★আম্মাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাওয়া★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কিছু অনুভূতি। অনেকদিন ধরে মাকে ডাক্তার দেখাবো দেখাবো করে ভাবছিলাম সময় করে উঠতে পারছিলাম না । এদিকে ছেলেটার পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে যার জন্য এতদিন দেরি হয়ে গেল । তারপরে আম্মা আবার বোনের বাড়িতে গিয়ে ১৫ দিন থেকে এসেছে এ কারণে ডাক্তার দেখানো আরো পিছিয়ে গিয়েছে ।এদিকে আম্মা বলছে যে ডাক্তার দেখানো হয়ে গেলে ফরিদপুরে চলে যাবে এজন্য আমি ইচ্ছে করে আরও একটু দেরিতে দেখাতে চেয়েছি যাতে আরো কিছুদিন থাকে। কিন্তু এখন আর দেরি না করে দেখিয়ে ফেললাম ডাক্তারকে।
আমাদের বাড়ির পাশেই পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে সেখানে ভালো ভালো অনেক ডাক্তার বসে যার কারণে আমাদের ডাক্তার দেখাতে দূরে কোথাও যেতে হয় না। প্রথম দিন আমার হাজবেন্ড যেয়ে খোঁজ নিয়ে এসেছে যে অর্থপেডিকের কোন ভালো ডাক্তার রয়েছে। ওখানে গিয়ে ডাক্তারের একটা তালিকা নিয়ে এসেছে সেখান থেকে আমি অনেকগুলো ডাক্তার দেখছিলাম। বেশ কয়েকজন ডাক্তার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে যারা অর্থপেডিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তবে কাকে দেখালে ভালো হয় সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। এদিকে সিরিয়ালের জন্য ফোন দিয়েছি ওদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে ওরা বলে সবাই ভালো আপনি যাকে ইচ্ছা তাকে দেখাতে পারেন। যখন ডাক্তার দেখাবেন তখনই সিরিয়ালটা দিতে হবে। এই কারণে ওইদিন সিরিয়াল নিল না। পরের দিনের জন্য আমরা ওয়েট করলাম। তারপর পাশের ভাইয়ের সাথে আলাপ করলে উনি তার পরিচিত একজন ডাক্তার রয়েছে তাকে ফোন দিয়েছে। সেও পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই বসে । তখন সেই ডক্টর একজন ডাক্তারের কথাই বলল এবং আমরাও খোঁজ নিয়ে যে ডাক্তারের কথা জেনেছি উনিও সেই ডাক্তারের কথাই বলল, যে উনি অনেক সিনিয়র এবং ভাল ডাক্তার তাকে দেখালে ভালো হবে।
আমরা পরের দিন ডাক্তারকে দেখানোর জন্য ঠিক করলাম। কিন্তু পরের দিন সন্ধ্যাবেলায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে আর যাওয়া হয়নি। এজন্য আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগে থেকে ফোন না দিয়ে আমরা সরাসরি সেখানে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে আসবো, যদি দেখাতে পারি ভালো না দেখালে পরের দিন দেখাবো। আমরা চলে গেলাম সন্ধ্যার পরপরই ডাক্তার দেখাতে। এখানে আগে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর একটা শাখা ছিল এখন দেখলাম দ্বিতীয় আরো নতুন একটি শাখা করেছে এবং আরো একটি শাখা হচ্ছে। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার টা অনেক ভালো চলে যার কারণে ওরা একটা দুইটা এবং তিনটা করছে, যেটা ভালোই লাগলো ।
আমরা যে ডাক্তারের সন্ধান পেয়েছি তিনি দ্বিতীয় শাখায় নতুন বিল্ডিং এ বসেন। আমরা সরাসরি সেখানে চলে গেলাম এবং লিফটের টু তে ডাক্তার বসেন। এখানে এতটা পরিমাণ ভিড় ছিল যে আমাদেরকে লিফটের জন্য লাইন ধরে দাঁড়াতে হয়েছিল। পরে আমরা লিফটে করে দোতলায় উঠে গেলাম এবং গিয়ে দেখলাম যে এই মুহূর্তে ডক্টর ফ্রী রয়েছে যাতে করে আমরা গিয়েই দেখাতে পারলাম। ডাক্তার সব কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করল ।আম্মাকে বিভিন্ন ধরনের মুভমেন্ট করে দেখাতে বলল যেটা আম্মা সবকিছু ঠিকমতো করতে পেরেছে। তবে শুধুমাত্র নিচে বসতে বলেছিল এবং সেই কাজটা আম্মা করতে পারেনি। এরপর ডাক্তার কিছু ব্যায়াম দিয়েছে এবং একই সাথে কিছু টেস্ট দিয়েছে।
