সন্তান আল্লাহর বড় নিয়ামত পর্ব: ৪

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



image.png

Link


আজকে আমি আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আমার লেখা গল্পটি আবার শেয়ার করতে চলে এসেছি । কয়েকদিন আগে আমি একটি গল্প লিখেছিলাম সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব লিখে ফেলেছি । আসলে আশেপাশে মানুষের জীবন কাহিনী নিয়েই গল্প হয়ে যায় ।মানুষের জীবন সুখে দুঃখে ভরপুর তার ভিতর কিছু আছে সুখের এবং কিছু গল্প আছে দুঃখের । সেরকমই একটি মেয়ের জীবনের কিছু অংশ আমি গল্প আকারে আপনাদের সামনে তুলে ধীরেছিলাম । এখন সেই গল্পের চতুর্থ পর্ব নিয়ে আমি চলে এসেছি । গত পর্বে আমি শেষ করেছিলাম যে বাইরে ঝড় উঠেছে পিংকি টেনশনে অস্থির থাকে এর ভিতরে তার হাসবেন্ড ফিরে আসে ।


এর কিছুক্ষণ পরে সে তার ছোট মেয়েকে খাওয়াতে যায় হঠাৎ করে ছোট বাচ্চাটার মুখের দিকে তাকিয়ে পিংকি কিছুটা ভয় পেয়ে যায় । সে তখন চিৎকার দিয়ে ওঠে তার মাকে ডাকে দেখে যে তার বাচ্চাটার মুখটা কেমন যেন লাল হয়ে গিয়েছে ।তখন বাজে রাত বারোটা সেই রাত বারোটার সময় তারা এদিক ওদিক না দেখে তাড়াতাড়ি করে ডক্টরের কাছে ছুটতে থাকে বাচ্চাটাকে নিয়ে ।


তারা চলে যায় হসপিটালে সেখানে গিয়ে ডক্টর বলে যে এরকম হয়েছে কারণ ওর কিছু সমস্যা রয়েছে যার কারণে সে এরকম করছে । বাচ্চাটাকে দ্রুত ভর্তি করাতে হবে এবং তারা ভর্তির ব্যবস্থা করছিল । কিন্তু কিছুক্ষণ পরে বাচ্চাতা আবার ঠিক হয়ে যায় । তখন ডাক্তার বলে যে এখন তো ঠিক হয়ে গেছে এখন ভর্তি না করলেও চলবে ।


তখন তারা বাচ্চাটাকে নিয়ে বাসায় চলে আসতে থাকে নিচে নামতে নামতে আবারো শুরু হয়ে যায় ওরকম খিচুনি । সেটা দেখে তারা ভয় পেয়ে আবার দৌড়ে চলে যায় ডাক্তারের কাছে । ডক্টর বলে এখনই ভর্তি করিয়ে দেন । তারা আইসিইউতে ভর্তির ব্যবস্থা করতে থাকে রাত অনেক বেশি হয়ে যায় । সিস্টারদের সাথে কথা বলতে থাকে ।


কিন্তু তারা বলে যে এই মুহূর্তে ৪০ হাজার টাকা এডভান্স না করলে আমরা কিছুতেই বাচ্চাকে ভর্তি করতে পারব না । তারা যতই বলে যে আমাদের কাছে ২০ হাজার টাকা আছে এটা দিয়ে শুরু করেন কিন্তু ওরা করতে রাজি হয় না । পিংকির হাসবেন্ড বলে যে এত রাতে আমরা কোথা থেকে টাকা আনবো । তখন ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে হতো এর কারণে অসুবিধা হচ্ছিল ।তারা যতই বলছে যে সকালবেলা আমরা সব টাকা পে করবো কিন্তু যারা ভর্তি করে তারা কিছুতেই মানছিল না ।


এদিকে ওরা খুব চিল্লাপাল্লা করছিল । ওদের চিৎকার শুনে একজন ডাক্তার আসে তারা বলে যেখানে কি হয়েছে তখন ওরা বলে আমার বাচ্চাটা এরকম অসুস্থ ওকে আইসিইউতে ভর্তি করাতে হবে কিন্তু ৪০ হাজার টাকা না দিলে তারা ভর্তি করবে না । কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা টাকা আনতে পারছি না আমরা বলেছি সকালবেলা দিয়ে দেব কিন্তু তারা কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না । ডাক্তার বলার পরে ওরা রাজি হয় । এরপর তারা আইসিইউতে চিকিৎসা করিয়ে বাচ্চাটাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে ,বাচ্চাটা তখন সুস্থ হয়ে ওঠে ।

চলবে......

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

এই গল্পটার প্রথম পর্বগুলো আমার পড়া হয়েছিল। আর আজকে চতুর্থ পর্ব টা পড়েও খুব ভালো লেগেছে। আসলে সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রত্যেককে পরীক্ষা করে যায় সব ক্ষেত্রে, তেমনটা সন্তানের ক্ষেত্রেও হয়। ডাক্তাররা ৪০ হাজার টাকা ছাড়া চিকিৎসা শুরু করতে চাচ্ছিল না এবং ওদের কাছে ছিল মাত্র ২০ হাজার টাকা। যদিও তারা বলেছিল সকালে টাকা দিয়ে দিবে, কিন্তু ডাক্তারদের এই ব্যবহার সত্যি অন্যরকম ছিল। পরবর্তীতে বাচ্চাটা সুস্থ হয়ে গিয়েছে এটা জেনে ভালো লেগেছে।

