রাঙ্গামাটি পলওয়েল পার্কের বাকি অংশ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি নতুন একটি ব্লগ । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব অনেকদিন আগে রাঙ্গামাটি শহরে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে একটি পার্কের ভেতরের কিছু অংশ । আমি এর আগে এই পার্কটা সম্বন্ধে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম তবে কিছু জিনিস দেখানো হয়নি ।আজকে তার কিছু অংশ নিয়ে আমি হাজির হয়েছি । এই শহরের একটি পার্ক রয়েছে সেই পার্কটির নাম হল পল ওয়েল পার্ক । এই পার্কটি দেখতে অনেক সুন্দর । এই পার্কে মানুষজন বিভিন্ন দূর থেকে ঘুরতে যায় আর যদি আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখা যায় থাকার জন্য । এই পার্কের ভেতরে সুন্দর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে । সুন্দর সুন্দর কটেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে থাকা যায় । আমরা ট্রাই করেছিলাম তবে সেখানে কোন রুম আমরা খালি পাইনি যার কারণে আমরা সেখানে উঠতে পারিনি । তবে আমরা সেই জায়গাটা ঘোরার জন্য গিয়েছিলাম । আসলে সুন্দর একটি জায়গা বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে ভালোই লাগে । সেখানে সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো দেখতে ভালো লাগে এবং বাচ্চাদের চড়ার জন্য কিছু রাইডও রয়েছে । সেখানে চড়ে তারা খুব আনন্দ পায় । আর পার্কের ভিতর ঢুকেই অনেক উপরে পাহাড়ের উপরে উঠতে হয় । সেখানে সুন্দরভাবে কিছু পশুপাখি আবার সাজানো রয়েছে যেটার মাধ্যমে তারা চিড়িয়াখানার একটা লুক দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং কিছু গ্রামীণ ঐতিহ্য তারা রেখেছে ।
পার্কে যাওয়ার পরে একটা ঝুলন্ত ব্রিজ পার হয়ে তারপর পাহাড় কেটে কেটে সিঁড়ি বানিয়ে সুন্দরভাবে উপরে ওঠার ব্যবস্থা করা হয়েছে । সেখানে এই সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস তৈরি করে রাখা হয়েছে যেগুলো দেখলেই ভালো লাগে । আর এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমাদের গ্রাম বাংলা ঐতিহ্য । ঢেঁকিতে করে ধান ভাঙার সুন্দর কিছু মুহূর্ত । তারা মাটি দিয়ে তৈরি করে রেখেছে এটা দেখে আসলে খুবই ভালো লেগেছে ।এরকম জায়গায় এত সুন্দর একটি জিনিস থাকতে পারে সেটা আমি কখনো কল্পনাই করিনি । ধানগুলোকে একেবারে সত্যিকারের ধান মনে হচ্ছে কিন্তু এগুলো কিন্তু মাটি দিয়ে সুন্দরভাবে তৈরি করে রাখা হয়েছে । সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল আমার কাছে এই জায়গাটি ।
তারপর আরো কিছু দূর যাওয়ার পরে এখানে সুন্দরভাবে আবার কিছু মূর্তির তৈরি করে রেখেছে । যেখানে কয়েকজন মহিলা পানির কলসি থেকে পানি ঢালছে এবং এই পানিগুলো কিন্তু সত্যিই পড়ছে । আর দেখতে খুব ভালো লাগছিল । মানুষজন এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অনেক ছবি তুলছে আমি মানুষজন চলে যাওয়ার পরে ফাঁকা অবস্থায় কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি । এই জায়গাটাও অনেক সুন্দর । নিচ দিয়ে আবার পানির স্রোত হয়ে যাচ্ছে দেখতে খুব ভাল ছিল ।
এই পলয়ের পার্কের ভেতরে এই কটেজ গুলো এভাবে তৈরি করা হয়েছে । এখানে আপনারা ইচ্ছা করলে রাত্রি যাপন করতে পারবেন ভালই লেগেছিল ব্যবস্থাটা আমার কাছে ।
তারপর আরো কিছু দূরে গিয়ে দেখলাম যে মাটি দিয়ে অনেক পশুপাখি তৈরি করে রেখেছে । তারা এত সুন্দর ভাবে পশু পাখিগুলোকে দাঁড় করিয়ে রেখেছে দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন সত্যিকারের পশুপাখি দাঁড়িয়ে আছে । একেবারে চিড়িয়াখানার মতোই কিছুটা আনার চেষ্টা করেছে । আর বাচ্চারা এগুলো দেখে সত্যিই খুব খুশি হয়েছিল । আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
রাঙ্গামাটির পোলওয়েল পার্ক আসলেই বেশ সুন্দর আমিও গিয়েছি এখানে। আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আপনার ভ্রমণের কাহিনী পড়ে বেশ ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
পার্কটি সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল সেদিন গিয়ে ভালই লেগেছিল ।
বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেগুলা দেখে মন ভরে গেল। মাঝে মাঝে ভ্রমণ করা অনেক ভালো ভ্রমন করলে অনেক জ্ঞান বাড়ে সাথে মন ভাল থাকে। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু নতুন কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে ভ্রমণ করতে আসলেই খুব ভালো লাগে । আর এ ধরনের জায়গায় যেতে সত্যি খুব ভালো লাগে ।
ভ্রমণ করলে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বাড়ে ও মন সতেজ হয়। ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পার্ক টি খুব সুন্দর করে সাজানো ।আসলে এ ধরনের সাজানো গোছানো জায়গায় গেলে বাচ্চারা বেশ আনন্দ পায় ।আপনার ছেলেও নিশ্চয়ই বেশ আনন্দিত হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমরা সবাই সেদিন অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছিলাম খুব ভালো লেগেছিল ।
রাঙ্গামাটি শহরটি এমনিতেই খুব সুন্দর । আর এখন পর্যটকদের জন্য নতুন নতুন অনেক কিছুই তৈরি করছে। তাই বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। পলওয়েল পার্কটিও বেশ সুন্দর গোছানো। বাচ্চাদের বেশ পছন্দ হবে। বেশ ভালো কিছু সময় কাটিয়েছেন রাঙ্গামাটিতে। আনন্দের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রাঙামাটি শহরটি সত্যি খুব সুন্দর একবার গেলে বারবার যেতে ইচ্ছা করে ।
রাঙ্গামাটি শহরের পল ওয়েল পার্কটি আসলেই অনেক সুন্দর আপু। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এত সুন্দর একটি পার্ক দেখার সুযোগ হলো আমার। পার্কের ভিতরের মূর্তি গুলো ,মাটি দিয়ে তৈরি জীবজন্তু গুলো অনেক সুন্দর। তবে তার থেকেও বেশি সুন্দর লাগছে পার্কের ভিতরের কটেজ গুলো। দারুন একটি উপস্থাপনা ছিল আপু।
এ ধরনের পার্ক গুলো সত্যি খুব সুন্দর হয় । আর গিয়েও খুব ভালো লাগে । আমরা খুব এনজয় করেছিলাম সেদিন । কটেজ গুলো সত্যিই অনেক ভাল ছিল ।