★বৃষ্টির ভিতর কাজ ও বৃষ্টিতে ভেজা★

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।




আজ আমি আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব অনেকদিন পরে বাইরে হালকা বৃষ্টির ভেতরে বেশ খানিকটা সময় খুব সুন্দর ভাবে কাটিয়েছে সেটাই। সব সময় যখনই বৃষ্টি নামে তখনই বাইরে বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ইচ্ছা করে তবে কখনো সময় সুযোগ হয় না। আজকে এমনিতেই সন্ধ্যার পরে বাইরে যাওয়ার কথা ছিল কারণ আম্মার আরও দুটি টেস্ট করাতে হবে। আজকেই করাতে হবে এজন্য যেতে হবে। কারণ ডাক্তার ২১ দিন পরে টেস্ট দিয়েছে আর আজকে সে ২১ দিনের টাইম শেষ হয়েছে আজকেই যেতে হবে তা না হলে সময় আরো বেশি চলে যাবে। এই কারণে বৃষ্টি নামলেও আমাদেরকে যেতেই হবে। আর আমাদের যেখানে যেতে হবে সেখান থেকে আমাদের বাসা খুব দূরে নয়। কাছে হওয়ার কারণে রিক্সাওয়ালারও খুব একটা যেতে চায় না। এই কারণে আমরা সন্ধ্যার পরে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করেছি কিন্তু কিছুতেই বৃষ্টি কমছে না।

Polish_20230618_012205458.jpg


ছেলেও আবার বায়না ধরেছে বৃষ্টির ভিতর সেও আমাদের সাথে যাবে। এজন্য বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে বৃষ্টি যখন কমে না তখন বাধ্য হয়েই আমরা রওনা দিলাম। যখন রাস্তায় নামি তখন দেখছি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে এবং কোন রিকশাও নেই প্রচুর পরিমাণে ভিড় রাস্তায়। তারপরে বৃষ্টির ভিতর হেঁটে রওনা দিলাম খুব দ্রুত হেঁটে আমরা যেখানে পরীক্ষা করব সেখানে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে তাড়াতাড়ি করে আমরা কাউন্টারে গিয়ে রিসিট কেটে ভিতরে ঢুকে গেলাম । আজকে আবার সাড়ে তিন হাজার টাকার টেস্ট দিয়েছে যেটা করিয়ে কালকে আবার ডাক্তারকে দেখাতে হবে । কারণ 21 দিনের কিছু ওষুধ দিয়েছিল সেগুলো শেষ হয়েছে এবং এর পরে কি ফলাফল আসলো সেটা এই রিপোর্টটা দেখে বোঝা যাবে ।আজকে টেস্ট করিয়েছি ওরা কালকে বিকেলে নাগাদ রিপোর্ট দিবে এবং রিপোর্টটা নিয়ে কালই ডাক্তারকে দেখাবো।


এরপর আমরা আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসলাম। আসার পথে দেখি বৃষ্টি আগের থেকে বেশ খানিকটা বেড়েছে। তারপর আমরা বৃষ্টির ভিতর হাঁটছি আমার তো অনেক ভালো লাগছে কারণ অনেকদিন পরে আমার ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে। এর ভেতরে বাসার জন্য কিছু সবজিও নিতে হবে। দেখি বৃষ্টির ভেতরে রাস্তার পাশে সবজিওয়ালারাও সব ধরনের সবজি নিয়েই বসেছে এবং বৃষ্টিতে সবজিগুলো ভিজছে আরো ফ্রেশ লাগছে দেখতে। সেখান থেকে আমরা কিছু সবজিও কিনে নিলাম এবং আসার পথে সুন্দর সুন্দর কিছু ছবিও তুলে নিলাম সবজির। আবার রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় দেখলাম একটা পাইপ দিয়ে সুন্দর করে ফ্রেশ পানি রাস্তার দিকে নেমে যাচ্ছে সেখানে পা দিয়ে আমি আর আমার ছেলে পাটা ভেজালাম, সাথে দেখি আমার হাসবেন্ড এসেছে সেও সেখানে পা দিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিল ।

20230618_011139.jpg

20230618_011710.jpg


ছেলেকে যদিও বৃষ্টিতে কখনো ভিজায় না তারপরও ওর ইচ্ছা বৃষ্টিতে ভিজবে। এদিকে সবজি কেনার সময় ফ্রেশ একটা পলিথিনে ওর মাথার উপরে দিয়ে দিলাম যাতে সরাসরি পানি মাথায় না লাগে যদিও আগেই ভিজেছে। ছেলেও সেই বৃষ্টিটা খুব উপভোগ করছিল এবং আসার পথে আমরা ডিমের দোকানে দাঁড়িয়ে একটা হাঁসের ডিম খেলাম এবং কিছু ফুচকা কিনে নিয়ে আসলাম বাসায় এসে সবাই মিলে খাব।

