★রাঙামাটি পার্কে ঘোরাঘুরি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব রাঙ্গামাটি শহরের একটি পার্কে ঘোরাঘুরি করার কিছু সময়। রাঙ্গামাটি গিয়েছি আর পার্কে যাব না এটা কি হয় নাকি। কারণ আমরা যতই বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করি না কোন শিশুদেরকে পার্কে নিয়ে গেলে যে অনুভূতিটা হয় তা অন্য কোথাও ঘুরলে তারা সে আনন্দ টুকু পায় না। আর আমার ছেলেটাও রাঙ্গামাটিতে গিয়ে পার্কে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছিল। কারণ আমাদের সাথে যে গাইড ছেলেটা ছিল ও বারবার আমার ছেলেটাকে বলছিল যে এখানে সুন্দর একটা পার্ক আছে তোমাকে নিয়ে যাব। আর যখনই বাইরে যাওয়া হয়েছে ও পার্কে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে আমরা যেদিন গিয়েছি সেদিন শিশু পার্কে যেতে পারিনি। কারণ আমরা যেদিন রাঙামাটি পৌঁছেছি সেদিন ভোর ছয়টায় গিয়ে পৌঁছেছি। গিয়ে সকালবেলা নাস্তা করে আবার আমরা একটা ঘুম দিয়েছি বারোটা পর্যন্ত। কারণ সারারাত জার্নি করেছি একটু ঘুম না দিলে ঘুরতে গিয়ে আনন্দ পাবোনা। এর জন্য ঘুম দেয়ার কারণে সেদিন আমাদের অর্ধেক সময়টাই চলে গিয়েছিল। এরপর আমরা বাইরে ঘুরতে ঘুরতে রাত হয়ে গিয়েছিল।
গেট দিয়ে ঢোকার পরে বড় করে লেখা আই লাভ রাঙামাটি এবং লাইটিং দিয়ে আলোকিত করা খুব সুন্দর ছিল।
যথারীতি পরের দিন আমরা আগে থেকে ঠিক করে রেখেছি আমরা সকাল ৯ টায় ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে বের হয়ে যাব যাতে সব জায়গায় ভালোমতো ঘুরতে পারি। এজন্য আমরা সকাল ৯ঃ০০ টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে তারপর সকালের ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়েছিলাম। আমরা যে হোটেলে ছিলাম সেই হোটেলেই আমরা নাস্তাটা সেরে নিয়েছিলাম। আমরা যেখানে গিয়ে বোটে উঠব আমাদের হোটেল থেকে খুব কাছে হেঁটে যাওয়া যায়। তবে আমরা আরো তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য সিএনজি নিয়ে গিয়েছিলাম । আর আমাদের হোটেল থেকে পার্ক দেখা যায়। আমরা সকাল সকাল বোটে গিয়ে সারাদিন ঘুরে আবার দুপুরের খাবার খেতে খেতে সন্ধ্যা হয়ে যেত। আবার সেখান থেকে ফিরে আসতে আসতে প্রায় রাত হয়ে যেত।
ভিতরে ঢোকার পরে এরকম জায়গায় জায়গায় পশু পাখি বানিয়ে রেখেছে আবার কয়েকটার উপরে বাচ্চারা বসে দোল খেতে পারে স্প্রিং সিস্টেম করা।
আজকে আমরা ঠিক করে রেখেছিলাম আজকে একটু আগে আগে ফিরে পার্কে যাব। ফিরতে ফিরতে তবুও সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যার সময় আমরা যখন শিশু পার্কে ঢুকবো তখন গেটম্যান বলছিল এখনই তো বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদেরকে ঢুকতে দিতে চাচ্ছিল না । পরে আমরা অনেক বলাবলির পরে ওরা অল্প কিছু সময়ের জন্য ঢুকতে দিয়েছিল। যখন শিশু পার্ক থেকে সবাই বের হয়ে যাচ্ছিল আর আমরা ঢুকছিলাম। যার কারণে ভেতরটা অনেকটাই খালি ছিল অল্প কিছু লোকজন ছিল। আমরা অল্প সময়ে বেশ মজাই করেছিলাম। তবে আরো কিছু সময় থাকতে পারলে ছেলেটা আমার অনেক খুশি হত। এখানে কিছু কিছু রাইডে বাচ্চারা চড়ে ছিল আমিও একটাই চড়েছিলাম। যেটা দুই পা দিয়ে দুজন দুই পাশে দুলাতে হয় ভালোই লেগেছিল। আর আমি ঘুরে ঘুরে কয়েকটি ছবিও তুলে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। কি আর করার অল্প সময় ম পার্কে ঘোরাঘুরি করে তারপর আমরা আবার হোটেলে ফিরে এসেছিলাম।