আমরা তারপর আবার পাশের বিল্ডিংয়ে চলে গেলাম টেস্ট করাতে। সেখানে কিছু টেস্ট আজকে করিয়েছি এবং আরো কিছু টেস্ট রয়েছে যেগুলো আগামীকালকে করতে হবে। এরপর কিছু ওষুধ দিয়েছে আমরা সেখান থেকে ওষুধগুলো নিয়েছি। আবার ডাক্তার বলেছে আম্মসকে সব সময় জুতা পড়ে থাকতে স্যান্ডেল পরতে একেবারে নিষেধ করে দিয়েছে এবং খালি পায়ে কোনভাবেই থাকা যাবে না । যার কারণে আমরা জুতা কিনার জন্য স্টেপের শোরুমে গেলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেখানে গিয়ে শোরুমটি বন্ধ পেলাম ।কারণ আমাদের যেতে যেতে সাড়ে নটা পার হয়ে গিয়েছিল। আমরা ইচ্ছা করে আম্মাকে নিয়ে হেঁটে এসেছি কারণ বাসা যদিও কাছে তারপরে একটু হাটার দরকার রয়েছে যার কারণে আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছি। আসার সময় আমি একটা দোকান থেকে আমার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনে নিয়েছি এবং কিছু ফল ফ্রুটস ও সবজিও কিনে নিয়েছি। এরপর আমরা বাসায় চলে আসলাম। আবার আগামীকালকে বাকি টেস্টগুলো করাতে যাব ইনশাআল্লাহ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
| ফটোগ্রাফার | @tauhida |
|---|---|
| ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
| আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
|---|




আপনাদের ভাগ্য ভালো যে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে একদমই ফাঁকা পেয়েছেন। তা না হলে তো ডাক্তার দেখাতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। ডাক্তার যেগুলো বলেছে অবশ্যই আম্মাকে সেগুলো মেনে চলতে বলবেন। স্টেপে তেমন একটা ভালো জুতা পাওয়া যায় না জুতার জন্য বাটা এবং এপেক্স ভালো। এখানে সুন্দর সুন্দর নরম জুতা পাওয়া যায় সেগুলো কিনতে পারেন একটি ।আর আম্মাকে আরো কিছুদিন আটকে রাখেন আমি পরবর্তী শুক্রবারে আসবো ইনশাআল্লাহ।
ডাঃ যেভাবে বলেছে আমি তো সেভাবেই মেনে চলতে বলেছি এখন চলা না চলা সেটা তার ব্যাপার জোর করে তো আর করানো যায় না। আর জুতার জন্য সব জায়গায়ই দেখবো যেখানে ভাল পায় সেখান থেকেই কিনব।
আপু ভালোই লাগলো আপনাদের পারিবারিক বন্ধন দেখে।
ভাগ্য ভালো ডাক্তারের চেম্বারে যখন গিয়েছিলেন তখন চেম্বার একেবারে ফাঁকা ছিল। এমনিতে তো লিফটে ওঠার সময় এত ভিড় ছিল যে আপনাদের কিছুক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। ডাক্তার আপনার আম্মুকে বলেছিল খালি পায়ে যেন না থাকে জুতা পড়ে থাকার জন্য বলেছে। আশা করছি ভালোভাবেই টেস্ট হয়েছিল এবং পরবর্তী টেস্ট ও ভালো ভাবেই করতে পারবেন। আমাদের সাথে আপনার আম্মুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার বিষয়টা শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
টেস্টগুলো ভালোমতো করা হয়েছে এবং ডাক্তার কেউ দেখিয়েছি এখন মোটামুটি নিয়ম মত চলতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে আশা করি ইনশাআল্লাহ।
আপনার আম্মাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পোস্টটা আপনি দেখছি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনাদের ভাগ্য ভালো ছিল যে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে চেম্বার একেবারে ফাঁকা পেয়েছিলেন। ফাঁকা ফেলে অনেক ভালো হয়। মানুষ থাকলে অনেক দেরি হয়ে যায় ডাক্তার দেখাতে। লিফটে তাহলে অনেক ভিড় ছিল আপনারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিছু টেস্ট করার জন্য দিয়েছিল আপনারা কিছু টেস্ট করেছিলেন এবং কিছু টেস্ট পরে করবেন। যে টেস্ট করেছিলেন তা আশা করছি ভালোভাবেই সম্পূর্ণ হয়েছে।
আজকাল সব জায়গায় ভিড় থাকে বিশেষ করে ডাক্তারের ওখানে এবং টেস্ট করাতে গেলেই বোঝা যায় যে মানুষজন কতটা অসুস্থ হয়।আসলেই সুস্থতা আল্লাহর বিরাট একটি নিয়ামত। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
আপু, আমি আপনার আম্মার সার্বিক সুস্থতা কামনা করি। ডাক্তার যেহেতু আপনার আম্মাকে সব সময় জুতা পায়ে দিয়ে থাকতে বলেছে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। আমি আশা করি, আপনার আম্মা সব সময় সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে সক্ষম হবে।
ডাক্তারের কথা মত সব কিছু মানার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে যেখানে আমরা ডাক্তারের চেম্বারে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকি সেখানে আপনারা দেখছি যেয়েই ডাক্তারের চেম্বার খালি পেয়ে গেলেন। তা যাই হোক অবশেষে একজন ভালো ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন এটাই অনেক। এখন সব কিছু ভালো হোক সেটাই চাই।
ওদিন মনে হয় আমাদের ভাগ্যটা ভালো ছিল দেখে খালি পেয়েছি। পরের দিন আবার অনেক ভিড় ছিল অনেক সময় বসে থাকতে হয়েছে।