 last year 

এমন অনেক সময় আছে যে টাকার জন্য বাচ্চা মারা যায় তারপরও তাদের মন নরম হয় না , আসলে এটা সত্যি হৃদয়বিদারক ।

 last year 

আপু আপনি ঠিক বলেছেন সন্তান আল্লাহতালার বড় নিয়ামত। অনেক মানুষ হাজার বছর চেষ্টা করো একটা সন্তানের জন্য কাঁদে কিন্তু অনেক মানুষ সন্তান জন্ম দেয় ও তার মর্যাদা দেয় না। আল্লাহ তাআলা কাউকে দিয়ে পরীক্ষা করেন কাউকে না দিয়ে পরীক্ষা করেন। এইটা খুবই খারাপ লাগে মানুষ তার পরিস্থিতি বোঝে না। উনি ২০ হাজার টাকা দিতে চাচ্ছিল তাও নিচ্ছিল না সত্যিই দুঃখজনক। আশা করি সৃষ্টিকর্তা যেন বাচ্চা টাকে সুস্থ করে দেয় এবং পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম।

 last year 

পরে ওই ডাক্তারটা আসার কারণে তাড়াতাড়ি ভর্তি করতে পেরেছিল , তা না হলে হয়তো বা খারাপ হতে পারতো ।

 last year 

বাচ্চাটা তো দেখছি অনেক বেশি অসুস্থ হয়েছিল। তবে ডাক্তারদের এই ব্যবহার দেখে আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। ডাক্তাররা বিশ হাজার টাকা নিতে চাচ্ছিল না, তারা একসাথে ৪০ হাজার টাকা নিতে চাচ্ছিল, এটা সত্যি অনেক দুঃখজনক একটা বিষয়। অন্য একটা ডাক্তার এসে বলার কারনে পরবর্তীতে তারা রাজি হয়েছিল এবং বাচ্চাটা সুস্থ হয়েছে, এটা দেখে ভালো লেগেছে আমার কাছে অনেক বেশি। পরবর্তী পর্বে কি হয় এটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

হঠাৎ করে আসলেই বাচ্চাটি অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল । দ্রুত ডাক্তারের কাছে না গেলে কিছু একটা হয়ে যেতে পারত ।

 last year 

কিছু কিছু ডাক্তারের ব্যবহার খুবই খারাপ। একটা বাচ্চা এত অসুস্থ দেখার পরও পুরো টাকা না দেওয়ার কারণে ভর্তি করতে চাইছিল না। অবশেষে একটি ডাক্তারের কথাই ভর্তি করানো হলো এবং বাচ্চাটা সুস্থ হয়ে গেল জেনে খুব ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 last year 

হাসপাতালের লোকজন অনেক সময় এরকম ব্যবহার করে যেটা আসলে মেনে নেওয়া কষ্টকর হয়ে যায় ।

 last year 

এই গল্পের প্রথম পর্বগুলো আমার পড়া হয়নি। এখন চতুর্থ পর্ব পড়ে মোটামুটি ভালই লাগলো। তবে এটি আপনি ঠিক বলেছেন ছেলে-মেয়ে হচ্ছে আল্লাহর বড় নেয়ামত। বাচ্চাটি অসুস্থ কিন্তু হাসপাতালে কর্মগত লোকেরা যেভাবে বলতে লাগলো চল্লিশ হাজার টাকা এডভান্স দিলে বাচ্চাকে ভর্তি করানো হবে। তারা ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও বাকি টাকা না দিলে ভর্তি করানো হবে না। আমার মনে হয় ঐ হাসপাতালের মানুষগুলো টাকার পিছে দৌড়াতেছে। পিংকির হাসব্যান্ড বলার পরও শুনতেছে না সকালে সে টাকা ব্যবস্থা করে দেবে। আসলে মানবতা আজ কোথায় আছে বোঝাই যায় না। এখন বাচ্চাটি ভালো আছে শুনে ভালো লাগলো। যাই হোক পরের পর্বে কি ঘটে সে অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

বাচ্চারা হচ্ছে আল্লাহর দেয়া সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত । এটি আপনি ইচ্ছা করলেও যা তা করতে পারেন না । আল্লাহ চাইলে রাখতেও পারে আবার নিয়েও যেতে পারে এটাই নিয়ম ।

 last year 

আপনার গল্পের আগের পর্ব গুলো আমি সময়ের কারণে দেখতে পারি নাই। আমাদের দেশে কিছু কিছু ডাক্তার আছে তারা মানুষ নামে অন্য কিছু।পিংকি এর মেয়েটি খিচুনি রোগে অসুস্থ ডাক্তার প্রথম চিকিৎসা ভালোই করলেন। দ্বিতীয়বার যাওয়ার পর তাদের কাছে যেভাবে ৪০ হাজার টাকা আগে জমা চেয়েছে। যদিও তারা বিশ হাজার টাকা এখন দেবে পরবর্তী টাকা ব্যবস্থা করে দেবে তারপরও তারা তাদের কথা শুনতে চায় না। আসলে এরা রোগীর চেয়ে আগে টাকাকে বেশি ভাবে। কারণ এদের টাকায় আগে দরকার মানুষ বাঁচলে বাচুক মরলে মরুক। আল্লাহ সবাইকে ভাল রাখুক। দেখি আপনার পরের পর্বে কি ঘটে জানতে পারবো। আশা করি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।

 last year 

টাকা সকালে দিতে চাইছিল তারপরও তারা ভর্তি করতে চাইছিল না কতটা নির্দয় হলে এরকম কাজ করতে পারে ।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 68492.14
ETH 2699.27
USDT 1.00
SBD 2.72