মুসুরির ডাল দিয়ে পুঁইশাকের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে মজাদার একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মসুর ডাল দিয়ে পুঁইশাকের একটি রেসিপি । শাক আমার কাছে খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না তবে খুব বেশি কম খাওয়া হয়ে গেছে । এজন্য ইদানিং একটু খাওয়ার চেষ্টা করছি কিছুটা ব্যালেন্স আনার জন্য ।এজন্য এই শাকটাকে আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে করে খাওয়ার চেষ্টা করি । পুঁইশাক এরকম ডাল দিয়ে খেতেও ভালো লাগে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছোট ছোট পুটি মাছ দিয়ে রান্না করলেও খেতে ভালো লাগে । অথবা চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে তো ভালই লাগে । আজকে আমি ডাল দিয়ে যে মজা করে রান্না করছি সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
পুঁইশাক
আলু
পেঁয়াজ
মরিচ
আদা বাটা
রসুন বাটা
রসুন কুচি
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
জিরার গুঁড়া
পাঁচফোড়ন
তেল
লবন
কার্যপ্রণালী
প্রথমে মুসুর ডালগুলো আধা ঘন্টার জন্য পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি । তারপরে শাকগুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি । এরপর আলুগুলো ছোট ছোট পিস পিস করে কেটে নিয়েছি ।তারপর একটি প্যানে পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছি । এবার পেঁয়াজের ভেতরে হলুদের গুড়া, মরিচের গুঁড়া ,লবণ ,তেল ,আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে সবকিছু ভালো মতো হাত দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি ।
সবকিছু হাত দিয়ে ভালো মতো কচলিয়ে মাখিয়ে নেওয়ার পরে তারপর তার ভিতরে ডালগুলো দিয়ে আরো সুন্দরভাবে মাখিয়ে নিয়েছি । এরপর আলু ও পুঁইশাক গুলো দিয়ে দিয়েছি ।
এরপর আবার হাত দিয়ে সুন্দরভাবে কচলিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি । তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি । কিছুক্ষণ পরে ঢাকনা খোলার পরে দেখব যে শাক থেকে ভালই বেশ খানিকটা পানি উঠে এসেছে এবং শাক গুলো গোলে নরম হয়ে গিয়েছে । ঢাকনা খোলা অবস্থায় আরো কিছু সময় নাড়াচাড়া দিয়ে কিছু সময় রান্না করে নিয়েছি ।
এরপর পানিও কাঁচামরিচ দিয়ে ঢাকনা দিয়ে আবার ঢেকে দিয়েছি । বেশ খানিকটা সময় পরে ঢাকনা খোলার পরে দেখব যে আমার ডালগুলো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে এবং কালারটাও চেঞ্জ হয়ে এসেছে । এরপর আরো কিছু সময় জ্বাল করার পরে পানিটা যখন অনেকটা টেনে আসবে তখন উপর দিয়ে জিরার গুড়া দিয়ে দিয়েছি এবং আরও সুন্দর কালার আনার জন্য একটু মরিচের গুড়া ও আরো একটু লবণ দিয়ে দিয়েছি ।
এরপর আরো কিছু সময় রান্না করে নিয়েছি । তারপর অন্য একটি চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তেলের ভিতর রসুন কুচি দিয়ে দিয়েছি । রসুন হালকা বাদামি করে ভেজে তার ভেতরে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছি । এরপর আরো একটু নাড়াচাড়া দিয়ে সেটা নিয়ে ওই ডালের ভিতরে ঢেলে দিয়েছি ।
এরপর আরো দুইটা বলক তুলে নিয়ে চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি ।রান্নাটা হয়ে গিয়েছে এরপর একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি ।তারপর গরম গরম পরিবেশন করেছি । খেতে সত্যি অসাধারণ টেস্টি হয়েছিল শেষে তেলে দেওয়ার কারণে আরো বেশি মজা লেগেছিল খেতে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
অনেক লোভনীয় এবং মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন পুঁইশাক এবং ডাউল দিয়ে।
এই জাতীয় রেসিপি আমার কাছে খেতে খুবই মজা লাগে বিশেষ করে গরম ভাত হলে তো কোন কথাই নেই। তাছাড়া দুটি খাবারে পুষ্টিগুণে ভরপুর।
পৃথিবীর প্রস্তুত প্রণালী ফটোগ্রাফির সাথে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভেচ্ছা রইল।
রেসিপিটি যেমন লোভনীয় লাগছে খেতে সত্যি গরম ভাত দিয়ে অসাধারণ টেস্ট হয়েছিল ।
