★রাঙামাটি ভ্রমণের আরো কিছু মুহূর্ত★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আমার রাঙ্গামাটি ভ্রমণের আরো কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি। রাঙ্গামাটি শহরে কয়েকটা দিন থাকার কারণে এত বেশি ঘুরেছি যে আশেপাশে অনেক বেশি ছবি তুলেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। যেটা এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারিনি তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি কিছু কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। আজকে এসেছি রাঙ্গামাটির আরো কিছু জায়গার ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
প্রায় ১০ তলা সমান পাহাড়ের উপরে উঠে এটা দেখতে পেলাম
আমরা রাঙ্গামাটি শহরে যে কটা দিন ছিলাম তার মধ্যে তিনটা দিনই আমরা কাপ্তাই লেকের মধ্যে নৌকায় বেরিয়েছি এবং আমাদেরকে দুপুরের লাঞ্চ করতে হলে পাহাড়ের উপরে উঠে খেতে হয়েছে। দেখা গেল যে অনেক দূর পর্যন্ত আমরা চলে গিয়েছি শুধু মাত্র দুপুরের খাওয়াটা খাওয়ার জন্য। কারণ আশেপাশে পানির ভেতরে কোথাও কোন খাওয়ার জায়গা থাকে না। যদিও আমরা সাথে করে হালকা খাবার নিয়ে যেতাম বোটে বসে সে খাবারগুলো খেয়েছি। কিন্তু দুপুরের ভারি খাবারটা খেতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই কোন হোটেলে যেতে হয়েছে । শহরের ভেতরের যে রেস্টুরেন্ট গুলো রয়েছে সেগুলোর খাবার নরমালি আমরা সবসময় খেয়ে থাকি যেগুলো সেই খাবারগুলো। আর পাহাড়ের উপরে যেসব রেস্টুরেন্ট গুলো তারা তৈরি করেছে সেগুলোর খাবার ওসব পাহাড়ি এলাকার একটু ভিন্ন ধরনের খাবার । খেতে খুবই টেস্টি যার জন্য আমরা অনেক কষ্ট করে পাহাড়ের উপরে উঠে সে খাবারগুলো খেতে চলে যেতাম।
আজকে যে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম সেই রেস্টুরেন্টের নাম ছিল প্যাদা টিং টিং। এখানে আমরা যখন খাবার খেতে গিয়েছি তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। কারণ আমরা নৌকায় করে ঘুরতে ঘুরতে বেশ খানিকটা দূরে চলে গিয়েছি সেখান থেকে ফিরে আসতে আসতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে কাপ্তাই লেকের ওপরে। এজন্য ওখানে যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি শুধু ওই রেস্টুরেন্টের দু চারজন লোক ছাড়া ওই পাহাড়ের উপরে আশেপাশে আর কোন লোকজন নেই। তারা আমাদের খাওয়া দাওয়া হলে সেখান থেকে ওরা চলে যাবে। আমরা সেখানে খাবার জন্য বসে পড়লাম আর আমাদেরকে খাবার সার্ভ করলো। ওখানে যত ধরনের আইটেম ছিল ওরা সব কিছু আমাদেরকে দিল বিশেষ করে ওদের ব্যাম্বো চিকেন এবং শুটকি মাছের রেসিপি অসাধারণ টেস্ট যেটা না খেলে বোঝার কোন উপায় নেই। তারপরে ওরা একেবারে আমরা যখন যাব ঠিক সেই মুহূর্তে খাবার রেডি করে দেয় গরম গরম ভাত দিয়ে ওই ধরনের খাবারগুলো খেতে সত্যি অসাধারণ ছিল।
