★অনেক দিন পর তিনজনের এক হওয়া★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সারাদিনের ব্যস্ততম একটি মুহূর্ত । আজকে আমার বোন মানে তানিয়া তার বাচ্চাদেরকে নিয়ে আমার বাসায় সারাদিন বেড়ানোর কথা ছিল এবং আমিও ঠিক করে রেখেছিলাম ও আসলে কি কি কাজগুলো করব । বাইরে বেশ কিছু কাজ জমে ছিল যেগুলো একা করা সম্ভব হচ্ছিল না তাই ভেবেছিলাম যে ও আসলে ওর সাথে মিলেই করব । আজ ছিল শুক্রবার সপ্তাহের পাঁচ দিন স্কুল থাকে ছেলের । শুক্র শনি দুইদিন আমরা বাসাতেই থাকি এবং এই দুইদিন দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা হয় । আজকে ওরা আসবে দেখে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি কারণ রান্না করতে হবে দুপুরের জন্য, ওরা এসে দুপুরবেলা খাবে সেরকমই কথাবাত্রা ঠিক হয়েছে ।
তিনজনের ফটোসেশন চলছে
ওদের যেদিন থেকে আসার কথা সেদিন থেকে ছেলে আমার মাথা খারাপ করে ফেলছে যে ওরা কবে আসবে কবে আসবে । ওরা যখন আমার বাসায় আসে তখন তিনজন মিলে বাসায় এরকম একটা আড্ডা সৃষ্টি করে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । ওরাতো সারাদিন বাসায় একা একাই থাকে কেউ যদি আসে তখন ওরা খুব খুশি হয় । ওরা তিন ভাই এতটাই মাস্তি করে সারাদিন পার করে দেখতে ভালোই লাগে । আর সারা বাসা আমার একেবারে তছনছ করে ফেলে খেলনা দিয়ে ।তারপরও ওরা যে খেলে আনন্দ পাচ্ছে এটা দেখতে ভালো লাগে । ছেলেটা তো সারাক্ষণ বলছে মা ওরা কখন আসবে কখন আসবে । সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে অপেক্ষায় রয়েছে ।
মান অভিমান চলছে
এর ভেতরের দুপুরের পর থেকে শুরু হয়েছে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি । ওদের নামাজ পড়ে বাসা থেকে বের হওয়ার কথা বৃষ্টির কারণে ওরা বের হতে পারছে না । এর ভেতরে তানিয়া ফোন করে আমাকে বলল যে বৃষ্টির জন্য রাস্তায় প্রচুর পানি জমে গিয়েছে যার কারণে আমরা আসতে পারছি না ।আজকে আর আসবো না । এদিকে এ কথা শোনার সাথে সাথে ছেলে আমার কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে কিছুতেই কান্না থামছে না । এদিকে তানিয়া ম্যাডামের বাসায় তার ছোট ছেলে কান্নাকাটি শুরু করেছে যে ফানাদের বাসায় যেতেই হবে ।বারবার আমি তানিয়া কে ফোন করছি বৃষ্টি থামলে যেন চলে আসে । ও বলছে যে বৃষ্টি থামলেও রাস্তার পানি না কমলে আমরা আসতে পারবো না । এদিকে আমার এবং ওর ছেলের কান্নাকাটির জন্য বাধ্য হয়ে ওরা বৃষ্টির পরে পানি একটু কমলে রওনা দিয়েছে বিকেলবেলা । সারাদিন অপেক্ষার পরে তিনজন একসাথে হয়ে ওদের খুশি যেন আর ধরে না ।
মাস্তি টাইম
