★রাঙামাটি গিয়ে পলওয়েল পার্কে ঘুরাঘুরি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব রাঙ্গামাটি শহরে ঘোরাঘুরির আরো কিছু সুন্দর মুহূর্ত। বেশ কিছুদিন আগে রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম ঘুরতে ভালোই বেশ কয়েকটা দিন ঘুরে খুব ইনজয় করেছিলাম এবং এমন অসংখ্য ছবি তুলেছিলাম যার ভিতরে বেশ কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমার ফোনের গ্যালারিতে এখনোও অনেক ছবি রয়েছে যেগুলো এখন পর্যন্ত দেওয়াই হয়নি এবং ছবিগুলো ফোনেই রয়ে গেছে। এগুলো আস্তে আস্তে দিয়ে আমার ফোন একেবারে খালি করতে হবে তা না হলে এই একই ছবি দিয়ে ফোন ভরে রয়েছে। এজন্য আবার নতুন করে কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য চলে এলাম। রাঙ্গামাটি শহরের খুবই পপুলার একটি পার্ক রয়েছে আর সেই পার্কটি হলো পলওয়েল পার্ক ।নিচে যে ছবিগুলো দেয়া হয়েছে এগুলো পার্কের ঢোকার গেট দেখুন কত সুন্দর ভূতের মাথা তৈরি করা হয়েছে এবং এর ভিতর থেকে টিকিট কাটতে হয়। এর ভেতর দিয়েই ঢুকতে হয় দেখতে ভয়ংকর হলেও তবে জায়গাটা কিন্তু খুব সুন্দর। আর এই ধরনের জায়গাগুলো বাচ্চারা খুব এনজয় করে।
এখানে রাতে থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে এবং অনেক আগে থেকে ওই পার্কের রুমগুলো বুকিং দিতে হয়। আমাদের ইচ্ছা ছিল আমরা ওই হোটেলে গিয়ে উঠব, তবে আমরা কোন রুম খালি পাইনি যার কারণে ওই পার্ক থেকে খানিকটা দূরে আমাদেরকে থাকতে হয়েছিল। শহরের ভিতরে। আর এই ছিল রাঙ্গামাটির শহর থেকে আরো অনেক ভিতরে। আমরা পরের দিনে সবাই মিলে বের হয়ে গিয়েছিলাম ওই পার্কটাতে সারাদিন কাটানোর জন্য । খুব সুন্দর একটি জায়গা এবং বাচ্চাদের বিভিন্ন রাইড এর ব্যবস্থা রয়েছে। আসলে ওইখানে গিয়ে সময়টা ভালোই কেটেছিল।
এই ছবিগুলো তোলা হয়েছে পার্কে ঢোকার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে। ওই ভূতের মাথা দিয়ে ঢোকা গেলেও আবার অন্য সাইড দিয়েও সুন্দরভাবে ঢোকার ব্যবস্থা করা রয়েছে এবং সিঁড়ির দুই পাশ দিয়ে পাথর দেওয়া রয়েছে এবং পাথরগুলো খুব সুন্দর করে রং করা আছে যেটা দেখতে আসলেই চোখে পড়ে। দেখতে খুব ভালো লাগে এবং এই পার্কে ঢুকতে হলে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ পার হয়ে ঢুকতে হয় । এই ঝুলন্ত ব্রিজের উপর দিয়ে আসতে খুব ভালো লাগে আবার ভয়ও করে । কারণ যখন ওর উপর দিয়ে সবাই মিলে হাটে তখন ঐ ব্রিজটা খুব বেশি পরিমাণে দুলতে থাকে যার কারণে ভয়ে অনেকেই ব্রিজের উপর দিয়ে না গিয়ে নিচ দিয়ে একটি সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখান দিয়ে উপরে উঠে। আর এগুলো সব পাহাড়ের উপরে বানানো হয়েছে এজন্য অনেকটা সিঁড়ি পার হতে হয়। একটু বয়স্ক মানুষ গেলে তাদের এসব জায়গায় চলাফেরা করতে আসলেই কষ্টকর। তবে আমরা কষ্ট করে হলেও জায়গা গুলোতে ঘুরেছি এবং অনেক বেশি এনজয় করেছি।
এটা হল নামার সিঁড়ি এক পাশ দিয়ে উঠলে আরেক পাশ দিয়ে নামার জন্য এরকম সুন্দর সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সিঁড়িগুলো এত ঝকঝকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেখতেই ভালো লাগে। আর এখানে ছবি তুলে শেষ করা যায় না। অসংখ্য জিনিস রয়েছে যার ছবি আমরা তুলেছি। আজকে আমি কিছু শেয়ার করলাম এবং পরবর্তীতে এখানে আরও বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর জিনিস আছে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য বেশ কিছু রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে চাইলে বড়রাও উঠতে পারে তবে আমি কখনো এ ধরনের রাইডে উঠি না ।আমার কাছে ভয় লাগে এবং মাথার ভিতরে কেমন যেন ঘুরে ভালো লাগে না। তবে সবাই যখন উঠে তখন দেখতে ভালই লাগে।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে গেলে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়। আর এত সুন্দর জায়গায় গেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপু আপনি অনেকদিন আগে সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন আমরা সবাই জানি। আজকে এই পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ওখানে গিয়ে কয়েকটা দিন অনেক ভালো কেটেছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পলওয়েল পার্কে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে পার্কে যেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। বিনোদন অন্যতম মাধ্যম হলো পার্কে গিয়ে সময় অতিবাহিত করা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য।
পলওয়েল পার্কের পরিবেশটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে উঠা নামার সিঁড়ি দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কে উপভোগ করা মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
উঠানামার সিড়িগুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল ।আর এসব জায়গাগুলো ঘুরে অনেক মজা অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খুব সুন্দর থাকে।