রঙীন কাগজ কেটে মাছ তৈরী
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সঙ্গে নতুন একটি ডাই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । নতুন নতুন প্রজেক্ট গুলো বানাতে খুবই ভালো লাগে । এইজন্য সময় সুযোগ পেলে এগুলো বানাতে বসে যাই । শুক্র-শনিবার দুটো দিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বাসায় থাকা হয় এজন্য চেষ্টা করি এ দুটি দিনে কিছু না কিছু তৈরি করার । আজকে যেমন সুযোগ করে বসেছি এবং আগে থেকে চিন্তা করে রেখেছি কিছু একটা তৈরি করব ।আর এমন একটা জিনিস তৈরি করব যাতে ঝটপট কোন কিছু তৈরি করে ফেলা যায় । এরপর হঠাৎ করে এই মাছটি চোখের সামনে দেখতে পেলাম এবং ঝটপট করে বানিয়ে ফেললাম । একসাথে কয়েকটি মাছ বানিয়েছি যাতে দেখতে সুন্দর লাগে ।আর রঙিন কাগজ দিয়ে যেকোনো কিছু বানাতে ভালোই লাগে এবং দেখতেও ভালো লাগে ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
রঙীন কাগজ
কালোকলম
কাঁচি
গ্লু
সাদা কাগজ
স্কেল
কার্যপ্রণালী
প্রথমে ৭/৭ সেন্টিমিটার সাইজের একটি ছোট্ট কাগজ নিয়েছি । এরপর কাগজটি মাঝখান থেকে একটি ভাঁজ দিয়েছি । তারপর তার মাঝখান থেকে আরো একটি ভাঁজ দিয়েছি ,তারপর তার মাঝখান থেকে ভাঁজ দিয়ে কাগজটা একেবারে চিকন করে ফেলেছি । তারপর প্রত্যেকটা ভাঁজ খুলে আবার আলাদা আলাদা ভাবে ভাঁজ করেছি । ছোট বেলায় আমরা যেভাবে পাখা তৈরি করতাম ঠিক সেই রকম ভাবে ভাঁজগুলো দিয়েছি ।
এরপর মাঝখান থেকে একটা ভাঁজ দিয়েছি । তারপর গ্লু লাগিয়ে দুইপাশটা এনে জোড়া লাগিয়ে দিয়েছি । এভাবে হাত দিয়ে কতক্ষণ চেপে ধরে জোড়াটা লাগিয়েছি তা না হলে বারেবারে খুলে যাচ্ছিল । এরপর দেখুন খোলার পরে সুন্দর একটি পাখার মতোই তৈরি হয়েছে । তারপর ত্রিভুজাকৃতি করে পেন্সিল দিয়ে এঁকে নিয়েছি ।
এরপর ত্রিভুজটা কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি । তারপর মাথায় একটু গ্লু লাগিয়ে নিয়েছি । এরপর আগে থেকে বানিয়ে রাখা ওই পাখার সাথে কোনার অংশটা গ্লু দিয়ে বসিয়ে দিয়েছি । তারপর একটি সাদা কাগজ গোল করে কেটে কালো কলম দিয়ে চোখ এঁকে নিয়েছি ।
তারপর চোখটা নিয়ে গ্লু দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি । ব্যাস এভাবে করে আমার মাছ বানানো হয়ে গিয়েছে । আমি একই রকম ভাবে আরও তিনটা তৈরি করে নিয়েছি একসাথে কয়েকটা বানিয়েছি যাতে দেখতে সুন্দর লাগে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
রঙিন কাগজ কেটে এত সুন্দর দেখতে চারটা মাছ তৈরি করেছেন যেগুলো অনেক সুন্দর ছিল। ভিন্ন চারটা কালারের মাছ তৈরি করেছেন দেখেই তো কিউট লাগতেছে। রঙিন কাগজ ব্যবহার করে এরকম ভাবে কোন কিছু তৈরি করলে, তা দেখতে আমার কাছে খুব সুন্দর লাগে। আমি রঙিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করতে যেমন খুব পছন্দ করি, তেমনি আমার কাছে রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা জিনিসগুলো দেখতেও ভালো লাগে। সবগুলো মাছ আপনি সুন্দর করেই তৈরি করেছেন। আপনার উপস্থাপনা দেখে যে কেউ এই মাছ সহজে তৈরি করে ফেলতে পারবে।
আমি রঙিন কাগজের তৈরি জিনিস গুলো বানাতে অনেক পছন্দ করি যখনই সময় পায় একসাথে কয়েকটা বানিয়ে রাখি ।
এ ধরনের ডাই প্রজেক্ট গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে আপু। রঙিন কাগজ কেটে ঝটপট কয়েকটি মাছ তৈরি করে ফেলেছেন দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে। মাছ তৈরীর প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমার রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করার ঝটপট মাছগুলো আপনার কাছে ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম ।