আরো কিছু সুন্দর সুন্দর পশু পাখি মাটি দিয়ে বানিয়ে রেখেছে যা অনেক সুন্দর ছিল আবার দেখছেন ড্রাগনের মুখের ভিতরে লাইটিং করা হয়েছে ।রাতের বেলা দেখতে সত্যিই অপূর্ব লাগছিল।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
রাঙামাটির পার্কে গিয়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ছোট ছোট বাচ্চারা অন্যান্য জায়গা থেকে পার্কে ঘুরতে একটু বেশি পছন্দ করে এটা একেবারেই সত্যি। তাই তো পার্কের নাম শোনার সাথে সাথে যাওয়ার জন্য আপনার ছেলের একটু বেশি আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে। অবশেষে সে পার্কে গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছে তা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বিভিন্ন স্থানে খুবই সুন্দর সুন্দর পশুপাখি বসানো ছিল। পশুপাখি গুলোর পিঠের উপর বসে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছে মনে হচ্ছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারলাম ভালোই ছিল ঘুরাঘুরির পোস্ট।
ঠিকই বলেছেন আপু ছোট ছোট বাচ্চারা অন্য জায়গার থেকেই পার্কে গিয়ে যেতে বেশি পছন্দ করে। খুব সুন্দর সুন্দর পশু পাখি বানানো ছিল যা দেখে ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনার ছেলের একটু বেশি আগ্রহ হয়েছিল পার্কে যাওয়ার জন্য। তাকে দেখেই বুঝতে পারছি বেশ ভালোই খুশি হয়েছে পার্কে গিয়ে।ছোট বাচ্চারা কেন বড়রা ও পার্কে যেতে ভীষণ পছন্দ করে। এমনিতেই ছোট ছোট বাচ্চারা পার্কে যেতে একটু বেশি ভালোবাসে। কারণ তাদের মনের মত খেলার জন্য অনেক কিছুই রয়েছে। সিংহের পিঠের উপর বসে বেশ ভালই ফটোগ্রাফি করেছে। এরকম মুহূর্ত কাটাতে সবার কাছেই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো ও খুবই দারুণ ছিল বলতে গেলে।
বাচ্চারা তো পছন্দ করবেই পার্কে যেতে কারণ ওদের পছন্দের জিনিসগুলো সেখানে থাকে আর সিংহের পিঠে বসে সে খুব আনন্দই পাচ্ছিল। ভালো লাগলো ভাই আপনার মন্তব্যটি দেখে।
রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক দৃশ্য বেশ সুন্দর। এবং ঝুলন্ত ব্রিজটি আরো ভাল লাগে। লেকের কথা আর কি বলি অসম্ভব সুন্দর। আপনারা বেশ ঘুরাঘুরি করেছেন আপনার পোস্ট পড়েই বোঝা যাচ্ছে। আর বাচ্চারা পার্কে যেতে বেশ পছন্দ করে এবং আনন্দ পায়। শেষে আপনারা কিছু সময়ের জন্য পার্কে যেতে পেরেছেন সেটাই ভাল একটা বিষয়। অন্য কোন পোস্টে রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি দেখার আশায় রইলাম। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
আমরা দুটো ঝুলন্ত ব্রিজে গিয়েছি তবে এখনো ওই ছবিগুলো পোস্ট করা হয়নি আস্তে আস্তে করবো। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
সন্ধ্যাকালীন সময়ে রাঙ্গামাটি পার্কে বাচ্চাদের সাথে আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে খুবই চমৎকার বর্ণনা খুজে পেয়েছি এই জায়গার এবং পাশাপাশি বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরাঘুরির ভালোলাগা মুহূর্ত উপস্থাপন দেখেছি। সব মিলিয়ে বলতে পারি খুবই ভালোলাগার একটা মুহূর্ত তুলে ধরেছেন।
বাচ্চাদের সাথে যে কোন জায়গায় ঘুরতে যেতেই ভালো লাগে আর সুন্দর পরিবেশ হলে তো কোন কথাই নেই । ধন্যবাদ আপনাকে।