এরপর ওখানে একটি মিউজিয়াম ছিল আমাদের সাথে যে গাইড ছেলেটা আছে সে বলল এখানে পাহাড়ের উপরে মিউজিয়াম আছে যেটা আপনারা দেখতে পারেন । আমরা ওই মিউজিয়াম দেখার উদ্দেশ্যে পাহাড়ের উপরে উঠতে থাকি ।উপরে উঠতে উঠতে প্রায় 10 তলা পর্যন্ত উপরে আমরা উঠে গিয়েছিলাম ছেলেটা বলার কারণে । কারণ ও বলছিল যে যত উপরে উঠবেন তত উপরে সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস আছে যেটা না দেখলেই না। কিন্তু উপরে ওঠার পরে আমরা এতটাই হতাশ হলাম যে শুধু শুধু কষ্ট করে আমরা এতটা উপর পর্যন্ত উঠলাম । উঠতে উঠতে রাত হয়ে গিয়েছিল পরে যখন আমরা নেমে আসছিলাম তখন হালকা আলো থাকতে থাকতে আমরা নেমেছি। আমরা এসে দেখি যে হোটেলের লোকজন গুলো চলে গিয়েছে শুধু ওই পাহাড়ের ওপরে আমরা ছাড়া আর কেউ নেই আশেপাশে কয়েক মাইলের ভেতরে। আমরা বোট নিয়ে গিয়েছিলাম দেখে ওখান থেকে আসতে পেরেছি তা না হলে ওখান থেকে আসার কোন ব্যবস্থা নেই আপনার ওখানেই থেকে যেতে হবে ।তারপরও সবকিছু মিলিয়ে দিনটা আমাদের ভালই কেটেছিল।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
মিউজিয়ামে উপরের জিনিস গুলো রাখা ছিল যেটা তাদের ঐতিহ্য
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
স্থান | রাঙামাটি |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপু সাজেক গিয়ে যে ব্যাম্বু চিকেন আমরা খেয়েছিলাম তার স্বাদ ছিল খুবই খারাপ। বলতে গেলে একটা নেগেটিভ ধারনাই তৈরি হয়ে গিয়েছিল ব্যাম্বু চিকেন সম্পর্কে। যাইহোক রাঙামাটি আমার খুব প্রিয় একটা জায়গা। গত বছর গিয়েছিলাম তবে ছিলাম মাত্র একদিন। মনে হচ্ছে অনেক কিছুই বাকি রয়ে গেছে। আপনারা গিয়ে কোন প্যাকেজ ট্যুরে গিয়েছিলেন নাকি নিজেদের মত করে।
এখানকার ব্যাম্বো চিকেন খুব মজা তবে সব জায়গারটা না।আমরা নিজেরাই গিয়েছিলাম তিন ফ্যামিলি মিলে আমরা চারদিন ছিলাম।
আহা আপু যদি উপরে থাকতে হতো তাহলে কি করতেন 😄😄,যাই হোক আপনার তোলা প্রতিটি ছবিই অনেক সুন্দর। আসলে আমি আগে থেকেই মানুষের মুখে শুনেছি রাঙামাটি জেলাটা নাকি অনেক সুন্দর,যদিও কখনও যাওয়ার সুযোগ হয়নি।পাহাড়ি রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো অনেক মজা হয়,তা খাবারের ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
উপরে থাকতে হলে তাহলে মনে হয় ভূতেই খেয়ে ফেলত, কারণ নির্জন এলাকা ভুতের খেয়ে আরাম লাগতো । খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করতে গেলে নিঃসন্দেহে অনেক আনন্দ হবে। আমার খুব ইচ্ছে আছে একবার রাঙামাটির ভ্রমণ করার। অনেক জায়গাতেই যাওয়ার সুযোগ হয়েছে কিন্তু এখনো রাঙ্গামাটিতে যেতে পারিনি।। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলা খুব ভালোভাবে উপভোগ করলাম মনে হচ্ছিল যেন বাস্তবে দেখছি এমন সুন্দর জায়গা।। ইচ্ছে করছে এখন একটি গান শুনি গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ আমার মন কেড়েছে
অবশ্যই অনেক আনন্দ হয়েছিল। আপনিও একদিন সময় সুযোগ করে চলে যাবেন ভালো লাগবে । ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
রাঙ্গামাটির বিশেষ কিছু স্থানের ফটোগ্রাফি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন কিছুটা বিকাল টাইমে তোলা। না জানি পাহাড়ের উপরে সূর্যের আলো না লাগার জন্য এমন হয়েছে। তবে অজানা কিছু স্থানের ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তাই জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো আমার।
