ছেলে ও তার বন্ধুদের সাথে রমনা পার্কে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার একটি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম ।আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছেলের বন্ধুদের সহ রমনা পার্কে ঘোরাঘুরি করার সুন্দর কিছু মুহূর্ত । বেশ কিছুদিন হয়ে গিয়েছে রমনা পার্কে যাওয়া হচ্ছে না । তাই ভাবলাম যে ছেলেকে নিয়ে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া আসলে দরকার । কিন্তু যেতে ইচ্ছা করছে না । এর ভিতরে দেখলাম যে স্কুলের ভাবীরা একটা প্ল্যান করছে যে তারা বাইরে ঘুরতে যাবে । আমাকে তারা খুব রিকোয়েস্ট করছে কিন্তু আমার যেতে মন চাইছিল না । কারণ আমি কোথাও গেলে ছেলের বাবাকে সহ আমরা তিনজন মিলে যেতে বেশি কমফোর্ট ফিল করি । কিন্তু তারপরও তারা কিছুতেই আমাকে ছাড়ছে না এজন্য বাধ্য হয়ে তাদের সাথে যেতে হল ।
ছেলেকে বলাতে সে একেবারে রাজি হয়ে গেল । কারণ সে তার স্কুলের বন্ধুদের সাথে খেলতে খুব পছন্দ করে । ক্লাসে একা বসে না কিন্তু বন্ধুদের সাথে খেলাধুলার সে একেবারে ১০০ তে ১০০ । এজন্য ছেলের আনন্দের জন্য আমিও যেতে রাজি হলাম । আমরা আমাদের বাসা থেকে একটা রিকশা নিয়ে সরাসরি চলে গেলাম রমনা পার্কে । আমাদের রিক্সা এত দ্রুত গতিতে চালিয়েছে যে আমি আগে সেখানে গিয়ে পৌঁছে গিয়েছি । গিয়ে দেখি সেখানে ওরা কেউ আসেনি । আমি আগে পৌঁছে যাওয়ার কারণে বসে বসে আশেপাশে কয়েকটা ছবিও তুলে নিলাম ।
আজকের আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল না যার কারণে ছবিগুলো খুব একটা ভালো আসেনি । আমরা কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে সবাই যখন চলে আসলো তখন আমরা ওদেরকে নিয়ে রমনা পার্কের ভেতরে খুব সুন্দর একটি বাচ্চাদের খেলার পার্ক রয়েছে সেখানে চলে গেলাম । সেখানে গিয়ে বাচ্চারা এত খুশি সেটা দেখে খুবই ভালো লেগেছিল । প্রত্যেকটা রাইডে একা একাই ছেলেটা ওর বন্ধুদের সাথে উঠেছে , যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে । সবসময় বাসার ভিতরে একা একা থাকে নিজের সাইকেলটা নিয়ে সারাক্ষণ ঘুরে বেড়ায় আর খেলনা নিয়ে একা একাই খেলতে থাকে । আজকে খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে সত্যি সে অনেক বেশি এক্সাইটেড ছিল এবং সাথে তার বন্ধুরা ছিল তাই সে বেশি খুশি হয়েছে ।
সবাই মিলে প্রত্যেকটা জায়গায় ঘোরাঘুরি করে এরপর আমরা আরো বেশ কিছু দূর হাঁটতে হাঁটতে গেলাম । কিন্তু বাচ্চারা সেই পার্কটার ভিতরে বেশি এনজয় করেছিল বারবার সেখানটাতে যেতে চাইছিল । আমাদের সন্ধ্যার আগে আগে সেখান থেকে ফিরে আসতে হবে কারন আমরা কয়েকজন মহিলা মিলে একা গিয়েছি যার কারণে আমরা সন্ধ্যা করতে চাচ্ছিলাম না । কিন্তু ছেলে কিছুতেই আসবেনা পরে ওকে জোর করে সেখান থেকে নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি । পরে একদিন ওর বাবার সাথে গিয়ে বেশি সময় কাটিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
বাহ্ ! খুবই সুন্দর লাগছে তো । আপনার ছেলের চেহারার সাথে আমার ছেলে টিনটিনের বেশ কিছু সাদৃশ্যগত মিল লক্ষ্য করলাম :)
একদম ঠিক বলেছেন দাদা অনেক মিল । আমি মাঝে মাঝে টিনটিন বাবুর দিকে তাকিয়ে ভাবি এত মিল কেমনে হয় । চুলেরও অনেক মিল আবার ছবি তুলতে যে হাসি দেয় সেটারও মিল রয়েছে অনেক ।
সত্যি বলতে আপু। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম আমাদের টিনটিন বাবু। তারপরে দেখি আপনার ছেলে।খেলাধুলা করায় ভালো মানুষের সাথে মন খুলে কথা বললে মন ভালো থাকে সবকিছুই ভালো থাকে। বাচ্চাদের খেলার জন্য অনেক সুন্দর একটি জায়গা রমনা পার্ক। আমি একবার গিয়েছিলাম কিন্তু ভিতরে ঢুকে দেখা হয় নাই। জি আপু মহিলা মানুষ সন্ধ্যার আগে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ায় উত্তম।
বাচ্চারা তো বাসায় খেলাধুলার সুযোগই পায় না এজন্য মাঝে মাঝে রমনা পার্কে নিয়ে গেলে ওরা একটু খেলতে পারে ।
আপু আপনি দেখছি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলতেই আপনার ছেলে রাজি হয়ে গেল এবং তারপরে আপনার ছেলে সহ তার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে রমনা পার্ক কে ঘুরতে গেলেন। এবং খুবই দারুণ একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছেলে সব সময় বেড়াতে যাওয়ার জন্য রেডি থাকে ও শুধু বলার অপেক্ষায় থাকে ।
বাহ্ খুব সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই দিনটি অনেক ভালো কেটেছিল বিশেষ করে ছেলের খুশি দেখেই ভালো লেগেছে ।
আপনি একদম ঠিক বলছেন আপু আসলে পরিবারের সাথে যেভাবে ফ্রি ঘোরাঘুরি করা যায়। বাইরের সদস্য থাকলেও ততবেশি কমফোর্ট ফিল করা যায় না। তবে করার কি আর সবাই মিলে যেহেতু প্ল্যান করলেন তাহলে তো যেতে হবে। তবে বাচ্চারা বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে এভাবে অনেক বেশি আনন্দ করতে পারে। আর একা একা হলে খুব বেশি একাকীত্ব বোধ ফিল করে। অনেক সুন্দর সময় কাটালেন রমনা পার্কে। যদিও মেঘলা আকাশ ছিল কিন্তু ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে।
ঠিকই বলেছেন আপু সবাই মিলে একসাথে ঘুরতে যাওয়ার যে মজাটা সেটি আমি অন্য কারো সাথে একা গেলে পাই না ।