এক অকৃতজ্ঞের গল্প পর্ব:২

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Picsart_23-10-20_01-45-08-339.png

আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করে নেব । আসলে গল্পগুলো লিখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে সেটা নিজের মতো বানিয়ে হোক অথবা কারো জীবন কাহিনীই হোক । অনেক সময় মানুষের জীবনে এমন অনেক সুন্দর সুন্দর ঘটনা রয়েছে যেগুলো গল্প আকারে লিখলে সত্যি পড়তে খুব ভালো লাগে ।আমার তো সবাই যখন গল্প লেখে সেটা পড়তে খুব ভালো লাগে ।ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে এমন অনেক ছোট ছোট ঘটনা ও গল্প সামনে আসে সেটা আমি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ি । আমিও চেষ্টা করি আপনাদের সাথে মানুষের জীবনের ছোট ছোট কিছু কাহিনী গল্প আকারে লিখতে । আজও সেরকম একটি ছোট্ট কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরব । গত পড়বে শেষ করেছিলাম মিলন প্রতিদিন সেতুদের বাসায় যেতে যেতে সেতুকে পছন্দ করে ফেলে এবং মনে মনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় ।


এভাবে মিলন রেগুলার ওদের বাসায় যাতায়াত করতে করতে আস্তে আস্তে সেতুকে অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করে ফেলে । সে ভাবে সেতুকে আমি বিয়ে করতে চাই এটা চাচা জানলে কিছুতেই আমার সাথে সেতুকে বিয়ে দিবেনা এবং দোকানেও রাখবে না । তাই মিলন মনে মনে ঠিক করে ও সেতুকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাবে । সেতু স্কুলে একাই যাতায়াত করত ।


মিলন যে সেতুকে পছন্দ করে ও সেতুকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাবে সে ব্যাপারে হোটেলে যে আরো লোকজন ছিল মিলনের বন্ধুর সমতুল্য ও তাদের সাথে এই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করে । তাদের কাছে বলে যে আমি সেতুকে অনেক পছন্দ করি আমি সেতুকে বিয়ে করতে চাই । কিন্তু সেতুর বাবা এবং সেতু কিছুতেই এ বিয়েতে রাজি হবে না তাই আমি কালকে স্কুল থেকে সেতুকে তুলে নিয়ে যাবো । ওরা যেহেতু একসাথে কাজ করে তাই বন্ধুরা একসাথে আড্ডা দিতে দিতে এই কথাগুলো বলছিল ।


কিন্তু এখনো ভালো মানুষ রয়েছে । এই কথাগুলো শুনে হোটেলেরই আরো অন্য একজন লোক সে গোপনে গিয়ে সেতুর বাবাকে বলে দেয় । বলে চাচা কালকে সেতু যখন স্কুলে যায় তখন ওর সাথে স্কুলে আপনি যাবেন । কিসের জন্য যাবে সেটা বলেনা । সেতুর বাবা তখন ধমক দিয়ে ওই ছেলেটার কাছে জিজ্ঞাসা করে কেন তুই একথা বলছিস । সেতু তো প্রতিদিন একাই স্কুলে যায় ।


সেই ছেলেটা সেতুর বাবার কাছে সবকিছু খুলে বলে । সেতুর বাবা খুবই নরম ও শান্ত সৃষ্ট স্বভাবের একজন লোক । এ কথা শোনার পর রাগে একেবারে অস্থির হয়ে পড়ে । কিন্তু সে বাসায় গিয়ে এ ব্যাপারে কারো সাথে কোন আলাপ করে না । এমনকি সেতুর মায়ের কাছেও সে কিছু বলেনা ।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 10 months ago 

মিলন তো দেখছি সেতুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। হোটেলে আলোচনা করার সময় ওই ভালো মানুষটা সবকিছু শুনতে পেরে সেতুর বাবাকে বলে ভালোই করেছে। তার বাবা তো দেখছি এ বিষয়ে ফ্যামিলির কারো সাথে কোন রকম আলোচনা করেনি। দেখা যাক এর পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে থাকলাম।

 10 months ago 

ওই ছেলেটার কাছে ভালো লাগেনি বিধায় ও তার মালিককে গিয়ে বলে দিয়েছিল ।

 10 months ago 

প্রথম পর্বটি আপু আমি পড়েছিলাম তারপরে আপনি আজকে আমাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন। এখন গল্পটি পড়বো যাক।হুম আমিও দেখি ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে এমন অনেক ছোট ছোট ঘটনা আমাদের সামনে চলে আসে।এমনও গল্প আছে সিনেমাকেও হার মানাবে মানুষের জীবনে। আসলে গল্প পড়তে পড়তে একদম আমি গল্পের মধ্যে ঢুকে গেছিলাম কিন্তু আপনি আবারো আগ্রহ সৃষ্টি করলেন। যে পরবর্তীতে সেতুর কি হয়। সেতুকে কি সত্যিই তুলে নিয়ে গিয়েছিল। না তার বাবার রক্ষা করছিল। পরবর্তী পর্বে জানার অপেক্ষা

 10 months ago 

ছোট ছোট গল্প পড়তে ভালো লাগে আবার অন্যের জীবনী নিয়ে ছোট ছোট গল্প লিখতেও ভালো লাগে।

এক অকৃতজ্ঞের গল্পের প্রথম পর্ব পড়েছিলাম আপু, তাই আজ দ্বিতীয় পর্বটি পড়তে পেরে খুব ভালো লাগছে। মিলন শুধু একতরফাই সেতুকে ভালোবেসে গেছিল, যার কারনে সে সেতুকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেছে। আর এই একতরফা ভালোবাসা কখনোই কোনদিন সুফল বয়ে আনতে পারেনি। তা হয়তো মিলনের জানা নেই। যাইহোক আপু, সেতুর বাবা তার কর্মচারীর কাছ থেকে মিলনের গোপন কথাগুলো জেনে, পরবর্তী কি পদক্ষেপ নিল, তা জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 10 months ago 

ছেলেটা অনেক বেশি দুঃসাহস করে ফেলেছিল একবারে তুলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেটা শুনে আমার অনেক খারাপ লেগেছে ।

 10 months ago 

আমি এটা ভেবে অবাক হচ্ছি যে ছেলেটার সাহস কত বড় মালিকের মেয়েকে স্কুল থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে।মেয়েটার বাবার তো রাগে অস্থির হবারই কথা।আসলে এই শ্রেণীর লোক গুলোকে বেশি লাই দেওয়া ঠিক না।এরা নিজের অবস্থান ভুলে যায়। যাই হোক বেশ ভালো ছিল।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

 10 months ago 

এইসব মানুষদেরই সাহস অনেক বেশি পরিমাণে থাকে কারণ এরা তো বেইমানি করার জন্যই রেডি থাকে মনে হয় ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 59218.43
ETH 2534.91
USDT 1.00
SBD 2.44