রং তুলির ছোঁয়ায় জলপরীর দোল খাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি আর্ট পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব চাঁদনী রাতে একটি জলপরীর দোল খাওয়ার দৃশ্য অংকন । আসলে চাঁদনী রাতের দৃশ্যগুলো সামনাসামনি দেখতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে । এরকম যদি একটা গাছের সাথে দোলনা বাধা থাকে তাহলে সেই দোলনার উপর বসে রাতটাকে উপভোগ করতে পারলে খুবই ভালো লাগে । এরকম দৃশ্য যদিও আমি কখনো উপভোগ করার সুযোগ পাইনি তারপরও মনে মনে কল্পনা করে এরকম একটি দৃশ্যর । দোলনায় দোল খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে । আজকে সেই রকম একটি দৃশ্যই আমি অঙ্কন করেছি রং তুলির ছোঁয়ায় ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
মাস্কিং টেপ
রং
তুলি
বোর্ড
কার্যপ্রণালী
প্রথমে একটি আর্ট পেপার নিয়ে মাস্কিং টেপ দিয়ে একটি বোর্ডের সাথে লাগিয়ে নিয়েছি । তারপর উপরের দিকে নীল রং দিয়ে রং করা শুরু করেছি । তারপর নিচের দিকে বেগুনি ও সাদা রং দিয়ে রং করে নিয়েছি । দুটো রং একসাথে মিলিয়ে রংটা করেছি । তারপর মাঝখানে কম্পাস দিয়ে একটি বৃত্ত এঁকে নিয়েছি ।
তারপর সেই বৃত্তটাকে একেবারে সাদা রং দিয়ে ভরে দিয়ে চাঁদ এঁকে নিয়েছি । এরপর পেন্সিল দিয়ে লম্বালম্বি করে দুটো দাগ দিয়ে নিয়েছি। তারপর সেই দাগের উপর দিয়ে কালো রং দিয়ে দাগিয়ে নিয়েছি । এরপর জলপরী আঁকা শুরু করেছি ।
এরপর কালো রং দিয়ে সম্পূর্ণ জল পরীকে এঁকে নিয়েছি । এরপর লাল রং দিয়ে চারদিক দিয়ে গাছের ডালপালা এঁকে দিয়েছি । এরপর লাল রং দিয়ে গাছের পাতাগুলো এঁকে নিয়েছি । তারপর লালের উপরে সাদা রঙ দিয়ে পাতাগুলোকে আরো সুন্দর করার চেষ্টা করেছি ।
এরপর আঁকাটা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে মাস্কিং টেপ খুলে নিয়েছি ।তারপর সুন্দরভাবে ছবি তুলে নিয়েছি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
জলপরীর দোল খাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন দেখে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। কালার কম্বিনেশন টা দারুন ছিল আপু। এ ধরনের আর্ট করার মধ্যে অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায়। ধাপগুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে সুবিধা হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য ।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ অসাধারণ ভাবে রং তুলির দিয়ে জলপরীর দোল খাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দোলনার উপরে পরী বসে আছে দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ অসাধারণ লেগেছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে প্রত্যেকটি স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার আর্টটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে অনেক অনেক খুশি হলাম ।
আসলে চাঁদনী রাতে এরকম দৃশ্য দেখে অনেক বেশি ভালো লাগে তবে বাস্তবিক অর্থে জলপরীর দোল খাওয়ার এরকম দৃশ্য কখনো দেখিনি হাহাহা। খুবই চমৎকার একটা অংকন আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার এই অংকন দেখে আমি মুগ্ধ, ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য।
জল পরীর এরকম দোল খাওয়ার দৃশ্য জীবনে কেউ দেখেছে কিনা জানিনা তবে এঁকে আপনাদেরকে দেখার সুযোগ করে দিলাম ।
আপনি যে দৃশ্যটি অংকন করেছেন আপু এরকমটা যার জীবনের বাস্তবে ঘটে সে নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। আপনি রং তুলি দিয়ে জল পরীর দোল খাওয়ার খুব সুন্দর একটি দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। কালার কম্বিনেশন গুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। অঙ্কনের প্রতিটি ধাপ ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি অংকন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমি যদি এখানে দোল খেতে পারতাম সত্যি আমার কাছে নিজেকেই ভাগ্যবতী মনে হতো ।
ওয়াও জাষ্ট অসাধারণ অংকন আপু ৷ রং তুলি দিযে জলপরীর দোল খাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন টি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ বিশেষ করে চাদের ভিতরে আর্ট টি করেছেন যার জন্য দেখতে অনেক ভালো লাগছিল ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এমন ইউনিক একটি আর্ট পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ৷
ঠিকই বলেছেন চাঁদের ভিতরে আর্টটি করার কারণে বেশি সুন্দর লেগেছিল আমার কাছে ।
জলপরীর দোল খাওয়ার খুবই সুন্দর চিত্র অংকন করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। চিত্র অংকন করার ক্ষেত্রে কল্পনা শক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর সেই কল্পনা শক্তি দিয়েই এমন সুন্দর চিত্র অঙ্কন করা যায়। আপনার কল্পনা শক্তির প্রতিফলন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
কল্পনা শক্তি দিয়ে আঁকার চেষ্টা করেছি আর আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।
বাবাগো জলপরীকে একবারে পানি থেকে উঠিয়ে এনে দোলনায় বসিয়ে দিয়েছেন আপু। যাইহোক ঠিকই বলেছেন জোসনা রাতে এরকম একটি দোলনায় বসে দোল খেতে কার না ভালো লাগবে। আমার নিজেরইতো মনে হচ্ছে জলপরীকে নামিয়ে দিয়ে আমি বসে থাকি। খুব সুন্দর ভাবে আর্টটি করেছেন। চারপাশের পরিবেশকে খুব সুন্দরভাবে আর্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভালো লাগছে দেখতে।
এরকম জায়গায় দোল খেতে পারব না তাই জল পরীকে বসিয়ে দিলাম আর কি ।
ওয়াও অনেক সুন্দর একটা পেইন্টিং দেখলাম। যেটা দেখে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। জল পরী তো দেখছি দোলনায় বসে রাতের দৃশ্যটা ভালোভাবেই উপভোগ করতেছে মনের আনন্দে। চাঁদনী রাতের সৌন্দর্য এমনিতে খুব ভালো লাগে। আর এরকম ভাবে উপভোগ করলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আমার কাছে সম্পূর্ণ পেইন্টিং টা জাস্ট অসাধারণ লেগেছে। পুরোটা আপনি অনেক সুন্দর ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন, যার কারণে আকর্ষণীয় লাগতেছে। আপনি অনেক সুন্দর পেইন্টিং করেন আপু।
আসলে জলপরী খুব সুন্দর ভাবে দৃশ্যটি উপভোগ করল আমি করতে পারলাম না । জলপরীর জায়গায় আমি হলে বেশি ভালো লাগতো ।
রং তুলির ছোঁয়ায় জলপরীর দোল খাওয়ার দৃশ্য অংকন করেছেন আপু দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে বিশেষ করে গোল চাঁদের কারণে এই দৃশ্যটার সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনার নিখুঁত করার দক্ষতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার দৃশ্যটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।