ওরা আসার আগে আমি আমার ছেলেকে বলে রেখেছি তোমরা যেন মারামারি কোরো না । তখন আমার ছেলে বলছে যে আমরা মারামারি করবো না তবে ঝগড়া তো করবোই । আমি বললাম ঝগড়া কেন করবে । ছোট ভাইটাকে বড় ভাই কিছুতেই ওকে দিবে না এটা নিয়েই মারামারি । কারণ ওতো ছোট ভাই আমাদের দুজনেরই ও কেন একা নেবে এটাই হলো আমার ছেলের কথা । তারপরও যাই হোক মারামারি ও আনন্দ নিয়ে ওরা সময়গুলো পার করেছে । এর ভেতরে সন্ধার পরে আমরা তিনজন মিলে বাইরে বের হয়ে বাচ্চাদেরকে রেখে গিয়েছিলাম বাসায় । আমাদের ছোটখাটো কিছু কাজ সেরেছি এবং কাজগুলো সারতে আমাদের নয়টা সাড়ে নয়টা বেজে গিয়েছিল । বিকেলে চা নাস্তা সেরেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম । এরপর বাসায় এসে নামাজ কালাম পড়ে খাবারগুলো দিয়ে দিয়েছি । এরপর ওরা খাবার দাবার খেয়ে অল্প সময় রেস্ট করে তারপর রাত ১১ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে ।
লুকালুকি খেলা চলছে
ওদের যাওয়ার কথা শুনে তো ছেলের আবার মন খারাপ যে ওরা তো বলল আজকে থেকে যাবে কিন্তু ওরা কেন চলে যাচ্ছে । তারপরও অনেক বোঝানোর পরে সে রাজি হল যে ওরা আবার ওদের পরীক্ষা শেষ হলে আসবে । আমার বাচ্চাটা সারাদিনই বাসায় একা একা থাকে খেলার ছোট কোনো সঙ্গী পায়না এইজন্য বাসায় যদি কেউ আসে তখন সে অনেক বেশি পরিমাণে খুশি হয় । তখন সে বাসা থেকে একেবারেই বের হয় না এজন্য কারো আসার কথা শুনলে সত্যি সব সময় অনেক খুশি থাকে । আজকে বাচ্চাদেরকে নিয়ে এলোমেলো কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আশা রাখছি আপনাদের ভালো লেগেছে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
বৃষ্টির কারণে যেহেতু রাস্তায় পানি জমে গিয়েছে তাহলে তো প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে যদিও আমাদের এলাকায় তেমন কোন বৃষ্টি নেই। ছোটবেলায় এরকম আমাদের বাড়িতেও যখন আমার খালাতো ভাই বোন আসতো তখন ঠিক এমনটাই হতো। ওদের লুকোচুরি দেখে আমার তো সেই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যাচ্ছে।
কিছু কিছু এলাকায় অল্প বৃষ্টি নামলেও পানি জমে তখন আসলেই অনেক ভোগান্তি হয় ।
ঢাকা শহরে বাচ্চারা একা একা থাকে সারাদিন, তাই কোন সঙ্গী পেলে বাকি সব কিছু ভুলে যায়৷ আপনার বাচ্চার কথা আর কি বলি কাজিনরা একসাথে হলে আমরা এখনো এমন করি। রাগ,অভিমান, ঝগড়া সবই হয়,কিন্তু এতে ভালবাসা আরো বেড়ে যায়।ওদের তিনজন কে অনেক কিউট লাগছে। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন বাচ্চারা সবসময় একা একা থাকে এজন্য কাউকে পেলে খুব খুশি হয় ।
আসলে শহরের বাসা গুলোতে এরকমটাই হয়। একা একা সারাদিন সারারাত থাকতে হয়। আর তখন নিজের কাছেও খুবই খারাপ লাগে। তবে তাদের তিনজনের এরকম মিল-মিস দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। তিন জনে দেখছি অনেক খেলাধুলা করেছিল এবং ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিল। আমাদের মাঝে এটি এত সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো সম্পূর্ণটা পড়ে। সব মিলিয়ে জাস্ট অসাধারণ ছিল সম্পূর্ণটা।
