শৈশবের একটি মজার ঘটনা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার হাজির হয়ে গিয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে । আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট বেলার একটি ঘটনা শেয়ার করবো । আসলে ছোটবেলায় আমাদের সবার সাথেই কম বেশি অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটে থাকে । আমার স্মৃতিশক্তি তেমন একটা ভালো না এজন্য আমি ছোটবেলার তেমন কিছু ঘটনা মনে রাখতে পারি না । যাও দুই একটু হঠাৎ হঠাৎ মনে পড়ে সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসি । ছোটবেলার দিনগুলো সত্যিই অনেক মধুর ছিল । বাবা মা ভাই বোন সবাইকে নিয়ে একসাথে কাটানোর মজাই মনে হয় আলাদা । যতই সে দিনগুলো আমরা পিছে ফেলে আসছি ততই সেই দিনগুলো আমাদের জন্য অতীত হয়ে যাচ্ছে । আর আমরা সেদিন গুলো অনেক বেশি মিস করি ।এখন যদি আমাকে বলা হতো যে তুমি জীবনে কোন জিনিসটা আবার ফিরে পেতে চাও তাহলে আমি অবশ্যই আমার ছোটবেলার সময় গুলো ফিরে পেতে চাইব । কিন্তু সেগুলো তো আর কোনভাবে সম্ভব নয় এখন সেগুলো শুধু স্মৃতি হিসেবে আমাদের মাঝে রয়ে যাবে ।
ছোটবেলায় আমরা বিভিন্ন জিনিস নিয়ে খেলা করতাম , আর সেই সব জিনিস দিয়ে খেলার মজাই ছিল আলাদা । এখনকার বাচ্চারা তো সারাক্ষণ ফোন টিভি এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকে । কিন্তু ছোটবেলায় আমরা তো আর ফোন নিয়ে খেলার সুযোগ পায়নি কারণ তখন তো এরকম ফোন ছিল না । তখন আমরা বাইরে দৌড়াদৌড়ি করে কিংবা অন্য কোন জিনিস নিয়ে খেলাধুলা করে সময় কাটাতাম । আমরা চার বোন হওয়ার কারণে আমরা সবসময় নিজেরা নিজেরাই খেলাধুলা করতাম । আমরা ছোটবেলায় যেই বাসাটাতে থাকতাম সেই বাসাটার সামনে বিরাট একটা মাঠ থাকার কারণে সে মাঠে আমরা অনেক বেশি খেলার সুযোগ পেয়েছি । এজন্য আমাদের বাল্যকালটা আসলেই অনেক মধুর ছিল ।
আমি আজ যে মজার ঘটনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটা হচ্ছে মাটির জিনিস বানানো নিয়ে একটা ব্যাপার ।ছোটবেলায় আমরা মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানাতাম মাঠে বসে । সামনে যেহেতু মাঠ ছিল খোলামেলা সেই মাঠে আমরা রোদের ভিতর বসে বসে খেলা করতাম আর এক এক সময় এক একটা জিনিস বানাতাম মাটি দিয়ে । এ রকমই একদিন আমি দুপুর বেলা রোদের ভেতরে বসে বসে মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনা বানাচ্ছিলাম । এক একটা জিনিস বানানো হচ্ছিল আর আমি এক একটা জিনিস রোদে দিয়ে শুকাচ্ছিলাম । খুব সুন্দর সুন্দর ছোট ছোট কিছু হাড়ি পাতিল বানিয়ে সেগুলো রোদে মাত্র দিয়েছে শুকাতে । আমি পাশেই বসা ছিলাম এর ভিতর আমাদের পাশের বাসার ছোট্ট একটা ছেলে আসলো সেটা দেখার জন্য । ছেলেটা আমার থেকে বেশ খানিকটা ছোটই হবে । সে পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বানানো দেখছিল ।
আমি ওর সাথে কথা বলছিলাম আর এক একটা জিনিস বানাচ্ছিলাম । এর ভিতরে হঠাৎ করে ছেলেটা দেখতে দেখতে একটা সময় ও আমার জিনিসগুলো পা দিয়ে একেবারে পাড়া দিয়ে ভেঙে দিয়ে দৌড় । আমিও তখন উঠে ওর পিছে পিছে দৌড় দিয়ে গিয়ে ওই কাঁদা হাত দিয়ে ওর পিঠে ঠাস করে একটা চড় মেরে দিয়েছিলাম । একেবারে আমার হাতের পাঁচটা আঙুলের কাঁদার ছাপ ওর পিঠে জামার উপর বসে গিয়েছিল ।তখন ও চিৎকার দিয়ে কান্না করে ওর মার কাছে গিয়ে নালিশ করেছিল । ওর মা এসে তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন আমি ওকে থাপ্পড় মেরেছি । তখন আমি ওনাকে বলেছিলাম যে আমার জিনিসগুলো ও পা দিয়ে কেন ভেঙে দিয়ে দৌড় দিল । তখন ওর মা ওকেও বকা দিয়েছিল সাথে আমার উপর একটু রাগ হয়েছিল । কারণ আমি বড় হয়ে ওকে ওভাবে একটা চড় মেরেছিলাম । যেটা আসলে আমার ঠিক হয়নি । সেই দিনের কথা গুলো মনে পড়লে আজও আমার হাসি পায় । আসলে সেই ছোটবেলার দিনগুলো হাসির ছিল । তখন আমি ওর থেকে বড় ছিলাম কিন্তু আমিও তো ছোটই ছিলাম । এরকম আরো অনেক মজার মজার ঘটনা যেটা আমাদের সাথে রয়েছে যদি হুট করে কোন ঘটনা এভাবে মাথায় চলে আসে তাহলে আবার আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
