★এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। এই কমিউনিটিতে আমরা সবাই কমবেশি বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে থাকি। আমি খুব একটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করি না কারণ খুব একটা বাইরে যাওয়া হয় না আর ফটোও তোলা হয় না। কিছুদিন আগে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার কারণে অনেকগুলো ছবি তুলে রাখার কারনে এখন একটু একটু করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ফোন ঘাটলেই ফোন ভর্তি শুধু ছবি আর ছবি কিছু কিছু ছবি এখানে আপলোড করছি আর কিছু কিছু ডিলিট করছি, তারপরও ফোনের মেমোরি যেন শেষই হচ্ছে না ছবিতে ভরপুর রয়েছে ।আপনারা এভাবে আরও অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি মাঝে মাঝেই দেখতে পারবেন যতদিন না আমার ছবির গ্যালারি শেষ হচ্ছে ।
উপরে যে ছবি দুটো দেখতে পাচ্ছেন সেখানে দেখতেই পাচ্ছেন উপরে অনেক সুন্দর আকাশ মাঝখানে পাহাড় ও নিচ দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় গেলে এরকম সুন্দর সুন্দর দৃশ্য সব সময় চোখে পড়ে। যেগুলোর দিকে শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। এত সুন্দর আমাদের বাংলাদেশের বৈচিত্র না দেখলে যেন অনেক বিশাল বড় একটা অপূর্ণতা আমাদের থেকে যাবে । তাই আমাদের সবার উচিত একটু সময় করে হলেও আমাদের এই সুন্দর দেশটা ঘুরে দেখার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে গেলে নিজেকে শুধু হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। আমাদের প্রকৃতিটা যে এত সুন্দর তা এত কাছে না গেলে হয়তো আমিও বুঝতে পারতাম না।
উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন এটা ৭ তলা একটি বিল্ডিং। এই বিল্ডিং এর প্রত্যেক তলায় বৌদ্ধদের বিভিন্ন স্বর্গের নাম লিখা আছে, যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর বিল্ডিংটা দেখতে কত সুন্দর আর সিঁড়ি গুলো দেখুন কি সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে। নিচ থেকে উপর পর্যন্ত শুধু সিঁড়ি আর সিঁড়ি। প্রত্যেকটা ফ্লোরে এক একটা স্বর্গের নাম লেখা রয়েছে যেটা বৌদ্ধদের একটা স্বর্গীয় জায়গা। এখানে সচরাচর কাউকে যেতে দেয় না দূর থেকে দেখতে হয়। এজন্য আমি দূর থেকে কয়েকটা ছবি তুলে রেখেছিলাম।
এটা একটা বৌদ্ধ মন্দিরের ছবি দেখতে অপূর্ব সুন্দর ছিল ।সামনে থেকে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে মন্দিরটি দেখলাম এত সুন্দর করে তৈরি করেছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। চারিদিকে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। এজন্য আমি খুব সুন্দর করে ছবিগুলো তুলে রেখেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এখন যে ছোট বাচ্চা দুটোকে দেখতে পাচ্ছেন এটা দুটা চাকমা শিশু । এই শিশু দুজন ওরা ভাইবোন ওরা ওখানে খেলা করছিল । আমরা যখন ওখানে গেলাম ওরা আমাদেরকে দেখে খুব খুশি হয়েছিল এবং আমাদের ভিতরে একজন ওদেরকে খুব ধরার চেষ্টা করছিল। ওরাও দৌড়াদৌড়ি করছিল আর বলছিল ধরতে পারবা না আর দৌড়াচ্ছিল। এক পর্যায়ে মেয়েটাকে আমরা যখন কোলে তুলে নিলাম তখন ছোট ভাইটা দিদি দিদি বলে খুব চিৎকার করছিল। আমার কাছে জিনিসটি দেখে খুবই ভালো লেগেছে যে বোনকে কেউ আক্রমণ করেছে আর ভাইটা প্রোটেক্ট করার চেষ্টা করছে। যেটা আসলেই দেখার মত একটা দৃশ্য ছিল। ভাই ছোট হোক বড় হোক সব সময় বোনদের পাশে থাকে এটা দেখে আমার কাছে তাই মনে হল।