ছবিগুলো ঠিক সন্ধ্যার মুহূর্তে তোলা হয়েছে এজন্য এরকম হয়েছে। আর পাহাড়ের উপরে উঠে চারদিকে ভালই আলো ছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার রাঙ্গামাটি ভ্রমণের মুহূর্ত পড়ে বেশ ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে আপনারা বেশ ভালই ইনজয় করেছিলেন। আসলে দুপুর বেলায় একটু ভারী খাবার না হলে চলে না। তাই হয়তো আপনারা পাহাড়ের উপরে উঠে খেতে আসতেন। যাইহোক শেষে পাহাড়ে উঠতে উঠতে দশতলা পর্যন্ত উঠে গিয়েছিলেন কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরলেন। আসলে বিষয়টা জেনে খুব খারাপ লাগলো। আর হ্যাঁ এরকম নির্জন জায়গায় গেলে নিজেদের জন্য একটা যানবাহন ফিক্স করে রাখা উচিত। আপনারা জন্য একটা বোট রেখেছিলেন না হলে হয়তোবা ফিরে আশায় মুশকিল হয়ে যেত। যাইহোক আপনার তোলা সবগুলো ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও রাঙ্গামাটিতে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
এরকম নির্জন জায়গায় গেলে সবাই বোট নিয়েই যায় আর বেশি রাত হলে ওখানে কিছুই পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রাঙ্গামাটি ঘুরতে গিয়ে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলেছেন আপু। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে মন ভরে গেল। খাবার গুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। রাঙ্গামাটি ঘুরতে গিয়ে নিশ্চয়ই আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল
খাবারগুলো যেমন লোভনীয় লাগছে দেখতে খেতে খুবই মজা হয়েছিল । ওদের খাবারে অন্যরকম একটা টেস্ট আছে। খুব ভালো লাগে । ধন্যবাদ আপু আপনাকে ।
আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে রাঙ্গামাটিতে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। রাঙ্গামাটিতে পাহাড়গুলোতে উঠতে অনেক কষ্ট হয়। তারপরও কষ্ট করে দশ তালা সমান পাহাড়ের উপর উঠে সবকিছু সুন্দরভাবে দেখেছেন। কিছু মাস আগে আমি ও রাঙ্গামাটিতে গিয়েছিলাম। এবং পাহাড় থেকে জায়গা গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আসলে ভোট নিয়ে যাওয়ার কারণে আপনাদের অনেক ভালো হয়েছে। না হলে আপনাদের অনেক কষ্ট করতে হতো। রাঙ্গামাটির খুব সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ভালো সময় কেটেছিল আর পাহাড় গুলোতে উঠতে আসলেই অনেক কষ্ট হয় কিন্তু তারপরও সবাই মিলে উঠতে ভালোই লাগে ।
রাঙ্গামাটি আমার খুবই পছন্দের একটি জায়গা যেখানে আমি কয়েক মাস আগে গিয়েছিলাম।সত্যি খুবই ভালো সময় উপভোগ করেছিলাম সেখানে গিয়ে। আপনিও দেখছি বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পাহাড়ি রেস্টুরেন্টের খাবার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছেন এবং সবাই মিলে বেশ মজা করেই খেয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ও বেশ চমৎকার ছিল।
খাবারগুলো আসলেই অনেক সুস্বাদু ছিল। সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
বুঝতেই পারছি বেশ ভালোই মুহূর্ত কাটিয়েছেন রাঙ্গামাটি কয়েকদিন থেকে। আমাদের এদিকের বেশিরভাগ মানুষেরই রাঙ্গামাটির জায়গাটি খুবই পছন্দের। আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে এই জায়গাটি। পাহাড়ি অঞ্চলের কারণে একটু বেশি ভালো লেগেছে। পাহাড়ে উঠতে উঠতে দশ তলা পর্যন্ত উঠে গিয়েছেন কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো ছিল।
ঠিকই বলেছেন আপু পাহাড়ি অঞ্চলের কারণে আর কাপ্তাই লেকের কারণে রাঙ্গামাটি শহরটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।