অনেক দিন পর রমনা পার্কে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব অনেকদিন পরে রমনা পার্কে যাওয়ার সুন্দর কিছু মুহূর্ত । বেশ কিছুদিন হয়ে গেল রমনা পার্কে যাওয়াই হচ্ছে না । এদিকে ডিসেম্বর মাস চলে এসেছে হালকা ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে আর শীতের সময় রমনা পার্কে যেতে খুব ভালো লাগে । কারণ চারিদিকে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফুটে থাকে দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে । কিন্তু দুঃখের বিষয় এবার গিয়ে দেখলাম যে পার্কে কোন ফুল ই নেই কারণ গাছগুলো মাত্রই লাগিয়েছে এবং শীতের ফুল আসা শুরু করেছে । হয়তোবা আরো পরে গেলে সুন্দর সুন্দর ফুল দেখতে পাবো । আর এতদিন ছেলের পরীক্ষা হওয়ার কারণে বাসা থেকে বের হওয়াই হচ্ছিল না । বেশ কিছুদিন আগে স্কুল থেকে সবাই মিলে গিয়েছিলাম আর এতদিন পরে আজকে গেলাম ।
অনেকদিন পরে বোন এসেছে ফরিদপুর থেকে মেইনলি ওদেরকে নিয়েই যাওয়া । ওরা আসার পরে কয়েক জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু এত পরিমাণে কাজ জমে গিয়েছিল যে বাহিরে কাজ সারতে সারতে সময়টা কোথা দিয়ে চলে গিয়েছে টেরই পেলাম না । এর ভিতরেই একদিন সবাই মিলে রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম । এখনকার দিন এতটাই ছোট যে একেবারে রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হতে হতেই সময়টা পার হয়ে যায় । তারপরও আমরা দুপুরে খাওয়া দাওয়া করার পরে চারটার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম এবং একটা রিক্সা নিয়ে চলে গিয়েছিলাম ।
আমরা রমনা পার্কে ঢুকে প্রথম যে জায়গাটাতে গেলাম সেটা হল বাচ্চাদের খেলার পার্ক । রমনা পার্কের ভিতরে ছোট একটা পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সেখানে গিয়ে বাচ্চারা একটু খেলাধুলা করে এবং বিভিন্ন রাইডে উঠে । সেটাই যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছিল ।আমরা প্রথমে সেখানে চলে গেলাম । কিন্তু আজকে শুক্রবার হওয়ার কারণে সেই জায়গাটা অসম্ভব পরিমাণে ভিড় ছিল । একেবারে কোথাও উঠায় যাচ্ছিল না তারপর ঠেলে ঠুলে কোন রকম ভেতরে ঢোকার পরে কিছু কিছু বাচ্চারা আছে আমাদের বাচ্চাদেরকে সুযোগই দিচ্ছিল না ওঠার । উল্টা ওদেরকে মারতে আসে সেটা দেখে আমরা ওখান থেকে বাচ্চাদেরকে নিয়ে অন্য কোথাও চলে গেলাম ।
বিশেষ করে রমনা পার্কের ভিতর বাচ্চারা হাটাহাটি করতে তেমনটা পছন্দ করেনা এরকম খেলার জায়গায় পেলে ওরা একটু খুশি হয় । কিন্তু আজকে লোকজনের কারণে সেখানে খুব একটা সময় কাটাতে পারলাম না । তারপরও আমরা বেশ খানিকটা সময় রমনা পার্কের ভিতরে হাঁটাহাঁটি করলাম এবং কিছু ছবিও তুলে নিলাম । এই পার্কটা বিশাল বড় আমরা হাঁটতে হাঁটতে একেবারে পার্কের শেষ প্রান্তে চলে গিয়েছিলাম । আবার সেখানে গিয়ে কিছুটা সময় বসে রেস্ট নিলাম । আবার ওখানে ব্যায়াম করার জন্য একটি জায়গা রয়েছে সেখানেও গেলাম সেখানে গিয়ে বাচ্চারা মজা করে ব্যায়াম করল । তারপর আবার আমরা উল্টা পথে হাঁটা শুরু করলাম । আবার খেলার জায়গাটায় গেলাম কিন্তু সেখানে দেখলাম যে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে কিন্তু ভিড় একটুও কমেনি । তারপর আমরা সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাচ্চাদের জন্য কিছু খাওয়া দাওয়া কিনে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