20230618_011533.jpg

20230618_011519.jpg


ঝর বৃষ্টির ভিতর এই খাবারগুলো খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। ফ্রেশ কিছু সবজির ছবিও তুলে নিলাম। একসাথে কাজও করে নিলাম ও হালকা বৃষ্টিতে হাটাহাটি করে একটু ভিজেও নিলাম সত্যি অনুভূতিটা দারুন ছিল।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 last year 

তাহলে তো বৃষ্টির দিনে বেশ ভালোই অনুভব করছেন আপনার ইচ্ছাটা পূরণ হলো বৃষ্টিতে ভেজে এবং কাজটাও হয়ে গেল। সত্যি বলতে ছোট কালে এতো ভিজেছি বৃষ্টিতে এখন আর সময়ও সুযোগ হয় না। কিন্তু বাচ্চারা খুব বায়না ধরে বৃষ্টিতে ভিজার জন্য কিন্তু সময় সুযোগ হয় না। আপনি টেস্ট দিয়ে আসলেন এবং সাথে আসার সময় সুন্দর সুন্দর সবজি কিনলেন ভালো লাগলো আপনার ব্লগিংটা পড়ে।

 last year 

অনেকদিন ধরে বৃষ্টিতে ভেজার ইচ্ছা ছিল তাই ছোটখাটো বৃষ্টিতে হালকা একটু ভিজে নিলাম ইচ্ছাটা একটু পূরণ হয়েছে পুরোটা না।

 last year 

বৃষ্টিতে ভেজার মজাই আলাদা তবে সেটা শৈশব জীবনে ছিল দারুন ৷ যা হোক আপনার মাকে টেস্ট করার জন্য আপনারা এই বৃষ্টির মাঝেও বের হয়েছেন এরপর সবজি কেনা দেন বাড়ি ফেরা সবই ছিল বৃষ্টির মধ্যে ৷ আর ছোট্ট বাবু দেখি মাথায় পলিথিন দিয়ে দারুন লাগছে ৷

 last year 

বৃষ্টিতে ভিজতে আমারও খুব ভালো লেগেছে। ছোট বেলায় অনেক ভেবেছি এখনতো ভেজাই হয় না।

 last year 

বলতেই হয় আপু অবশেষে তাওতো বৃষ্টি পেয়েছেন। আর আমরা তো বৃষ্টির মুখই দেখতে পারছি না, অসম্ভব গরম পরছে। বিকেলে যদি হালকা ঠান্ডা বাতাস বইছে তো রাত্রে গরমের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আপু ডাক্তারের কাছে গিয়ে টেস্ট দেওয়া মানেই টাকার খেলা। ডাক্তার রোগীর গায়ে হাত দেওয়ার আগে দুই তিনটা টেস্ট লিখে দিবে বর্তমান বাংলাদেশের এটাই হলো ডাক্তারের রুগে দেখা। বৃষ্টির ভেতরে কাজ এবং বৃষ্টি ভেজা দুইটা অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

এটা ঠিকই বলেছেন ডক্টর শুরুতেই একগাদা টেস্ট দিয়ে বসে। আর টেস্ট করাতে এক দিক দিয়ে সুবিধা আছে একটা না একটা সমস্যা তখন বের হয়েই আসে যেটা সম্বন্ধে আমরা কখনোই অবগত থাকি না।

 last year 

প্রথমেই দোয়া রইল আপনার আম্মার প্রতি। আল্লাহ তাকে অনেক তাড়াতাড়ি সুস্থ্যতা দান করুক। ডাক্তার কোথায় দেখাচেছন, শান্তিনগর পপুলারে? আপু আপনার বৃষ্টির গল্প পড়ে তো আমার রীতিমত লোভ হচ্ছে আপনি তো বৃষ্টিতে ভেজা, ফোচকা খাওয়া সহ আমার সব প্রিয় জিনিস গুলো একা একা করে নিলেন। আমাকে একটু ডাক দিতেন। আপনার কাছাকাছিই তো আমার বাসা। ইস্ কি মিস হয়ে গেল। মজা তো আর আমার করা হলো না। হি হি হি

 last year 

হ্যাঁ আপু আমার বাসা পপুলার এর কাছে এজন্য আমি সবসময় এখান থেকেই করি।

 last year 

ভালোই করেছেন আপু বৃষ্টিকে উপেক্ষা না করে টেস্টগুলো করাতে গিয়েছেন তা না হলে আরো দেরি হয়ে যেত। তবে দোয়া করি যেন আপনার আম্মার টেস্ট গুলো যেন ভালোই আসে।এক সাথে আপনার দুই কাজ করা হল। আপনার আম্মারে টেস্টগুলো করা হলো এবং বৃষ্টিতে কেউ ভেজাল হলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

