আমার বাগানের নতুন অতিথি এলো
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার চলে এলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার বাগানের নতুন একটি ফুল এসেছে সেই প্রসঙ্গে । আজ থেকে প্রাই ৬ ৭ বছর আগে আমি আমার বাগানে এই গাছটি রেখেছি । এই গাছটি আমি প্রথম দেখেছিলাম তানিয়ার বাসায় । ওর বাসায় যখন দেখেছি ও সুন্দরভাবে ড্রয়িং রুমে গাছটি সাজিয়ে রেখেছে এবং গাছটির থেকে দুটি ডাল ছড়িয়ে পড়েছে দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছিল । গাছটি ঘরের ভিতরে সুন্দরভাবে রয়েছে অনেক বছর ও ঘরে রেখে দিয়েছে এবং সুন্দরভাবে গাছটি একই রকম ভাবে রয়েছে তেমন একটা বড় হয় নি । সেটা দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছিল । তারপর একদিন তানিয়ার সাথে নার্সারিতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে ও এই গাছটি আমাকে কিনে দিয়েছিল । দুটি ডালওয়ালা গাছ খুঁজেছিলাম কিন্তু পাইনি একটি পেয়েছিলাম সেটি নিয়ে এসেছিলাম । তাও সাত বছর হয়ে গিয়েছে গাছটির বয়স ।
প্রথম প্রথম আমি ঘরের ভিতর রেখেছিলাম তবে আমার ঘরে গাছটি বেশিদিন থাকতো না । রাখার সাথে সাথে পাতাগুলো কেমন যেন হলুদ হয়ে যেত । এজন্য আমি গাছটিকে বারান্দায় সেট করে দিলাম । এই গাছের নাম আমার জানা ছিল না এতদিন পাতাবাহার গাছ নামে জানতাম । তবে গুগল থেকে জানলাম এই গাছের নাম নাকি dracaena সুগন্ধি । এটি এক ধরনের উদ্ভিদ ।
এ গাছে যে ফুল ফুটে সেটাও আমার জানা ছিল না । বছরে নাকি এই গাছে তিনবার ফুল ফোটে তবে সব গাছে ফোটে না । আমার ভাগ্য ভালো তাই আমি এত সুন্দর ফুল পেয়ে গেলাম ।প্রচন্ড পরিমাণে ঠান্ডা পড়েছিল বিধায় বারান্দায় খুব একটা যাওয়া হতো না । আমার বাসায় মেয়েটিকে দিয়ে গাছে পানি দেওয়াতাম এর জন্য নিজে খুব একটা দেখা হতো না । হঠাৎ করে একদিন বারান্দায় গিয়ে দেখি এই গাছের ফুল এসেছে ।সেটা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে সাথে সাথে আমি কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম ।
এটা দেখে মনে হলো এগুলো ফুল কিনা ফুলের কলি আরো বড় হবে কিনা ফুল ফুটবে সেটাই বুঝতে পারছি না । তারপরও আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম । কারণ এরকম জিনিস আমি জীবনে প্রথম দেখলাম অন্যরকম ধরনের ফুল দেখতে ভালই লাগছিল । ফুলের ডালটা এতটাই লম্বা হয়ে গিয়েছিল যে গাছটা একেবারে নুয়ে পড়েছে হাত দিয়ে ধরে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম । আবার একটু একটু করে বড় হচ্ছে সেটারও কয়েকটা ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।
এই গাছের খুব একটা যত্নের প্রয়োজন হয় না এবং অনেক বেশি রোদের প্রয়োজন হয় না । খুব বেশি পরিমাণে পানি দিলে গাছগুলো আবার মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । যখন পাতাগুলো হলুদ হয়ে আসবে তখন বুঝতে হবে যে গাছের পানিটা একটু বেশি পরিমাণে পড়েছে । গাছের মাটির উপরের দিকটা যখন একেবারে শুকিয়ে আসবে তখনই পানিটা দিতে হবে । এতে এক ধরনের আঠা রয়েছে সেই আঠাটা নাকি বার্নিষের কাজে ব্যবহার করা হয় । তবে এই গাছটা ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কিন্তু