বুঝলাম আপনার যথেষ্ট রাগ আছে যার কারণে ছেলেটার পিঠে একদম পাঁচটা আঙ্গুলের ছাপ বসিয়ে দিয়েছিলেন হা হা হা। যাইহোক আপনার ছোটবেলার গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
রাগ মানে অনেক বেশি রাগ হয়েছিল আমি কষ্ট করে বানিয়েছিল আমার ছেলেটি ভেঙ্গে দিয়েছিলে এজন্য দিয়েছিলাম চটাং করে একটা চর ।
আসলেই ছোটবেলার মধুর স্মৃতিগুলো মনে পড়লে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর মজার ঘটনা গুলো মনে পড়লে খুবই হাসি পায়। আপনি শৈশবের একটা মজার ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এত জোরে থাপ্পড় মেরেছেন যে ছেলেটার জামায় পাঁচ আঙ্গুলের কাদার হাতের চাপ বসে গিয়েছিল। বেশ মজা পেলাম আপনার গল্পটা পড়ে।
হাতে কাদা ছিল বিধায় সহজেই হাতের ছাপ পড়ে গিয়েছিল ।ঘটনা গুলো আসলেই হাস্যকর হয়ে থাকে ।
আগেকার দিনে মাটি দিয়ে এরকম হাড়ি পাতিল বানানোর যে আনন্দ ছিল সেই আনন্দগুলো এখনকার বাচ্চারা বুঝতেই পারেনা। তাছাড়া ছোটবেলায় আমরা বাইরে বেশ খেলাধুলা করেছি। যাইহোক আপু আপনার ছোটবেলার কাহিনী খুব একটা মন না থাকলেও কিছুটা মনে ছিল। আজকে আবার মনে পড়ে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে ছোটবেলার কাহিনী গুলো মনে পড়লে বেশ হাসি পায়।
ঠিকই বলেছেন আগের দিনে মাটি দিয়ে আমরা কত সুন্দর সুন্দর জিনিস বানাতাম । এটা বানানোর মজাই আলাদা ছিল ।এ ধরনের খেলা গুলো আজকালকার বাচ্চারা মিস করবে ।
আসলে শৈশবের অনেক ঘটনা রয়েছে যেগুলো সবার মনে পড়ে। শৈশবের সেই মধুর স্মৃতিগুলো কখনো ভোলা যায় না। যার কারনে সেগুলো মনে পড়লে এখনো অনেক আনন্দ পায় সবাই। আপনারা বোনেরা মিলে অনেক খেলাধুলা করতেন এবং মজা করতেন এটা জেনে অনেক ভালো লেগেছে। ওই ছেলেটা যখন আপনাদের জিনিস ভেঙে দিয়েছিল, তখন আপনার মাথা নিশ্চয়ই অনেক গরম হয়েছিল? যার কারণে তার সাথে এরকম একটা কাজ করেছিলেন।
সবারই ছোটবেলায় কম বেশি অনেক হাসির গল্প থাকে । আর আমরা ছোটবেলা সবাই মিলে সত্যি অনেক মজা করতাম ।
ছোট বেলায় আমিও মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানাতাম। আর নতুন নতুন খেলা বানিয়ে খেলতাম । কি যে মজা ছিল ছোট বেলা। বেশ আনন্দে কাটিয়েছি ভাই বোন মিলে। আর যেহেতু কলোনিতে বড় হওয়া তাই বন্ধুও ছিল প্রচুর। আর ছোট বেলার এমন অনেক স্মৃতি মনে পরলে মাঝে মাঝে বেশ হাসি পায়।
এই খেলাটা মনে হয় কম বেশি সবাই খেলত আর ভালো লাগতো ।
আপু আপনার ঘটনাটি পড়ে সত্যিই হেসে ফেললাম। পুরনো সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল ।সত্যি দারুন সময় কাটিয়েছিলাম তখন ।না জানি সেই ছেলেটা এখন কত বড় হয়েছে। তবে পুরনো স্মৃতি আবার নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম তাই সেই সময় গুলোই বেশি মধুর ছিল । ছেলেটা মনে হয় এখন অনেক বড়ই হয়েছে বিয়ে-শাদীও তো করার কথা ।
শৈশবে এমন মজার ঘটনা সবার জীবনেই ঘটে। আপনার শেয়ার করা এই ঘটনাটি শুনে বেশ মজা লাগলো আপু। ছোটবেলায় গ্রামে থাকতে আমিও অনেক মাটির জিনিস তৈরি করেছি আপু। এসব নিয়ে অনেক মজার মজার ঘটনা আমাদের সাথেও ঘটেছে শৈশবে। শৈশবের এমন ঘটনা গুলো মনে করলে আমারও হাসি পায় এখন।
ছোটবেলার ঘটনা সত্যি এখন মনে পড়লে অনেক হাসি পায় ।সবারই শৈশব টা মনে হয় অনেক মধুরই ছিল ।