★ঈদের আমেজ★
আসসালামু আলাইকুম
ঈদ মোবারক
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সাথে আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। দেখতে দেখতে আবার ঈদ চলে এসেছে । একেক ঈদের একেক রকম আনন্দ কাজ করে । রোজায় ঈদের সময় এক ধরনের আনন্দ কোরবানির সময় এক ধরনের আনন্দ । রোজায় ঈদের সময় আমার কাছে আনন্দটা বেশি লাগে । কারণ এক মাস রোজা রাখার পরে যখন ঈদের দিনটা আসে তখন অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে । কোরবানির ঈদের প্রধান আকর্ষণ হলো কোরবানি দেওয়া । মানুষ তার প্রিয় পশু কোরবানি দিয়ে থাকে এতে মানুষের অনেক কষ্ট হয় আবার অন্যরকম একটা ভালো লাগাও রয়েছে । তারপরে আবার এ কোরবানি ঈদটা আসলে মনে হয় যে দুটা ঈদ পরপর শেষ হয়ে গেল আবার পুরা একটা বছর ঈদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে এজন্য আমার কাছে রোজার ঈদ বেশি ভালো লাগে ।
ঈদের আয়োজন একেবারে ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে শুরু হয়ে যায় শপিং করা থেকে শুরু করে ঈদের রান্না বান্না করা পর্যন্ত । আমি ঈদের আগের দিন মিষ্টি জাতীয় কিছু জিনিস এবার রান্না করে রেখেছি যাতে ঈদের দিন চাপ কম থাকে । কারণ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কোন কিছুই করতে আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না । এবার আমাদের বিল্ডিংয়ের অনেকেই দেখলাম অনেক বড় বড় গরু কিনেছে । গরু গুলো আমাদের বিল্ডিংয়ের নিচে বেসমেন্টে রাখা হয়। আর এখানে গরু কিনতে হলে ঈদের একদিন দুদিন আগে কিনতে হয় । বেশি দিন আগে কিনে না কারণ পার্কিংয়ের জায়গা গুলো আটকে রাখা হয় এই কারণে একদিন আগেই গরু আনা হয় । আর সেই নিচ থেকে ৮-১০ তলা পর্যন্ত গন্ধটা আসতে থাকে কোরবানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই গন্ধটা থেকেই যায় ।
তারপরে আবার দেখলাম যে কিছু কিছু লোকজন আছে একজনের সাথে পাল্লা দিয়ে গরু কেনে । যেমন এবার দেখলাম আমাদের বিল্ডিং এর একজন লোক তিন লক্ষ টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছে এবং তারপরও আবার এক লক্ষ আশি হাজার টাকা দিয়ে আরো একটি গরু কিনে নিয়ে এসেছে । কারন সে সবসময়ই সবার থেকে বড় টা দিতে চায়। কেউ যদি তার থেকে বড় একটা গরু কিনে আনে তখন সে তার থেকে আরো বড় একটি গরু কিনে নিয়ে আসে । আগেরটা ফেরত দিয়ে আবার নতুন করে গরু নিয়ে আসে ।এভাবে পাল্লাপাল্লি দিলে কখনোই কোরবানি হয় না ।কোরবানি যার যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে ততটুকুই দেওয়া উচিত একজনের সাথে একজনের পাল্লা দিলে কি আর কোরবানি হয় । যাই হোক ঈদের আগের দিন থেকে শুরু করে ঈদের পরদিন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি চলতে থাকে । আগে যখন ছোট ছিলাম তখন ঈদের আগের দিন অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করতো । হাতে মেহেদি পড়তাম বাজি ফোটাতাম অনেক রাত পর্যন্ত । আবার কখনো বাজি ফোটাতে গিয়ে জামাও পুড়িয়ে ফেলেছি । কিন্তু এখন আর সেই এনার্জি নেই আর ইচ্ছাও করে না । কারণ একা একা কোন কিছু করতেই ভালো লাগেনা । নিজের ভাই-বোন বাবা মা একসাথে হলে তখন অন্যরকম একটা ভালো লাগা আছে । তখন সবকিছুই করতে ইচ্ছা করে । এবার আরো বেশি খারাপ লাগছে কারণ বাবাকে ছাড়া এই প্রথম আমাদের কোরবানির ঈদ । কোন কিছুই করতে ভালো লাগে না । তারপরও ফরমালিটিস হিসেবে যতটুকু করা দরকার ততটুকুই করেছি।