দুই বোনের গল্প শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে গল্প লিখতে চলে আসলাম । আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের ঘটনা থেকে এরকম একটা সত্যি কাহিনী অবলম্বনে একটা গল্প আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি । তার ভেতরে কিছু অংশ গত দুই পর্বে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত করেছি । আজ তার শেষ পর্ব নিয়ে আমি চলে আসলাম । আসলে মানুষের জীবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে সবকিছু তো গল্প হতে পারে না এর ভিতর কিছু কিছু রয়েছে যেগুলো গল্প আকারে লিখতে গেলে এর কোন শেষ নেই লেখার পর লেখা চলতেই থাকে । আমি তেমনি একটি ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি । আমি গত পর্ব শেষ করেছিলাম যে লিমার দ্বিতীয় আবার বিয়ে হয় এবং তারা খুব সুন্দর ভাবে তাদের দ্বিতীয় সংসার মানিয়ে নিয়েছিল । তারপর থেকে শুরু করছি ।
দেখতে দেখতে তাদেরও সংসারের নতুন অতিথি আসার সময় হয়ে যায় এবং নতুন অতিথিও আসে দুর্ভাগ্যবশত তাদের বাচ্চাটাকে তারা বাঁচাতে পারেনা । কারণ তাদের বংশে নাকি একটা প্রবলেম আছে । বাচ্চা নাকি এবনরমাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং লিমার বাচ্চার ক্ষেত্রে ওরকম একটা সম্ভাবনা ছিল । যার কারণে বাচ্চাটা প্রিমিয়ার ভাবে জন্মগ্রহণ করে এবং অনেকদিন ইনকিউবেটরে থাকার পর বাচ্চাটা মারা যায় । আর কিছুতেই তাদের আবার বাচ্চাকাচ্চা হচ্ছিল না এভাবে তারা চেষ্টা করতে থাকে ।
এরই মধ্যে লিনার সুখের সংসারেও দুঃখ নেমে আসে । হঠাৎ করে লিনার স্বামীর ক্যান্সার ধরা পড়ে তাদের সংসারে কালো মেঘে ছেয়ে যায় । লিনা ও তার স্বামী দুজনে মিলে চাকরি করে ঢাকাতে একটা ফ্লাট কেনার চিন্তাভাবনা করছে সবকিছুই রেডি করেছে এর ভেতরের স্বামীটা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে স্বামীকে নিয়ে ইন্ডিয়াতে ছুটতে হয় চিকিৎসার জন্য । তখন সেখানে গিয়ে স্বামীর জীবন মরন বাঁচানোর জন্য বড় একটা অপারেশন হয় । ডাক্তার অপরেশনের সময় বলে দেয় যে এটা একটা কমপ্লিকেটেড অপারেশন যে কোন কিছু যেকোনো মুহূর্তে হয়ে যেতে পারে আপনারা প্রস্তুত থাকবেন ।
মৃত্যুর মুখ থেকে তার স্বামী ফিরে আসে এবং সব সময় তাকে ফলোআপে থাকতে হবে । ডাক্তাররা বলে তাদের এটা মনে হয় বংশগত কোনো সমস্যা আগেও তাদের ফ্যামিলিতে এ ধরনের হিস্ট্রি ছিল বিধায় তার এটা হয়েছে । পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যে তাদের ফ্যামিলিতে ক্যান্সার হিস্ট্রি রয়েছে । লিনার স্বামীর ফ্যামিলিতে । এইজন্য ডাক্তার বলে দিয়েছে যে তারা যেন আর ছেলে মেয়ে না নেয় কারণ ছেলেমেয়ে নিলে সেই বাচ্চার ও এটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
এই ভয়ে লীনা আর সন্তান নিতে সাহস পায় না । একটি মাত্র মেয়ে সেটা নিয়ে তারা থাকে । এদিকে লিমারও অনেক ভালো একটা চাকরি হয় সে সুন্দরভাবে জব করছিল এবং পাশাপাশি ট্রিটমেন্ট নিয়ে বাচ্চা হওয়ার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছিল । আগে থেকে ট্রিটমেন্ট নিয়ে সে প্রস্তুত ছিল যে যাতে এবারের বাচ্চার কোন প্রবলেম না হয় । এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই লিমাও আবার প্রেগনেন্ট হয় এবং অনেক চেষ্টা করে তাদের সংসারে আবার নতুন কন্যা শিশুর আগমন ঘটে । আল্লাহর রহমতে সে পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে আসে এবং সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে । লিনা তার স্বামীকে ডাক্তারের চেকাপে সব সময় রেখেছে এবং ইন্ডিয়াতে গিয়ে সব সময় চেকআপ করে আসছে । আল্লাহর রহমতে সব কিছু মোটামুটি এখন ভালোই চলছে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
দুই বোনেরই এমন সংসারে বিয়ে হয়েছে যে তাদের ফ্যামিলির কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। লিনারা ফ্ল্যাট কেনার জন্য টাকা পয়সা রেডি করেছিল জন্যই সেই টাকা দিয়ে স্বামীর ট্রিটমেন্ট করাতে পেরেছে। তা না হলে হুট করে অনেকগুলো টাকার প্রেসার পরে যেত। তাছাড়া অপারেশন ভালো হয়েছে এবং এখন সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। যেহেতু একটি বাচ্চা তাদের আছে বাচ্চা না হলেও সমস্যা নাই। এদিকে লিমা ও পুরোপুরি ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে সুস্থ সন্তান জন্ম দিয়েছে যা খুবই খুশির খবর। যাক অবশেষে দুই বোনের জীবনের শান্তি ফিরে এসেছে।
ফ্ল্যাট কেনার টাকাটা ছিল বলে সাথে সাথেই ট্রিটমেন্টটা করতে পেরেছিল । তা না হলে একটু ঝামেলায় পড়তে হতো ।
এই গল্পটার আগের পর্ব পড়া হয়েছিল আমার। আর আজকে শেষের পর্ব পড়ে আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছে আবার ভালো লেগেছে। দুই বোন এমন ফ্যামিলিতে গিয়েছে যেখানে কোন না কোন সমস্যা রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির শারীরিক সমস্যা রয়েছে ভিন্ন রকমের। এরকম গল্প গুলো পড়লে অনেক খারাপ লাগে। তাদের একটা বাচ্চা আছে যেহেতু তাহলে আর না হলেও হয়। একটা নিয়ে ভালো থাকতে পারবে তারা। আর অন্য বোনের সুস্থ সন্তান জন্মগ্রহণের কথা শুনে ভালো লেগেছে।
আসলেই ভালো-মন্দ মিলিয়ে মানুষের জীবন । এখন সবাই ভালো আছে সত্যি জেনে ভালোই লাগে ।
গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।দুই বোনেরই স্বামীর পরিবারের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে তারা এখন সুখে শান্তিতে আছে এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই গল্পটি তিন পর্বে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটাই বড় কথা সবকিছু মিলিয়ে এখন ভালো আছে সেটাই শান্তি ।