমারোহ তৈরি হয়। বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখতে ভালোই লাগে। তাছাড়া এরকম তাজা সবজি দেখলে না কিনে থাকা যায় না। বাচ্চারা বার্গার খেতে খুবই পছন্দ করে। তাছাড়া বাইরে বের হলেই খাবারের বায়না তো থাকেই। ছেলেকে পছন্দের বার্গার কিনে দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
আমাদের বাসার নিচে এমন কোন জিনিস নাই যে পাওয়া যায় না গেলেই কিনতে ইচ্ছা করে ।
ঢাকার রাস্তায় হাঁটতে বের হওয়া প্রত্যেকেই মনে হয় রাস্তার ধারে এ ধরনের দোকান থেকে জিনিস কিনে । আর এ ধরনের ভ্যানে বেশ তাজা সব্জি পাওয়া যায় । সেই সাথে দামও মোটামুটি কম। হাঁটতে বেশ হয়ে বেশ কিছু কেনাকাটা করলেন। আর বাহিরে গেলে বাচ্চাদের বায়নার জন্য কিছুতো কিনতেই হয়। আপনি আপনার ও বাচ্চার পছন্দের বার্গার কিনে বাসায় ফিরলেন। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
এ ধরনের ভ্যানে অনেক সময় টাটকা শাক সবজি পাওয়া যায় দেখলে কিনতে ইচ্ছা করে আর দামও মোটামুটি কমই রাখে ।
এ ধরনের ভ্যানে অনেক সময় টাটকা শাক সবজি পাওয়া যায় দেখলে কিনতে ইচ্ছা করে আর দামও মোটামুটি কমই রাখে ।
আপু এটা ঠিক হাঁটতে বের হলে নানা রকমের জিনিস দেখলে কেনার ইচ্ছে না থাকলে ও কেনা হয়।আমি ও এমনটা করে থাকি।তবে আমি হাঁটি সকালবেলা। ওই সময়টাতে কিছুই থাকে না।তাই ছেলেকে স্কুল থেকে আনার সময় রিকশা দাঁড় করিয়ে করিয়ে এটা সেটা কিনি।আমি ও না কিনে আসলে পারিনা।চোখের সামনে সতেজ শাক-সবজি দেখলে না কিনে পারা যায় না আসলে।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমি সকালবেলা কোনদিনও উঠতে পারিনা এজন্য সকালের বাজার সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই আমি যা করার সন্ধার পরেই করি ।