মসুরের ডাল দিয়ে পুঁইশাকের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। যে কোন রেসিপি তেলে দেওয়ার পরে সেটা আরো বেশি সুস্বাদু হয়, আপনার রেসিপিটা যে খেতে অনেক মজাদার হবে সেটা পরিবেশন করা ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও কিন্তু অনেক টেস্টি হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।
আপু আপনাকে খুব চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। মসুরির ডাল দিয়ে পুঁইশাকের রেসিপি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। এত সুন্দর করে রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে শাকের ভেতরে একটু মসুর ডাল দিয়ে মজা করে রান্না করলে খেতে ভালোই লাগে ।
পুঁইশাক আমার অনেক প্রিয়, আর মুসুরির ডাল দিয়ে সেই পুঁইশাক যদি রান্না করে তাহলে তো কোন কথাই নেই।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য । ভালো থাকবেন সব সময় ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে।
কোন শাকই আমার প্রিয় না খাওয়া লাগে তাই খাই । ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য ।
মসুর ডাল দিয়ে পুঁইশাক আমার খুবই পছন্দের। গত দুইদিন আগেও রান্না করেছিলাম। আমার এতোই পছন্দের যে মাঝেমধ্যেই রান্না করা হয়। আপনার তৈরি করা মসুর ডাল দিয়ে পুঁইশাকের রেসিপিটা অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পুঁইশাক দিয়ে এভাবে মসুর ডাল রান্না করলে খেতে সত্যিই অসাধারণ টেস্ট হয় । ভালই লেগেছিল সেদিন খেতে ।
জি আপু শরিরে ব্যালেন্স আনার জন্য শাকগুলো খেতে হবে আমাদের। ছোট পুটি মাছ দিলে আরো সুস্বাদু হয়। অবশ্যই সামনে আরো ভালো ভালো রেসিপি আপনার কাছ থেকে আশা করব। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নতুন কিছু শিখতে পারলাম ভালো লাগলো
চিংড়ি মাছ দিয়ে শাক রান্না করলে সেটা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । আর আমি মাঝে মাঝে বিভিন্নভাবে শাক রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করি ।
শাক তো আমার নিজেরও ভালো লাগে না। কিন্তু এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য এটা খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনার রেসিপি টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। মসুরের ডাউল এবং পুইশাকের রেসিপি টা অনেক লোভনীয় লাগছে। রেসিপি টা বেশ সুন্দর উপস্থাপন এবং পরিবেশন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।
আসলে ভাইয়া এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলো খেতে ভালো লাগে না তারপরও বাধ্য হয়ে খেতে হয় যেমন শাক ।
শাক আমারও খুব একটা খাওয়া হয় না। কিন্তু শাক আমাদের জন্য খুবই উপকারী। পুঁইশাক এভাবে মসুর ডাল দিয়ে রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে। আমিও এভাবে রান্না করি মাঝেমধ্যে। কিন্তু কখনো আলু দেয়া হয়নি। আপনি আবার শেষে তেলে দিয়েছেন। এভাবে তেলে দেয়ার কারনে খেতে সুস্বাদু হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। দেখতেও লোভনীয় লাগছে।
এভাবে করে রান্না করার সময় একটু আলু দিয়ে দেখবেন ভালোই লাগে খেতে । আমার কাছে তো ভালই লেগেছিল । আর শেষে তেলে দেওয়ার কারণে সত্যিই অন্যরকম একটি ফ্লেভার এসেছিল খেতেও ভালো লেগেছিল ।
মসুরের ডাল দিয়ে পুঁইশাক আমার আম্মু মাঝে মাঝে রান্না করে এবং এটা যে এত দারুন লাগে খেতে আপু। শাক কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী আপু। এজন্য আমাদের বেশি বেশি খেতে হবে। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি দারুন ভাবে দিয়েছেন। সহজে একটা মানুষ ইচ্ছা করলে রান্না করতে পারবে এবং প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দরভাবে দক্ষতার সহিত পরিবেশন করেছেন।
শাক আমাদের শরীরের উপকারি দেখে আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে চেষ্টা করি খাওয়ার ।
আপু আপনি পুঁইশাকের দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার পুইশাকের এবং মুসুরির ডালের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। এবং রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক স্বাদ হয়েছে ।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সাধ হয়েছিল ভাইয়া প্রচুর । দেখলে তো খেতে ইচ্ছা করে এরকম ধরনের রেসিপি গুলো ।