দুইবোন মিলে ফরিদপুর মার্কেট ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । বেশ কিছুদিন ধরে ফরিদপুরে রয়েছি বাসার বাইরে খুব একটা যাওয়া হয় না । ইদানিং অনেক বেশি ঠান্ডা পড়েছে যার কারণে তেমন একটা বাইরে যাওয়া হয়না । ঢাকা তো তেমন একটা ঠান্ডা পরে না কিন্তু ফরিদপুরে দেখছি ভীষণ ঠান্ডা পরে গিয়েছে ।সারাক্ষণই মনে হয় যে কম্বলের নিচে বসে থাকি । এই শীতের দিনে কোন কিছু করেও ভালো লাগে নাএবং কোথাও যেতেও ইচ্ছা করেনা । তারপরও সেদিন বোনের বাসায় দাওয়াত ছিল বিধায় বাধ্য হয়ে সবাইকে যেতে হয়েছিল । সেখানে আমরা বেশ খানিকটা সময় থাকার পরে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে ওর দাদা বাড়িতে গেলাম ।
আমার শ্বশুর বাড়ি এবং আমাদের বাসা একই এলাকাতে হওয়ার কারণে আমার একই সাথে দুই জায়গায় বেড়ানো হয়ে যায় । আমার শশুর শাশুড়ি নাই দেবরের ফ্যামিলি থাকার কারণে খুব একটা যাওয়া হয়ে ওঠে না । আমার ছেলে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যাওয়ার জন্য ওকে নিয়েই যাই । ওখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তানিয়া ফোন করে তাড়াতাড়ি আসার জন্য । কারণ ও একটু মার্কেটে যাবে কিছু কেনাকাটা করার জন্য । আমিও তাড়াতাড়ি ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম । তারপর ওখান থেকে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে তিনজন মিলে চলে গেলাম কেনাকাটা করার জন্য । আমরা প্রথমে চলে গেলাম আর এফ এল এর বেস্ট বাই শপিংমলে । সেখানে একসাথে সবই পাওয়া যায় যার কারণে আমরা সেখানে গিয়েছি ।
ফরিদপুরে আর এফ এল এর দোকানটা ভালোই বড় আছে । এখানে গেলে ভালোই লাগে এবং অনেক কিছুই দেখলাম এ দোকানে ওরা রেখেছে । যাবতীয় সব কিছুই পাওয়া যায় এখানে । আমার ছেলেটা সেখানে গিয়ে তো ভালো ছোটাছুটি শুরু করে দিল । ওখানে গিয়ে ওখানকার লোকজনের সাথে ওর বন্ধুত্ব হয়ে গেল । তাদের সাথে সে গল্প করতে শুরু করে এবং তারাও ওর সাথে ভালোই দেখলাম গল্প গুজব করছে । এই ফাঁকে আমি আর তানিয়া ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম এবং কিছু কিছু জিনিস কিনে নিয়েছিলাম ।
এখানে প্লাস্টিকের জিনিস থেকে শুরু করে কোকারিজের সব জিনিসই রয়েছে । আমার এখানের জিনিস গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছিল এবং কিনতেও ইচ্ছা করছিল । আবার ভাবলাম যে এখান থেকে শুধু শুধু কষ্ট করে কিনে নিয়ে গিয়ে কি লাভ । ঢাকা গিয়ে কিনতে পারবো । আর এখানের জিনিসগুলো দেখলাম প্রচুর দাম । যার কারণে আর কিনতে ইচ্ছা করলো না । জিনিসগুলো ভালো তবে দামটা আমার কাছে অতিরিক্ত মনে হলো । কারণ স্টিলের একটা জিনিস এত দাম দিয়ে কিনতে ইচ্ছা করল না । তবে স্টিলের জিনিসগুলো কিন্তু ভালই লাগে দেখতে ।