এখন যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এখানে দেখা যাচ্ছে যে ছোট ছোট অনেকগুলো বোট বেঁধে রাখা হয়েছে। আর এই বোটগুলো দেখতে খুব সুন্দর। এই বোটগুলো রাঙ্গামাটি শহরে কাপ্তাই লেকের পাশ দিয়ে থাকে এবং এই বোটগুলো ভাড়া দেওয়া হয়। যেখানে দুজন বসে দুইটা বৈঠা নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে চালিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারবেন। আমাদের উঠার খুব ইচ্ছা ছিল তবে সময়ের স্বল্পতার কারণে আমরা চড়তে পারিনি।
এখন যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা আমার ছেলে ও তার বন্ধুর ছবি। আপনারা সবাই জানেন আমি এবার আমার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। স্কুলে গিয়ে ও ওর একটি ফ্রেন্ড বানিয়েছে। ওর সাথেই প্রতিদিন ওকে বসতে হবে। সে স্কুলে না গেলে তার খুব মন খারাপ হয় আর প্রতিদিন দুজনে মিলে টিফিন শেয়ার করে খাওয়া এবং দুজনে মিলে গল্প ও আড্ডা দেওয়া। আবার ও যদি না আসে সেদিন অন্য মেয়েদের কাছে বসতে বললে আমার ছেলে কিছুতেই বসতে চায়না। যদি বসতে বলি তখন সে বলে যে মেয়ে বন্ধু একজনই থাকে অনেকগুলো থাকে না। জিনিসটা আসলে আমার কাছে অনেক হাস্যকর লেগেছে যে এতটুকু একটু মানুষ কি কথা বলল।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপনি আপনার আজকের পোস্ট এর মধ্যে গ্রাম বাংলার বিশেষ কিছু স্থানের চিত্র তুলে ধরেছেন। যেখানে বৌদ্ধদের মন্দিরের দৃশ্য। সাত তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ে যেখানে বৌদ্ধদের স্বর্গের নাম লেখা রয়েছে সেই দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন এই পোস্টের মধ্যে। যা পড়ে অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেলাম।
বৌদ্ধদের স্বর্গের নাম লেখা বিল্ডিংটি আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছিল এজন্য আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। তবে কালার কম্বিনেশন গুলো আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কোথাও ঘুরতে গেলে এত বেশি ছবি তোলা হয় যে ফোনের গ্যালারি ভর্তি হয়ে যায়। তাছাড়া এরকম সুন্দর পরিবেশে গেলে তো কথাই নেই। সাত তলা যে বিল্ডিংটির ছবি তুলেছেন বিল্ডিংটি আসলেই খুব সুন্দর দেখতে। ভাই বোনের গল্পটি শুনে খুব ভালো লাগলো। ভাই এর দায়িত্বই তো বোনকে প্রোটেক্ট করা। সে হয়তো ভাবছিল যে ওর বোনকে আপনারা নিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্যই হয়তো অমন করছিল। তাছাড়া ফানা বন্ধু তৈরি করে ভালো করেছে। এখন ধীরে ধীরে স্কুলে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে। দোয়া রইল ওর জন্য।
আসলেই আপু ভাইবোন এ ব্যাপারটি আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছিল। সব ভাইয়েরাই বোনদের এভাবে প্রোটেক্ট করে মনে হয়।
আমিও কোথায় ঘুরতে গেলে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। কিছুক্ষণ ফটোগ্রাফি করলে মেমোরি ভর্তি হয়ে যায়। তবে আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব চমৎকার লাগলো। বিশেষ করে সাত তালায় ফটোগ্রাফিটি অনেক সুন্দর লাগলো। যেখানে বৌদ্ধদের বিভিন্ন স্বর্গের নাম লিখা আছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব চমৎকার বর্ণনা দিয়ে উপস্থাপনা করেছেন।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি তো যেখানেই যাই আমার কাছে ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করলেন যেগুলো দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।এরকম বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি দেখলে যেমন ভালো লাগে করতে আমার কাছে তার থেকে বেশি ভালো লাগে। খুবই সুন্দর সুন্দর বর্ণনা ও লিখেছেন দেখছি। পুরোটা পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
আসলেই আপু যেখানে যাই এত ফটোগ্রাফি করা হয় যে সামনাসামনি অনেক জায়গায় দেখা মিস হয়ে যায় ফটো তুলতে তুলতে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।