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস samsung Galaxy s8 plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আমার যতটুকু মনে হয় পাল্লা দিয়ে গরু কেনা উচিত নয়। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কেনা উচিত। আসলে লোক দেখানো কোন কিছুই ভালো না। যাইহোক আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সময়ের সাথে সাথে হয়তো ছোটবেলার সব ইচ্ছে গুলো হারিয়ে গেছে। তবে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো সত্যিই অনেক মনে পড়ে।
তা ঠিকই বলেছেন পাল্লা দিয়ে গরু কিনলে আসলেই কোরবানি হওয়া উচিত নয় । এমন কিছু লোকজন আছে যারা এসব কাজগুলো করে থাকে যা আসলেই অনেক দুঃখজনক ।
অনেকের মধ্যে পাল্লা দিয়ে কোরবানি করতে দেখা যায় যা ঠিক নয় ।যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দেয়া উচিৎ। তা যাই হোক ছোট বেলার ঈদ এখন কেবলই স্মৃতি। এখন আর সে ঈদের আনন্দ পাওয়া যায় না। এখন বিভিন্ন রান্না করে অন্যকে খাওয়ানোই আনন্দ। ধন্যবাদ আপু।
ঠিকই যার যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকই দেওয়া উচিত । কি দরকার আছে একজনের সাথে আরেকজনের পাল্লাপাল্লি করার ।
এ ধরনের বিষয়গুলো খুব বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। সকলে যেন কোরবানি দেবার জন্য প্রতিযোগিতায় নেমে গিয়েছে। তারা কোরবানি টাকে যেন একটা কম্পিটিশনে দাঁড় করিয়ে ফেলেছে।
এখনকার কোরবানি বেশিরভাগ সময় প্রতিযোগিতায়ই দেখা যায় । আর কতটুকু মাংস হবে সেটা নিয়ে মানুষ বেশি চিন্তা করে ।
আপু প্রথমে আপনাকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই ঈদ মোবারক। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আমাদের ঈদ কাটুক নিরাপদ আনন্দে। সকলের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করি। ঈদের অনুভূতি গুলো চমৎকার আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও ঈদ মোবারক । ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ।
আসলে এখন আগের মত ঈদ উদযাপন করা একেবারেই হয় না। আর বেশিরভাগ মানুষ তো পাল্লাপাল্লি করে গরু কিনে এই বিষয়টা আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগে না। এভাবে কোন কোরবানি হয় না। আসলে আপনার বাবাকে ছাড়া আপনার প্রথম ঈদ এটা যার জন্য কিছুই ভালো লাগছে না এটা বুঝতেই পারছি। আসলে বাবা মাকে ছাড়া ঈদ যেন জমে না। তেমন আনন্দ করা যায় না।
সব সময় মনে হয় বাবা মা ভাই বোন সবাইকে নিয়ে যদি সারাটা জীবন থাকতে পারতাম তাহলেই মনে হয় ভালো হতো ।
আসলে ঈদ আসবে আসবে করে খুব ভালো লাগে এই আমেজটা। আর ঈদের দিনের মুহূর্তটাও বেশ ভালো লাগে। কিন্তু ঈদ চলে যাওয়ার পরে কিরকম একটা লাগে। এরকম জায়গায় ঈদের আগের দিন গরু আনা ভালো। যেহেতু রাখার জন্য তেমন কোন জায়গা থাকে না তাই পার্কিংয়ে রাখা হয় আপনাদের। পাল্লাপাল্লি করে কোরবানি দেওয়া এই বিষয়টা আমার একদমই পছন্দের না। এরপরে আল্লাহ তা'আলা আরো অনেক বেশি অসন্তুষ্ট হয়।
ঠিকই বলেছেন আপু ঈদের আগে ঈদ আসবে একটা অপেক্ষায় থাকা হয় । আর চলে গেলে তখন আসলেই খালি খালি লাগে ভালো লাগে না ।