টেস্টগুলো করানোটা একটা জরুরী ছিল দেখেই বৃষ্টির ভিতর যেতে হয়েছিল আপু।

 last year 

আপু কোথাও যাওয়ার পথে যদি দূরত্ব কম হয় তখন রিক্সাওয়ালারা যেতে চায় না। যাইহোক তারপরেও বৃষ্টির ভিতর আপনারা হেঁটে হেঁটে হসপিটালে গিয়ে পরীক্ষাগুলো করিয়েছেন। এবং আপনারা সবাই বৃষ্টিতে ভিজে বেশ মজা করেছেন। ভালোই করেছেন আপু ছেলের মাথায় একটি পলিথিন দিয়ে দিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আপু। এবং আপনার আম্মুর সুস্থতা কামনা করছি।

 last year 

এটা আমাদের হাটার রাস্তাই আপু রিক্সায় বাধ্য হয়ে যেতে হয়। তবে সব সময় রিক্সা পাওয়া যায় বৃষ্টি দেখে একটু ভিড় ছিল।

 last year 

আপনার আম্মার ২১ দিন পর টেস্ট করানোর কথা। তাই টেস্ট করাতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজলেন আর অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছেন আপু। খুব ভালো লাগলো অনুভূতি গুলো পড়ে। আপনাদের সাথে ছেলে ও গেলো।আসলে আমারও বৃষ্টিতে ভেজা হয়না।দেখা যায় আমি ভিজলে ছেলেও ভিজবে।যাক আপনারা ফেরার পথে তাজা সবজিও নিলেন।আর ফুচকাও নিয়ে নিলেন বাসায় সবাই মিলে খাবেন বলে।সত্যি ই বৃষ্টির দিনে এমন খাবারগুলো বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 last year 

কখনো ভেজার সুযোগ হয়নি তাই ইচ্ছে করে ওকে ভিজিয়েছি কারণ এর আগে যখন ভিজেছিলো তখন জ্বর এসে গিয়েছিল। তাই আবার টেস্ট করার জন্য ভিজিয়েছি আল্লাহর রহমতে কিছু হয়নি।

 last year 

আপনার আম্মুকে ডাক্তার বলেছিল ওষুধ খাওয়ার পরে ২১ দিন পর টেস্ট করানোর জন্য। ২১ দিন শেষ হওয়ার পরে আপনারা ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি হচ্ছিল যার কারণে কিছুক্ষণ পর্যন্ত প্রথমেই অপেক্ষা করেছিলেন। আর বৃষ্টির মধ্যে আপনার ছেলে ও আপনাদের সাথে যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছিল। বৃষ্টি থাম ছিল না তাই আপনারা রওনা দিয়েছিলেন যাওয়ার জন্য। আর রিক্সাওয়ালাও যাবে না বলেছিল। তাড়াতাড়ি করে হেঁটে গিয়ে ছিলেন। টেস্ট করানোর পরে আসার সময় কিছু সবজি কিনেছিলেন। তারপরে ডিমের দোকানে দাঁড়িয়ে ডিম খেয়েছিলেন। আবার ফুচকাও কিনে নিয়ে এসেছিলেন বাসায় সবাই মিলে খাওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে বৃষ্টিতে ভেজা খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলেন। সম্পূর্ণটা ভালো লাগলো।

 last year 

আপু আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমার পোস্ট থেকে কিছু অংশ তুলে ধরেছেন ভালো লাগলো নিজের লেখা গুলো আবার পড়ে।

 last year 

বয়স হলে মানুষ অসুস্থ হয়। তবে বিপদের মুহূর্ত আপন জনের পাশে যখন থাকবেন তখন আল্লাহর রহমত আপনার থাকবে। ব্যস্ততার মাঝে বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন অবশ্য নিজের কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু সম্মুখীন হতে হয়। দোয়া করব আপনার আপনজন পরিবার-পরিজন সবাই যেন সুস্থ সবল থেকে দিনের পথে চলতে পারে।

 last year 

একটা সময় আসে যখন মানুষের ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে দৌড়াতে অবস্থা কাহিল হয়ে যেতে হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62065.67
ETH 2429.85
USDT 1.00
SBD 2.68