অনেকটাই সহযোগিতা করে । আমি বিভিন্ন জায়গায় এই গাছ দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে দেখেছি । আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এবং নতুন করে ফুল ফুটাতে এই গাছের প্রতি মায়াটা যেন আরো একটু বেড়ে গেল । দেখতে কিন্তু অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাই আপনাদের সাথে ঝটপট শেয়ার করে ফেললাম । আমার ছেলেও এই গাছটি খুব বেশি পছন্দ করে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
গাছটির বয়স ৭ বছর যেটা হিউজ সময়। আর গাছটি যখন ঘরের মধ্যে রেখেছিলেন তখন পাতাগুলো কিছুটা হলদে টাইপের হয়ে গিয়েছিল কারণ গাছ রোদ না পেলে সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করতে পারে না আর বারান্দায় রাখার পরে সেটা ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তবে এই গাছের ফুল ফোটায় আপনি বেশ খুশি পোস্ট পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম।
আসলে গাছটির নামটি বেশ চমৎকার এবং একই সাথে গাছটিতে ফুল ফুটে থাকা অবস্থায় দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। এ ধরনের গাছটি এই প্রথম দেখলাম আমি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। এ ধরনের গাছ নিঃসন্দেহে বাড়ির ও বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেক সহায়ক।
আমিও এই গাছ লাগিয়েছি কিন্তু এর নাম জানি না কিংবা ফুল হয় সেটাও জানিনা। আমিও তো পাতা বাহার নামেই চিনতাম আমার ফুফাতো বোন আমাকে পাঠিয়েছিল এই গাছটি। কোন ফুল দেয়নি। আমার গাছটিতে খুব সুন্দর ফুল এসেছে। দারুন লাগছে দেখত। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি ফুলের ফটোগ্রাফিও অনুভূতি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনার গাছটি এত বড় হয়ে আবার ফুল ফুটেছে আর আমার গাছটি মরে গেল। আমার গাছটি অবশ্য প্রায় আট বছর বেঁচে ছিল ঘরের ভেতরের ছোট্ট টবে। বড় টবে দিতে গিয়ে শেষমেষ মারা গেল গাছটি। আপনার গাছে ফুল ফুটেছে দেখে খুব ভালো লাগলো। এভাবে অল্প পানি দিলেই গাছটি অনেক বছর বেঁচে থাকে।
এ গাছ অনেক জায়গায় দেখেছি ।দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। ঘরের ভিতরে রাখলে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। তবে এ গাছে এতো সুন্দর ফুল হয় জানা ছিল না। বেশ কিন্তু দেখতে ফুলগুলো। ধন্যবাদ নতুন একটা ফুল এর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনার বিস্তারিত লেখা গুলো পড়েছি। আপনার ঘরে রাখা গাছ টা আমার কাছেও একদম নতুন মনে হয়েছে আপু। যতটুকু বুঝতে পারলাম বেশ কয়েক বছর পরেই এই গাছে ফুল ফুটেছে। ফুল গুলো তো দেখতে দারুন ছিল। দেখতে তো পাতাবাহার গাছের মতো। আবার কিছু কিছু পাতা বাহার গাছে ফুল ফুটে আমি দেখেছি আপু। তবে আপনার শেয়ার করা বিষয়টি বেশ ভাল লেগেছ।
আপু আপনার গাছটির বয়স এত জেনে খুবই অবাক হলাম ।তবে এ ধরনের গাছে যে ফুল হয় আমি এবারই প্রথম আপনার বাসায় গিয়ে দেখতে পেলাম। বেশ ভালই করেছেন ঘরের ভেতর থেকে বারান্দায় বের করে। যার কারণে গাছটি অনেক বেশি তরতাজা রয়েছে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।