★প্রকৃতির সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব প্রকৃতির সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ।প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে আসলে সব সময়ই ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের ঢাকা শহরে তে এরকম সুন্দর প্রকৃতি একেবারে খুজে পাওয়া যায় না। আমাদের আশেপাশে একটা পার্ক রয়েছে সেই পার্কে যদি যায় তাহলে কিছুটা প্রকৃতির দেখা আমরা পেয়ে থাকি। গ্রামে গেলে এত সুন্দর প্রকৃতি আমরা দেখতে পারি। এবার যখন ঈদের ছুটিতে আমরা গ্রামে গিয়েছিলাম তখন এই সুন্দর সুন্দর প্রকৃতির মাঝে আমরা হারিয়ে গিয়েছিলাম এবং প্রত্যেকটা প্রকৃতির ছবি আমরা ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করেছি। যতটুকু পেরেছি করেছি এখন আপনাদের সামনে কিছু ছবি শেয়ার করছি।
যখন প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়েছিল ঠিক তখন আমরা বিকেল বেলা সবাই মিলে বাইরে হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম। বাইরে হাঁটতে হাঁটতে আমরা আমাদের গ্রাম থেকে নদীর ওপারের গ্রামে চলে গিয়েছিলাম। কারণ আমাদের গ্রামের থেকে নদীর ওপারের গ্রামটা দূর থেকে বেশি সুন্দর লাগে। তাই কাছ থেকে গ্রামটা দেখতে যাওয়ার জন্যই যাওয়া যখন গিয়েছিলাম তখন সূর্য ঠিক মাথার উপরে ছিল । লাল টকটকে সূর্য দেখতে কতটা সুন্দর লাগছিল।
এখানে একটা বিশাল বড় মাঠ এবং মাঠের ওই পাশে ছিল বড় একটা পুকুর এবং পুকুরের ঠিক উপরে এত সুন্দর একটি ফুলের গাছ রয়েছে। দূর থেকে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। এটা যে কি ফুল সেটা আমরা জানি না তবে খুব সুন্দর কালার ফুলের এবং দেখতে অপূর্ব সুন্দর ছিল।
এত সুন্দর একটি রাস্তা দেখা যাচ্ছে এর বাস ঝারের রাস্তার ফাঁকা দিয়ে আমরা অনেক দূর পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছিলাম । দেখুন কত সুন্দর দেখতে লাগছে রাস্তাটা।
এটা হচ্ছে একটা জাম্বুরা গাছ এই গাছে অনেক পরিমাণে জাম্বুরা ধরেছে দূর থেকে ছবিটি তুলেছি এজন্য জাম্বুরা বোঝা যাচ্ছে না । ছোট্ট একটা গাছে এত জাম্বুরা ধরেছে সত্যি অবাক লেগেছে আমার কাছে।
রাস্তার ধারে দেখলাম যে বিশাল বড় একটি গাছ । কি গাছ আমি জানিনা তবে গাছটি দেখতে অনেক সুন্দর ছিল এবং এই গাছের ছায়ায় বসে অনেকেই বিক্রি করছে। গ্রামে আগে গেলে এরকম কিছু দেখা যেতে অনেক দিন পর এই দৃশ্যটি দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
অনেকদিন পরে কলাগাছ দেখলাম। আগে যখন বাসায় ছিলাম তখন আশেপাশে অনেক কলাগাছ দেখতে পেতাম। ঢাকায় আসার পরে কলা গাছ তো চোখেই পড়ে না। ফরিদপুর থেকে বাসায় আসার পথে চলন্ত বাসে বসে কলা গাছগুলো দূর থেকে দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে কার না ভালো লাগে। প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো সবাইকেই মুগ্ধ করে। ঠিকই বলেছেন আপু, ঢাকা শহরে তো প্রকৃতি একদমই খুঁজে পাওয়া যায় না। এবার ঈদে আমিও গ্রামে গিয়েছিলাম। গ্রামে প্রকৃতি এরকম সৌন্দর্য আসলে ভীষণ ভালো লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনিও গ্রামে গিয়েছিলেন তাহলে তো আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি নিশ্চয়ই তুলেছেন। পরবর্তীতে হয়তো আমরা দেখতে পারবো।
অসাধারণ আপু, ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের খুব দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করেছেন সত্যি বেশ অসাধারণ হয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। এসব ফটোগ্রাফি দেখতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য
এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে সময় কোথা দিয়ে যে চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য
ঈদের ভিতরে গ্রামের বাড়িতে এসে প্রকৃতির ভেতরে ছিলেন যেন ভালো লাগলো। আমার কাছে গ্রামীণ প্রকৃতির যেকোনো ছবি অনেক ভালো লাগে। আপনি বিকেলে ঘুরতে গিয়ে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন যেগুলো মনোমুগ্ধকর। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আমার কাছে গ্রামীণ প্রকৃতির ছবিগুলো ভালই লাগে দেখতে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু, প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে আমার কাছেও বেশ লাগে। তবে ঢাকা শহরে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনি প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়ে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আর এই প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এজন্যই তো আমাদের সবারই উচিত মাঝে মাঝে ঢাকার বাইরে গিয়ে সবুজ প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় অতিবাহিত করা।
আপনার তোলা প্রকৃতির অত্যন্ত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার মন ভরে গেল। প্রকৃতির এরকম সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ হতে বাধ্য। প্রকৃতির অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রকৃতির সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখলে আসলেই মুগ্ধ হতে হয় ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু ঢাকা শহরের এত সুন্দর প্রকৃতি কোথায় পাওয়া যাবে। গ্রামে গেলেই এত সুন্দর প্রকৃতি পাওয়া যায় । তাছাড়া এরকম প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনিও গ্রামে গিয়ে বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। সবগুলো ফটোগ্রাফি একদম মনোমুগ্ধকর হয়েছে। দেখেই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
গ্রামে গেলে এরকম প্রকৃতির ছবি কি না তুলে পারা যায় বলুন। এজন্য অনেকগুলো তুলে রেখেছি। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
গ্রামীন দৃশ্য গুলো সত্যি অনেক ভালো লাগে। চলার পথে সুন্দর কোন দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লাগে। আসলে এমন কিছু বাজার আছে যেগুলোতে বড় বড় গাছ রয়েছে। আর সেই গাছগুলোর নিচে হাট বসে। কিংবা ছোট ছোট দোকান বসে। যাই হোক আপু বাসে বসে বসে কলা গাছের দৃশ্য উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো।
একদম তাই একেবারে খুব ছোটবেলায় যখন গ্রামে যেতাম তখন এরকম দেখতাম বড় গাছের নিচে হাট বসেছে। এখন আবার অনেকদিন পরে দেখলাম ভালো লাগলো।
গ্রামীণ এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। বিশেষ করে গ্রামীণ পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। আপনি তো দেখছি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন যা দেখে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ ছিল বলতে হচ্ছে।
আসলেই ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন গ্রামীণ পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। আর কোথা দিয়ে যে সময় গুলো চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না।
প্রকৃতির এরকম অপরূপ সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি দেখলে আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাই। প্রকৃতির এরকম অপরূপ দৃশ্য সবাইকে একেবারে মুগ্ধ করে তুলে। সবাই প্রকৃতি ভীষণ পছন্দ করে। আমি প্রকৃতির মাঝে ঘুরাঘুরি করতে ছোটবেলা থেকেই ভীষণ পছন্দ করি। আপনি বর্ণনা সহকারে প্রকৃতির সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সকলের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আমরা ছোট বেলায় অনেক ঘোরাঘুরি করেছি এজন্য এসব জায়গায় গেলে সেই ছোটবেলার পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়।