ঘরে বসেই আরামে নিত্য প্রয়োজনীয় শপিং
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি শেয়ার করব ঘরে বসেই খুব সহজে আমি কিভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ক্রয় করি । আজকে বাসার জন্য বিভিন্ন জিনিস আমর কেনাকাটা করার ছিল । আমাদের মাসিক কেনাকাটার জন্য দূরে কোথাও যেতে হয়না । কারণ আমরা যে বিল্ডিং এ থাকি সেটা ২২ তলার একটি বিল্ডিং । এটা আবার এ টাওয়ার ও বি টাওয়ার একসাথে থাকার কারণে বিশাল বড় আকারের একটি বিল্ডিং । এই বিল্ডিং এ মোট ১৮০ টা ফ্যামিলি রয়েছে । একটা এলাকায়ও মনে হয় না এতগুলো ফ্যামিলি একসাথে থাকে না । হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সব ধরনের মানুষই এই বিল্ডিং এ বসবাস করে ।
আমাদের এ বিল্ডিংয়ে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে । এখানে আমাদেরকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য বাইরে কখনোই যেতে হয় না এবং কোন বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠান হলেও যদি ইচ্ছা করি আমরা এখানেই কাজটা ছেড়ে নিতে পারি । কারণ এখানে আমাদের একটা নিজস্ব কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে । তাছাড়া একটি খেলাঘর রয়েছে যেখানে সব ধরনের খেলাধুলা করার সুযোগ রয়েছে । এখানে একটা জিম সেন্টারও ছিল যেটা এখন বন্ধ রয়েছে । এখানে একটা মসজিদ রয়েছে । এখানে পুরুষ লোকেরা তো সারা বছরই নামাজ পড়ে এবং রোজার সময় আসলে আমরা মেয়েরাও এখানে নামাজ পড়ার সুযোগ পাই । এখানে আল্লাহর রহমতে আমরা সবধরনের সুযোগ-সুবিধাই পেয়ে থাকি ।
আমরা থাকি আট তলায় সাত তলাতে বড় একটি সুপার শপ রয়েছে সেখানে হোম ডেলিভারি সিস্টেম । বাসা থেকে ফোন দিলে ওরা বাসায় এসে সব কিছু দিয়ে যায় ।এই যে করোনা কালীন সময়ে আমরা যে গৃহবন্দী সময় পার করেছি বেশ কিছুদিন । সেই সময়টা এই দোকানটা আমাদের অনেক কাজে লেগেছে । এখানে ওরা সব জিনিসই রেখেছে যেটা আমরা ঘরে বসেই পেয়ে গিয়েছি ।আমাদেরকে বাইরে যেতে হয়নি অথচ ওরা কষ্ট করে সেই করোনার ভিতরে সবকিছু সংগ্রহ করেছে যাতে আমরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকি । আস্তে আস্তে দোকানটার অনেক উন্নতি হচ্ছে । আমার ছেলেতো দিনের ভিতর কত বার ফোন করে তার ঠিক নাই । সকাল 10 টা থেকে রাত 11 টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে ।
আজকে বেশ কিছুদিন পরে দোকানে গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটা করার জন্য । শীতের অনেক জিনিস ওরা রেখেছে বিশেষ করে খেজুরের গুড় পেয়েছে ওদের কাছে আর নিয়ে নিয়েছি । আবার দেখলাম ওরা নিজের হাতে বানানো আচার ও ঘি বিক্রি করছে । গিয়ে দেখি দোকানটা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে । তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম এভাবে সাজিয়েছেন কেন । বলল যে ক্রিসমাস উপলক্ষে দোকানটাকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে । তাছাড়া সামনে নিউ ইয়ার আসছে এ কারণে আরো সুন্দর করে সাজানোর চেষ্টা করছি । আমি তখন ফোন নিয়ে গিয়েছিলাম না সাজানো দেখে কিছু ছবি তোলার জন্য আবার বাসায় এসে ফোনটা নিয়ে গেলাম । অনেক কিছু কেনাকাটা করলাম । আসলে এরকম কিছু সুযোগ সুবিধা হাতের কাছে থাকলে মন্দ হয় না ।
আমার আজকের কেনাকাটা
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
তাহলে তো আপনাদের বিল্ডিংয়ে বেশ ভালো সুবিধা কারণ যে কোন প্রয়োজনে দূরে যেতে হয় না সেখানেই সবকিছু পাওয়া যায়। তাছাড়া সেখানে খেলাঘর আছে মসজিদ আছে আবার জিম করার ব্যবস্থাও আছে সব মিলিয়ে অনেক সুবিধা।
আল্লাহর রহমতে আমাদের বিল্ডিং এ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আমরা পেয়ে থাকি ভালো লাগে সবকিছু মিলিয়ে ।
দেখে যেন মনে হলো একদম সিএসডি বা ক্যান্টিনের মত। যেখানে সবকিছুই রয়েছে রয়েছে কেনাকাটা সুব্যবস্থা ও সুযোগ সুবিধা। এমনটা আমি সেনানিবাসের মধ্যে লক্ষ্য করেছিলাম। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট দেখে।
আমাদের বিল্ডিং এ সব কিছু রয়েছে আমরা এদিক থেকে অনেক লাকি আমাদের সব কিছু হাতের নাগালেই রয়েছে ।