হ্যাঁ ডিসেম্বর মাস চলে এসেছে তাই শীতের প্রভাবটাও আগের চেয়ে একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। যাই হোক বাচ্চাদেরকে নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন তবে লোকজনের ভিড় বেশি থাকায় বাচ্চারা ঠিকমতো সেখানে গিয়ে খেলতে পারেনি যাই হোক সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ডিসেম্বর মাস চলে আসলে কি হবে রমনা পার্কে এখনো তেমন একটা ফুল দেখা গেল না । তবে আরও শীত বেশি পড়লে হয়তো বা ফুলে ফুলে ভরে যাবে তখন আরো সুন্দর লাগবে দেখতে ।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে ছেলেকে নিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন রমনা পার্ক। তবে মানুষের ভিড়ের কারণে বাচ্চাদের খেলার জায়গায় বেশিক্ষণ আনন্দ করতে পারিনি জেনে খারাপ লাগলো। আপনাদের রমনা পার্কে ঘোরার সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সময়টা আসলে অনেক ভালো কেটেছিল এ ধরনের খোলামেলা জায়গায় গেলে সত্যিই খুব ভালো লাগে ।
রমনা পার্কের এরিয়া বিশাল বড়,তাই ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। শীতকালে রমনা পার্কে ঘুরাঘুরি করতে আরও বেশি ভালো লাগে। ঢাকা শহরে এমন খোলামেলা জায়গার খুবই অভাব। বেশ কিছুদিন আগে আমার ওয়াইফকে নিয়ে রমনা পার্কে গিয়েছিলাম। স্বাধীনতা জাদুঘরের পাশে থাকা আর্টিফিশিয়াল লেকটা দারুণ লাগে। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই রমনা পার্ক এত বড় যে হেঁটে শেষ করা যায় না ।তবে আমরা সেদিন সবাই মিলে হাঁটতে হাঁটতে শেষ করেই ফেলেছিলাম ।
রমনা পার্কে গিয়ে দেখছি খুবই ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপনাদের ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা। অনেকদিন পর যেহেতু গিয়েছিলেন তাই খুব ভালোই লাগছিল নিশ্চয়ই। বাচ্চারা অনেক মজা করেছিল মনে হচ্ছে। আসলে বাচ্চারা যদি খেলার রাইড এগুলো দেখে, তাহলে তাদের আর কিছুই প্রয়োজন হয় না। আরেকটা অনেক বেশি বড় মনে হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই অনেকদিন পর রমনা পার্কে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
রমনা পার্ক আমার বাসার একেবারে কাছে হলে কি হবে তারপরও আমরা অনেকদিন পর পরই যাই ।
রমনা পার্কের পরিবেশটা আসলেই খুব সুন্দর। আর এরকম পরিবেশে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। তবে বাচ্চারা তাদের সময় গুলো ভালোভাবে কাটাতে পারেনি জেনে একটু খারাপ লাগলো। কিছু কিছু বাচ্চারা এরকমই হয় আসলে। যাইহোক তারপরও বাচ্চারা একটু খোলামেলা জায়গায় সময় কাটিয়েছে কিছুক্ষণ। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুক্রবার দিন গেলে আসলে এরকম ভিড় পড়ে আর কিছু কিছু বাচ্চা থাকেই মারামারি করার টেন্ডেন্সি নিয়ে ।
বোনসহ দেখছি রমনা পার্কে গিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন আপনারা। রমনা পার্কের কথা অনেক শুনেছি। এই পার্কটা মনে হয় অনেক বড়। বাচ্চাদেরকে নিয়ে এভাবে পার্কে গেলে, তারা খুব ভালো সময় কাটাতে পারে। এমনিতে শহরে বাচ্চারা বাসার বাহিরে বের হয়ে ঘোরাঘুরি করতে পারে না, এবং কি ভালোভাবে খেলাধুলাও করতে পারে না। আর তাই পার্কে গেলে তারা খেলাধুলাও করতে পারে।
বাচ্চারা তো কোথাও গেলে শুধু খেলার জায়গা খুঁজে ।রমনা পার্ক তো বড়দের জন্য হাটাহাটি করার উপযুক্ত জায়গা ।