যতক্ষণ তিনজনে একসাথে থাকে একেবারে এক সেকেন্ডও তাদের বসার সময় নেই । সারা বাড়ি একেবারে তছনছ করে ফেলে তখন আমারই অনেক দুর্ভোগ্য গোছাতে গোছাতে ।
কালকে যখন বৃষ্টি হল তখন আমারও অনেক মন খারাপ হয়েছিল। বাচ্চাগুলো এত অপেক্ষা করে আছে এজন্যই তো রাস্তায় পানি পুরোপুরি শুকানোর আগেই রওনা দিয়ে দিয়েছিলাম। কিছু কিছু জায়গায় বেশ ভালোই পানি পেয়েছিলাম। থাকার ইচ্ছা ছিল কিন্তু ওর বাবার গাড়ি সার্ভিসিং এ যেতে হবে জন্যই চলে আসতে হলো। পরবর্তীতে সময় সুযোগ পেলে আবারও যাওয়া যাবে।
আমারও অনেক মন খারাপ হয়েছিল শেষ পর্যন্ত আসতে পেরেছে দেখে ভালো লেগেছে ।
তিন ভাইকে একসাথে দেখে আমার তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে বাসার মধ্যে একা থাকতে ভালো লাগে না। তাই কেউ যদি সঙ্গী থাকে তখন তার সাথে খেলাধুলা করা যায় বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা। তিনজনের মধ্যে অনেক মিল মিশ রয়েছে দেখছি। আসলে বৃষ্টির জন্য এতটা সমস্যা হয়েছে, না হলে তো দুপুরবেলায় তানিয়া আপুরা চলে আসতো। তাদের সম্পর্কটা যেন সারা জীবন এরকম থাকে এটাই দোয়া করি।
মিলেমিশে যেমন রয়েছে আবার মাঝে মাঝে ঝগড়াঝাটিও লাগে । এটাতো বাচ্চাদের একেবারে কমন সমস্যা খেলবে আর ঝগড়া করবে ।
আসলে আপু বাসার মধ্যে ছোট ছেলে মেয়ে দের একা একা থাকতে ভালো লাগে না। সেজন্য হয়তো আপনার ছেলে ওদের আসার কথা শুনে একটু বেশি অস্থির হয়ে যায়। তিন ভাইকে দেখতে কিন্তু বেশ কিউট লাগছে আপু। আসলে ঢাকা শহরে ওরা কোন সময় খেলার সাথী পায় না এজন্যই সব থেকে বেশি সমস্যা হয়। তিনজন অনেক সুন্দর ভাবে খেলা খেলছে এবং তাদের সুন্দর মুহূর্ত কাটাচ্ছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সারাক্ষণ তো একা একা খেলে এজন্য কোন সঙ্গী সাথী পেলে খুব খুশি হয় ।
ছোট বাচ্চারা যখন শুনে বাসায় কেউ আসবে তখন অনেক খুশি হয়ে যায়। ফানা যখন শুনেছিল বৃষ্টির কারণে তার খালামণি এবং তার ভাইয়েরা আসতে পারবেনা তখন ওর ভীষণ মন খারাপ হয়েছিল। তাই তো কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল। তবে যাই হোক শেষ পর্যন্ত তারা আপনার বাসায় এসেছে দেখে ভালো লাগলো। আর পিচ্চিরা একসাথে হলে তো আনন্দের শেষ নেই।
শুধু ফানার না আমারও অনেক মন খারাপ হয়েছিল । আবার সকালবেলা উঠে অনেক রান্না বারা করেছিলাম সেজন্য খারাপ লাগছিল পরে শেষ পর্যন্ত এসেছে ভালোই লেগেছিল ।
ফিরে গেলাম পিছনে, মনে করলাম সেই অতীতের স্মৃতিগুলো। ঠিক আপনার এই পোস্ট করতে যেয়ে আমরা দুই ভাই সুমন বিদ্যুৎ আর আমার খালাতো দুই ভাই চঞ্চল উজ্জ্বল এভাবে যখন একত্রিত হতাম কতইনা আনন্দ করতাম,পাশাপাশি মারামারি! বেশ জমতো আমাদের ভালো-মন্দ বিষয়গুলো নিয়ে। দোয়া করি এই তিনটা বাচ্চার জন্য যেন ওরা ভালো থাকে।
একদম তাই ওরা একসাথে যখন খেলে তখন আমাদেরও সেই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যায় । আমরাও এরকম কত খেলেছি খালাতো ভাই বোন মিলে ।