এখানে দেখলাম প্লাস্টিকের জারও রয়েছে এবং অন্য সাইডে আবার ননস্টিকের হাড়ি পাতিল রয়েছে । আমি এখান থেকে সুন্দর একটি বোতল কিনে নিলাম । বোতলটা দেখতে ভালোই ছিল যদিও এখান থেকে কেনা টা ঠিক হয়নি ঢাকা আমাকে কষ্ট করে বয়ে নিয়ে যেতে হবে । তারপরও ভালো লাগলো নিয়ে নিলাম । এরপরও আমি একটি গার্বেজ বিন কিনলাম । তাছাড়া টুকিটাকি আরো অনেক কিছুই কিনেছি এবং বাচ্চাদের জন্য চকলেটও কেনা হয়েছিল ।
এখানে দেখলাম কোমল পানীয় জাতীয় জিনিস রয়েছে ।আর এগুলো দেখলে তো একেবারে আমার ছেলের মাথাটা খারাপ হয়ে যায় । এগুলো তাকে কিনতেই হবে ।অনেক বলে কোয়ে এখান থেকে কেনাটা থামিয়ে রেখেছিলাম । যতই ওকে বলি যে এগুলো কম খেতে ততইও যেন খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় । কিছুতেই যেন থামাতে পারছি না । তারপরও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি চাপিয়ে রাখার জন্য সেদিন কিছু কেনা হয়নি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
মার্কেটটি তো বেশ বড় এখানে সব ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। দুই বোন মিলে মার্কেটে গেলেন ভালোই করেছেন। তবে ছোট বাচ্চারা মার্কেটে গেলে তাদের চোখের সামনে যেটা ভালো লাগে ওটা নেওয়ার জন্য বায়না ধরে। আর ছোট বাচ্চারা দাদার বাড়িতে যেতে তাদের কাছে বেশি ভালো লাগে। এই কারণে আপনার বাচ্চা দাদার বাড়িতে যেতে অস্থির হয়ে পড়ে। দাদা, দাদু যদি জীবিত না থাকে অনেক জায়গাতে সবাই আলাদা আলাদা মনোভাব নিয়ে থাকে। আর বোন থাকলে অনেক ভালো বোনের মর্ম মনে বুঝতে পারে। যাইহোক সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা মার্কেট না একটি সুপার শপ বিশাল বড় ছিল । আর আমাদের ফরিদপুরের মার্কেটটা ভীষণ বড় একসাথে অনেকগুলো পাশাপাশি মার্কেট রয়েছে সেখানে গিয়ে শপিং করতে ভালো লাগে ।
ফরিদপুর মার্কেটটি দেখতেছি অনেক বড়। আপনার বোনের সাথে তাহলে আপনি এবং আপনার বাচ্চারা গেলেন মার্কেটে। এসব মার্কেটে গেলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে সব জিনিস পছন্দ হয় কিনার জন্য। আর ছোট বাচ্চারা গেলে তারা অনেক কিছু কেনার জন্য বায়না ধরে। যদি এদেরকে কিছু না কিনে দেই তারা অনেক কান্নাকাটি করে। আপনার ছেলে দাদার বাড়িতে যেতে পছন্দ করে শুনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এখানে গেলে তো একসাথে অনেক কিছুই পছন্দ হয়ে যায় তখন কেনাকাটা করতে ইচ্ছা করে । আমার ছেলে খেলতে অনেক পছন্দ করে যেখানে ওর সঙ্গী সাথী রয়েছে সেখানেই যাওয়ার জন্য সে অস্থির থাকে ।
ওমা ফরিদপুরও দেখি সবকিছু পাওয়া যায়। পাওয়াই বা যাবে না কেন? এখন তো ডিজিটাল যুগ। দুই বোনে মিলে বেশ ভালোই শপিং করলেন দেখা যাচ্ছে। আসলে বোন থাকলে যে কত ভালো লাগে। যাদের বোন নেই তারাই বুঝে বোন না থাকার যন্ত্রণা কত। এবার কিন্তু ঢাকায় অনেক শীত পড়েছে আপু। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
ফরিদপুর কিন্তু গ্রাম না এটি একটি শহর । এখানে সব কিছুই পাওয়া যায় । অনেক গ্রাম থেকে দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন এখানে শপিং করতে আসে ।