শুক্র-শনি দুই দিন স্কুল বন্ধ থাকায় বাসায় বসে নতুন নতুন কিছু তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারেন। রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর মাছ তৈরি করেছেন আর কিভাবে রঙিন কাগজ দিয়ে এত সুন্দর মাছ তৈরি করা সম্ভব সেটা আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপু।
ছুটির দিনগুলোতে চেষ্টা করি কাজগুলো একটু এগিয়ে রাখার তারপরও সময় করে উঠতে পারি না ।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর মাছের অরিগ্যামি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মাছের অরিগ্যামি তৈরি করার ক্ষেত্রে রঙিন কাগজের ব্যবহারটি সত্যিই চমৎকার ছিল। মাছের চোখ দেখতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাছে মাছের চোখ ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
আরে বাহ্ আপনি তো দেখছি অনেক সুন্দর করে রঙিন কাগজে ব্যবহার করে মাছের অরিগ্যামি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা মাছগুলোকে দেখতে সত্যি অনেক বেশি কিউট লাগতেছে। ভিন্ন ভিন্ন কালারের কাগজ দিয়ে মাছগুলো তৈরি করার কারণে বেশি সুন্দর লেগেছে দেখতে। এরকম ভাবে এগুলো তৈরি করে যদি বাচ্চাদেরকে দেওয়া হয় তাহলে তারা অনেক বেশি খুশি হয়। এত সুন্দর করে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে, মাছ তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার এত সুন্দর এবং দক্ষতা মূলক কাজের প্রশংসা যত করবো ততই কম হবে।
একদম ছোট বাচ্চাদেরকে দিলে খুশি হবে আমার বাচ্চাটা এখন এগুলো পেলে তেমন একটা খুশী হয় না দিতে দিতে এখন ওর কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না মনে হয় ।
রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আপনার তৈরি করার রঙিন কাগজের এই মাছ দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। রংবেরঙের মাছ তৈরি করার জন্য এগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।
ঠিক বলেছেন রঙিন কাগজের তৈরি জিনিসগুলো তৈরি করতে ভালো লাগে এজন্য মাঝে মাঝে তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করি ।
রঙিন কাগজ কেটে খুব সুন্দর কিছু মাছ তৈরি করলেন। বিশেষ করে কয়টি মাছ একসাথে তৈরি করার কারনে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। এরকম বিভিন্ন কালারের রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন জিনিস তৈরি করলে দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর দেখায়। তাছাড়া এই ধরনের ছোট ছোট জিনিসগুলো তৈরি করে ঘরের দেয়ালে সাজিয়ে রাখলে আরো অপরূপ সুন্দর দেখায়। আসলে আপনি খুব সুন্দর কিছু ছোট ছোট মাছ তৈরি করলেন। তাছাড়া খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে বর্ণনা দিয়ে শেয়ার করলেন তাতে আমার কাছে দেখে আরো ভালো লাগলো।
জানিনা আপু কখনো ঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে রাখিনি কেমন লাগবে বুঝতে পারছিনা ।
স্কুল শনিবারে বন্ধু দেওয়ায় বেশ অস্বস্তিকর মনে হচ্ছে আমার। টানা দুই দিন বাচ্চারা ঘরে থাকলে ঘরের অবস্থা খারাপ করে দেয়। যাইহোক মাছগুলো কিন্তু বেশ কিউট লাগছে।
আমার কাছে তো বেশ ভালোই লাগে আপু । ছুটি পেলে সবাই মিলে ঘরে থাকা যায় । আপনি দেখছি সম্পূর্ণ উল্টো ।
রঙিন কাগজ দিয়ে কিছু তৈরি করতে যেমন ভালো লাগে।ঠিক তেমনি দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে। আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে খুব চমৎকার মাছ তৈরি করে ফেললেন আপু।মাছ গুলো দারুন লাগছে।একসাথে কয়েকটা মাছ দেখতে মনে হচ্ছে খেলা করছে মাছ গুলো।খুব সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপু আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমার রঙিন কাগজের তৈরি মাছটি আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে শুনে খুশি হলাম আপু ।